তিন দিন পর আদালতে শিবিরনেতা ইয়াহইয়া ১০ দিনের রিমান্ড
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল বিকেলে আদালতে হাজির করা হয় ইসলামী
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মো: ইয়াহইয়াকে।
এ সময়
তাকে খুবই বিমর্ষ ও যন্ত্রণাকাতর দেখাচ্ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী
জানিয়েছেন। পরে মতিঝিল থানার আগের দুইটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে দশ
দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে ইয়াহইয়াকে
চলন্ত বাস থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে এ নিয়ে তিন দিন আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী ছিল নীরব। তারা কোনো মুখ খুলেনি। অবশেষে হরতালের হুমকি
দেয় শিবির। এরপর গতকাল বিকেলে মতিঝিল থানার একটি মামলায় গ্রেফতার
দেখিয়ে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অবৈধ রিমান্ড বাতিল করে
অবিলম্বে শিবির নেতা ইয়াহইয়ার মুক্তি দাবি করেছে শিবির। না হলে হরতাল
কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তা ছাড়া নির্যাতন করে ছাত্রশিবিরকে দমানো যাবে না
বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিবির নেতারা। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে শিবির জানায়,
ইয়াহইয়াকে গ্রেফতারের পর নিয়মানুযায়ী আদালতে হাজির না করে তিন দিন ডিবি
কার্যালয়ে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন ও মতিঝিল থানায় আগের দু’টি
মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। এক
বার্তায় শিবির সভাপতি মো: দেলাওয়ার হোসেন ও সেক্রেটারি জেনারেল মো: আবদুল
জব্বার বলেন, বুধবার রাত ১২টায় গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার তাকে
নিয়মানুযায়ী আদালতে তোলার কথা থাকলেও পুলিশ তা করেনি। তিন দিনে ডিবি
কার্যালয়ে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।
নির্যাতনে ইয়াহইয়ার বাম হাত ভেঙে গেছে। শরীরজুড়ে কালো দাগ পড়ে গেছে।
আদালতে না তুলে এভাবে নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার আবারো তাদের ধারাবাহিক
মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে জাতির সামনে প্রমাণ করল। নেতৃদ্বয় বলেন, মিথ্যা
মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এটা সরকারের ধারাবাহিক মিথ্যাচার ও
মানবাধিকার লঙ্ঘনের আরেকটি নমুনা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিবির নেতাদের এভাবে
গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী আদালতে হাজির না করে নির্যাতন করার বেশ কিছু
দিন পর গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। এর আগে শিবির নেতা হাফিজুর রহমান শাহীনসহ
অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে একইভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। কারোর হাত-পা
ভেঙে ফেলা হয়েছে। কারো কারো চোখ নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ন্যক্কারজনকভাবে
নির্যাতিত ইয়াহইয়াকে আজ আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা
হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ২৯ জানুয়ারি মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
আমরা আদালতের কাছে সুবিচার প্রত্যাশা করছি। সরকার যদি ইয়াহইয়াকে নিঃশর্ত
মুক্তি না দিয়ে অন্যায়ভাবে আটকে রাখে তাহলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে
আমরা বাধ্য হবো।
No comments