হাতিয়ায় এলাকাবাসী পুলিশ সংঘর্ষে ওসিসহ আহত অর্ধশত- শতাধিক রাউন্ড গুলি
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ায় দস্যুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে
যাওয়াকে কেন্দ্র করে গত শনিবার পুলিশ ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে হাতিয়া থানার
ওসি মোক্তার হোসেন, এএসআই নয়ন বড়ুয়া ও আট পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশত আহত হয়।
এ সময় পুলিশ শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এলাকাবাসী পুলিশ সদস্যদের
বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে। জানা গেছে, রামগতির
দস্যু কামাল বাহিনীর ৯ সদস্যকে এলাকাবাসী উপজেলার বুড়িরচরে আটক করে। খবর
পেয়ে পুলিশ ডাকাতদের থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। এ
নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
পরে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা
পুলিশের বিরুদ্ধে সেøাগান দেয়। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পুলিশের
আশ্রয়-প্রশ্রয়ে কামাল বাহিনী এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাই করছে। পুলিশ
ডাকাতদের ধরছে না। পরে রাতে জেলা শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে খান সাহেব
মাঝির নেতৃত্বে বৈঠকে বসে। বৈঠকে সমঝোতার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
এরপর ডাকাতদের থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ দিকে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও
হামলায় পুলিশ আহত ঘটনায় হাতিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার মো: শাহজাহান বাদি
হয়ে প্রায় ৫০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন।
অন্য দিকে খান সাহেব মাঝি বাদি হয়ে ১৭ জন দস্যুর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন জানান, এলাকাবাসী ৯
দস্যুকে আটক করে তাদের হত্যার চেষ্টা চালায়। পুলিশ বাধা দিলে লোকজন
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আটক ডাকাতেরা হলো ভোলার
লালমোহনের আবদুল খালেকের ছেলে জামাল উদ্দন মিলন, মুছা মিয়ার ছেলে আবদুল
মালেক, মো: আবদুল কুদ্দুছের ছেলে মো: বাবুল উদ্দিন, মো: হোসেনের ছেলে মো:
শরীফ, মো: সেলিমের ছেলে মো: মোশারেফ হোসেন, আনছারুল হকের ছেলে মো: নুরনবী,
মো: আবদুস শহিদের ছেলে মো: সোহেল, মো: কাঞ্চনের ছেলে মো: রিয়াজ উদ্দিন,
মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মো: মাসুদ মুন্সি। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ পালিয়ে
যায় মো: বেলাল উদ্দিন।
No comments