সনদ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ- রাজশাহীর ইউআইটিএস শিার্থীদের শিাজীবন অনিশ্চিত
রাজশাহী মহানগরীতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড
সায়েন্স (ইউআইটিএস) ক্যাম্পাসের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আরমান আলীর
বিরুদ্ধে শিার্থীদের সনদ (সার্টিফিকেট) নিয়ে প্রতারণা, আর্থিক অনিয়ম,
স্বজনপ্রীতি ও মতার অপব্যবহাররের অভিযোগ উঠেছে।
এত দিন এ নিয়ে তার ভয়ে
কেউ মুখ না খুললেও শেষ পর্যন্ত থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে। গত ২৩ জানুয়ারি
রাজশাহী ক্যাম্পাস থেকে দেয়া সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায়
কয়েকজন শিার্থীকে মারধরের ঘটনায় এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ
দিকে ভুক্তভোগীদের হাত থেকে রেহাই পেতে অ্যাডভোকেট আরমান আলী দেশ ছেড়ে
লন্ডনে পাড়ি জমাচ্ছেন বলে জোর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির
বিপুলসংখ্যক শিার্থীর শিাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী
শিার্থীদের অভিযোগ, ইউআইটিএস কর্তৃপ তাদের ভর্তি করার সময় ঢাকা ক্যাম্পাস
থেকে সরাসরি ইউনিভার্সিটি পরিচালিত বলে জানিয়েছিল। কিন্তু শেষ বর্ষের
চূড়ান্ত শেষে সনদ দেয়ার সময় তারা রাজশাহী ক্যাম্পাসের শিার্থী উল্লেখ
করে তাতে ‘আর ইউআইটিএস’ লিখে দিচ্ছে। কর্তৃপ তাদের সাথে প্রতারণা করেছে বলে
শিার্থীরা দাবি করেন। সূত্র জানায়, ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে
ইউআইটিএস রাজশাহী ক্যাম্পাসে বিবিএ, ইঞ্জিনিয়ারিং ও আইনসহ চার অনুষদের
১২টি বিভাগে সব মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার শিার্থী অধ্যয়নরত। তাদের
কাছ থেকে ন্যূনতম দুই লাখ করে ২০ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। এর আগে
কয়েক বছর ধরে একই কায়দায় আরো মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন
সমন্বয়কারী। সূত্রটি আরো জানায়, এখান থেকে অন্তত শতকোটি টাকার বেশি
হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে কোটি কোটি টাকার
অনিয়মের। তিনি কিনেছেন জমি, ফ্যাট ও প্লট। ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন
গার্মেন্ট কারখানা। একই সাথে তার পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা আরো কয়েক
কোটি টাকার অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অপর একটি সূত্র জানায়, গত
তিন বছরে অ্যাডভোকেট আরমান আলীর নিকটাত্মীয় মারুফ হোসেন প্রায় এক হাজার
শিার্থীর রেজিস্ট্রেশনসংক্রান্ত ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে
সম্প্রতি তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া মালামাল ক্রয়ের নামে গত
সাত বছরে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। আরমান আলীর ভগ্নিপতি আবু
সাইদের নেতৃত্বে পিয়ন আকবর আলীসহ বেশ কয়েকজনের একটি চক্র এ অনিয়ম
নিয়ন্ত্রণ করছে বলে একটি সূত্র জানায়। একই সাথে পরীা গ্রহণ ও খাতা
মূল্যায়ন, ভর্তি ও ছাড়ে ভর্তির সুযোগ করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে
শিার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছে চক্রটি।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের অনিয়মে আরমান আলীর প্রত্য ও পরো মদদ রয়েছে।
আর এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় এ পর্যন্ত শতাধিক শিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী
চাকরিচ্যুত হয়েছেন। চাকরি ছেড়ে গেছেন অর্ধশতাধিক শিক,
কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজশাহী ক্যাম্পাস সমন্বয়কারী আরমান আলীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ঢাকাস্থ প্রধান ক্যাম্পাস বাধ্য হয়ে রাজশাহী ক্যাম্পাসের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। ফলে ভর্তিকৃত শিার্থীদের সনদ দেয়ার কথা মাথায় রেখে আরমান আলী গত বছর ইউজিসি বরাবর নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আবেদন জানান। এ সময় ইউজিসি তা ফিরিয়ে দিলে কৌশলে তিনি শিার্থীদের হাতে ‘আর ইউআইটিএস’ লেখা ভুয়া সনদ তুলে দেন। ইউআইটিএস ক্যাম্পাসে পড়ালেখা শেষ করে সদ্য সনদপ্রাপ্তরা উচ্চ শিাগ্রহণ এবং ইন্টার্নির জন্য বিভিন্ন শিাপ্রতিষ্ঠান ও দফতরে আবেদন জানালে সম্প্রতি বিষয়টি শিার্থীদের নজরে আসে। এরই পরিপ্রেেিত শিার্থীরা ওই সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে কয়েকজন শিার্থীকে সন্ত্রাসী দিয়ে মারধর করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু তা হিতে বিপরীত হয়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, রাজশাহী মহানগরীর তিনটি বহুতল ভবনে বর্তমানে চলছে তাদের কার্যক্রম। এ কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন ফুলটাইম ও খণ্ডকালীন মিলিয়ে ১২০ শিক। এর মধ্যে ২০ জনই আরমান আলীর নিকটাত্মীয়। তাদের মধ্যে তার বড় ভাই ড. সোলাইমান, ভগ্নিপতি শাহ আইয়ুব আলী ও আবু সাইদ, শ্যালক আবু বকর সিদ্দিক ক্যাম্পাসে ফুলটাইম গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা না থাকলেও তাদের কেউ বিভাগীয় প্রধান, শিক সমন্বয়ক, অ্যাডমিশন অফিসার ও মানবসম্পদ কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালন করছেন। আবার তাদের কেউ কেউ অন্য কোনো শিাপ্রতিষ্ঠানে ফুলটাইম কর্মরত। অফিসের কোনো নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করেন না তারা। এ ছাড়া অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নিকটাত্মীয়দের কাউকে কাউকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের অভিযোগও রয়েছে। ৮০ কর্মচারীর মধ্যে বেশির ভাগই আরমান আলীর নিকটাত্মীয় এবং বাকিরা তল্পিবাহক বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। প্রতি মাসে এদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দেয়া হয় বলেও জানায় সূত্রটি।
এ দিকে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে ও উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেেিত শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাস সাত দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ।
তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ইউআইটিএস রাজশাহী ক্যাম্পাস সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আরমান আলী।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছরের ফেব্র“য়ারিতে ইউআইটিএস কর্তৃপরে সাথে মঞ্জুরি কমিশনের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। ওই চুক্তির অধীনে গত বছরের ৪ ফেব্র“য়ারির মধ্যে ভর্তি হওয়া সব শিার্থীই বৈধ এবং তাদের ঢাকা ক্যাম্পাস থেকে সনদ দেয়া হবে। তবে ‘আর ইউআইটিএস‘ লেখা সনদ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। এ ছাড়া সম্প্রতি তার দেশত্যাগসংক্রান্ত অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন আরমান আলী। এ দিকে অভিযুক্ত অন্যরাও তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ শিার্থীদের সাথে আলোচনা করে একটা সমঝোতায় পৌঁছার চেষ্টা করছেন। তারা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে কোনো ফায়সালা না হলে তার পর পদপে নেয়া হবে বলে জানান ওসি। এ দিকে গতকাল বিকেলে ইউআইটিএসের এইচআরডি অফিসার আবদুল মোতালেব জুয়েলের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইউআইটিএসের উদ্ভূত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ইউআইটিএসের এইচআরডি অফিসার আবদুল মোতালেব জুয়েলের দেয়া মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে অন্য এক কর্মচারী জানান, তিনি পরে কথা বলবেন।
সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজশাহী ক্যাম্পাস সমন্বয়কারী আরমান আলীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ঢাকাস্থ প্রধান ক্যাম্পাস বাধ্য হয়ে রাজশাহী ক্যাম্পাসের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। ফলে ভর্তিকৃত শিার্থীদের সনদ দেয়ার কথা মাথায় রেখে আরমান আলী গত বছর ইউজিসি বরাবর নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আবেদন জানান। এ সময় ইউজিসি তা ফিরিয়ে দিলে কৌশলে তিনি শিার্থীদের হাতে ‘আর ইউআইটিএস’ লেখা ভুয়া সনদ তুলে দেন। ইউআইটিএস ক্যাম্পাসে পড়ালেখা শেষ করে সদ্য সনদপ্রাপ্তরা উচ্চ শিাগ্রহণ এবং ইন্টার্নির জন্য বিভিন্ন শিাপ্রতিষ্ঠান ও দফতরে আবেদন জানালে সম্প্রতি বিষয়টি শিার্থীদের নজরে আসে। এরই পরিপ্রেেিত শিার্থীরা ওই সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে কয়েকজন শিার্থীকে সন্ত্রাসী দিয়ে মারধর করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু তা হিতে বিপরীত হয়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, রাজশাহী মহানগরীর তিনটি বহুতল ভবনে বর্তমানে চলছে তাদের কার্যক্রম। এ কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন ফুলটাইম ও খণ্ডকালীন মিলিয়ে ১২০ শিক। এর মধ্যে ২০ জনই আরমান আলীর নিকটাত্মীয়। তাদের মধ্যে তার বড় ভাই ড. সোলাইমান, ভগ্নিপতি শাহ আইয়ুব আলী ও আবু সাইদ, শ্যালক আবু বকর সিদ্দিক ক্যাম্পাসে ফুলটাইম গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা না থাকলেও তাদের কেউ বিভাগীয় প্রধান, শিক সমন্বয়ক, অ্যাডমিশন অফিসার ও মানবসম্পদ কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালন করছেন। আবার তাদের কেউ কেউ অন্য কোনো শিাপ্রতিষ্ঠানে ফুলটাইম কর্মরত। অফিসের কোনো নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করেন না তারা। এ ছাড়া অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নিকটাত্মীয়দের কাউকে কাউকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের অভিযোগও রয়েছে। ৮০ কর্মচারীর মধ্যে বেশির ভাগই আরমান আলীর নিকটাত্মীয় এবং বাকিরা তল্পিবাহক বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। প্রতি মাসে এদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দেয়া হয় বলেও জানায় সূত্রটি।
এ দিকে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে ও উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেেিত শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাস সাত দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ।
তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ইউআইটিএস রাজশাহী ক্যাম্পাস সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আরমান আলী।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছরের ফেব্র“য়ারিতে ইউআইটিএস কর্তৃপরে সাথে মঞ্জুরি কমিশনের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। ওই চুক্তির অধীনে গত বছরের ৪ ফেব্র“য়ারির মধ্যে ভর্তি হওয়া সব শিার্থীই বৈধ এবং তাদের ঢাকা ক্যাম্পাস থেকে সনদ দেয়া হবে। তবে ‘আর ইউআইটিএস‘ লেখা সনদ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। এ ছাড়া সম্প্রতি তার দেশত্যাগসংক্রান্ত অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন আরমান আলী। এ দিকে অভিযুক্ত অন্যরাও তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ শিার্থীদের সাথে আলোচনা করে একটা সমঝোতায় পৌঁছার চেষ্টা করছেন। তারা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে কোনো ফায়সালা না হলে তার পর পদপে নেয়া হবে বলে জানান ওসি। এ দিকে গতকাল বিকেলে ইউআইটিএসের এইচআরডি অফিসার আবদুল মোতালেব জুয়েলের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইউআইটিএসের উদ্ভূত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ইউআইটিএসের এইচআরডি অফিসার আবদুল মোতালেব জুয়েলের দেয়া মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে অন্য এক কর্মচারী জানান, তিনি পরে কথা বলবেন।
No comments