পুঁজিবাজার থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা- বিদ্যু খাতের উন্নয়ন by রাজু আহমেদ
বিদু্যত ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজার থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদু্যত উৎপাদন এবং তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য দেশের শেয়ারবাজারের মাধ্যমে এ পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা হবে। পরবতর্ীতে প্রয়োজনে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। বিপুল পরিমাণ এই অর্থ সংগ্রহের জন্য ইতোমধ্যেই সামগ্রিক পরিকল্পনা চূড়ানত্ম করেছে বিদু্যত ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের সম্ভাব্যতা যাচাই ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিদু্যত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কমিটির চূড়ানত্ম প্রতিবেদন পেশ করা হবে।কমিটির সদস্য সচিব আইসিবির মহাব্যবস্থাপক ইফতেখারম্নজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, বিদু্যত ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহসংক্রানত্ম প্রতিবেদন চূড়ানত্ম করা হয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে এখনই ১৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব বলে কমিটি মনে করে। বৃহস্পতিবার কমিটির প্রতিবেদন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, কমিটির প্রতিবেদনে পুঁজিবাজার থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদু্যত উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের প্রসত্মাব করা হয়েছে। এ পরিমাণ বিদু্যত উৎপাদনের জন্য আগামী ৫ বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ২৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব। তহবিল সংগ্রহের জন্য প্রতিবেদনে একাধিক প্রক্রিয়ার কথা উলেস্নখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বর্তমানে সরকারী মালিকানাধীন বিদু্যত ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার ছাড়ার পাশাপাশি উন্নয়নে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব'র (পিপিপি) মাধ্যমে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের প্রসত্মাব দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সম্পূর্ণ নতুন (গ্রীনফিল্ড) প্রকল্পের জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। তহবিল সংগ্রহের জন্য বিদু্যত উৎপাদনে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করে সেগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এতে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরম্নত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকেও তহবিলের উলেস্নখযোগ্য অংশ সংগ্রহ করা সম্ভব বলে কমিটি মনে করে। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে বন্ড ছেড়ে বিদু্যত ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বিশেষ তহবিল গঠনের সম্ভাব্যতা সম্পর্কেও ইতিবাচক অভিমত ব্যক্ত করেছে কমিটি।
জানা গেছে, কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর জ্বালানি ও আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রানত্ম মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো হবে। ওই কমিটিতে অনুমোদিত হলে প্রয়োজনীয় পদৰেপ গ্রহণের জন্য সুপারিশটি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সভাপতি রকিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার থেকে অর্থ নিয়ে সরকার বিদু্যত কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে। জনগণ বিদু্যত খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। বিদু্যতসহ অবকাঠামো উন্নয়নে পুঁজিবাজার থেকে পর্যায়ক্রমে অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব।
No comments