‘দুর্নীতিরোধে সরকার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারেনি’
স্টাফ রিপোর্টার: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান মনে করেন বিগত সময়ে সরকার দুর্নীতিরোধে দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। এ কারণে সরকারের চতুর্থ বছরে এসে টিআইবি’র রিপোর্টে দুর্নীতির একই চিত্র দেখা গেছে।
পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি। টিআইবি’র রিপোর্ট ও পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েনের বিষয়ে মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
খ্যাতনামা এই অর্থনীতিবিদ পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বলেন, এই সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর যে স্বাধীন তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, এখনই এই কমিটির ওপরই নির্ভর করছে সেতুর ভবিষ্যৎ। এই কমিটি যা প্রত্যয়ন করে সে অনুযায়ি কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এই সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে বলে আমি মনে করি না। এটি স্বাধীন এবং আন্তর্জাতিক তদন্ত প্যানেল। তারা যে পরামর্শ দেয়, ব্যবস্থা নিতে বলে তা বিবেচনায় নেয়া উচিত। সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দেয়া দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ার পেছনে সরকারের দুর্ণীতি বিরোধী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রিপোর্টে এটিই প্রমাণিত হয়েছে যে দুর্নীতি পরিস্থিতি আগের মতোই আছে। বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। এছাড়া বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। পরিস্থিতি যাই হোক এই অবস্থার রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব না। এর একমাত্র কারণ যারা দুর্নীতি করে তদের সঠিক শাস্তি না হওয়া। একই সঙ্গে সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল মন্ত্রী এমপিদের সম্পদের হিসাব নিয়মিত প্রকাশ করা ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা। বিগত সময়ে সরকার এই প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি। সরকার যদি তার প্রতিশ্রুতি পালন না করে তাহলে দুর্নীতি রোধের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে না এটিই স্বাভাবিক।
পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি। টিআইবি’র রিপোর্ট ও পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েনের বিষয়ে মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
খ্যাতনামা এই অর্থনীতিবিদ পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বলেন, এই সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর যে স্বাধীন তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, এখনই এই কমিটির ওপরই নির্ভর করছে সেতুর ভবিষ্যৎ। এই কমিটি যা প্রত্যয়ন করে সে অনুযায়ি কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এই সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে বলে আমি মনে করি না। এটি স্বাধীন এবং আন্তর্জাতিক তদন্ত প্যানেল। তারা যে পরামর্শ দেয়, ব্যবস্থা নিতে বলে তা বিবেচনায় নেয়া উচিত। সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দেয়া দুর্নীতির ধারণা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ার পেছনে সরকারের দুর্ণীতি বিরোধী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রিপোর্টে এটিই প্রমাণিত হয়েছে যে দুর্নীতি পরিস্থিতি আগের মতোই আছে। বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। এছাড়া বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। পরিস্থিতি যাই হোক এই অবস্থার রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব না। এর একমাত্র কারণ যারা দুর্নীতি করে তদের সঠিক শাস্তি না হওয়া। একই সঙ্গে সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল মন্ত্রী এমপিদের সম্পদের হিসাব নিয়মিত প্রকাশ করা ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা। বিগত সময়ে সরকার এই প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি। সরকার যদি তার প্রতিশ্রুতি পালন না করে তাহলে দুর্নীতি রোধের ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে না এটিই স্বাভাবিক।
No comments