পশ্চিমাদের বেনগাজি ছাড়ার আহবান-লিবীয় ও বিদেশি কূটনীতিকদের বিস্ময়
ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ গত বৃহস্পতিবার তাদের নাগরিকদের লিবিয়ার বেনগাজি ছাড়ার নির্দেশ দেয়। মালিতে ফ্রান্সের সেনা অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে লিবিয়ায় পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর হামলা হতে পারে_এমন আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।
কিন্তু এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে লিবিয়া কর্তৃপক্ষ ও সেখানে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা। লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল আলি জেইদান পশ্চিমাদের আচরণকে 'অতিরঞ্জিত' বলে অভিহিত করেছেন।
বেনগাজিতে অবস্থানরত ফ্রান্সের অনারারি কনসাল জঁ্য দুফ্রিচে বলেন, 'সবাই প্রশ্ন করছে...হঠাৎ করে কেন এই সতর্কতা।' তবে তিনি জানান, পরিস্থিতি যা-ই হোক তাঁকে অবশ্য সরকারের নির্দেশ মানতে হবে এবং বেনগাজি ছাড়তে হবে। দুফ্রিচে টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানান, কট্টরপন্থী মুসলিমরা বেনগাজি থেকে বিদেশিদের সরাতে গুজব ছড়াচ্ছে। এ গুজব আগুনের মতো দ্রুতগতিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর রাজধানী পর্যন্ত পেঁৗছে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নাগরিকদের ওই শহর ছাড়ার নির্দেশ দেয় তারা।
২০১১ সালে লিবিয়ায় গাদ্দাফি সরকার পতনের আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল বেনগাজি। বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি ছিল এ শহর। সেখানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে গত সেপ্টেম্বরে এক হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ চার মার্কিন নাগরিক মারা যায়। অভিযোগ রয়েছে, আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা ওই হামলা চালিয়েছে। ব্রিটেন গত বৃহস্পতিবার তাদের নাগরিকদের বেনগাজি ছাড়ার নির্দেশ দেয়। তাদের দেখাদেখি ফ্রান্সও গত শুক্রবার বেনগাজি থেকে তাদের ৪০ জন নাগরিককে সরিয়ে নেয়। পাশাপাশি জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়াও তাদের নাগরিকদের বেনগাজি ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
পশ্চিমা দেশগুলো এই সতর্কতা জারির কোনো ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত লিবিয়া সরকারকে দেয়নি। লিবিয়া শিগগির সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছে এর কারণ জানতে চাইবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলি জেইদান গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক প্যানেলের কাছে বলেন, 'কয়েকটি দেশ বিষয়টি নিয়ে অতিরঞ্জন করছে। আমরা সেটা বুঝি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিদেশি এসব নাগরিক শান্তিপূর্ণভাবেই লিবিয়া ছাড়তে পারবে। তাদের রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে।'
স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ মাসুদ পশ্চিমা দেশগুলোর এমন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি এই 'হৈচৈ ও উত্তেজনা' সৃষ্টির জন্য লন্ডনের সমালোচনা করেন।
সাংবাদিকরা জানান, শুক্রবার বেনগাজির পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। শহরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো যথারীতি খোলা ছিল। তবে শহরের আন্তর্জাতিক স্কুল ও ইউরোপীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গত বুধবার থেকে বন্ধ রয়েছে।
সূত্র : এএফপি।
বেনগাজিতে অবস্থানরত ফ্রান্সের অনারারি কনসাল জঁ্য দুফ্রিচে বলেন, 'সবাই প্রশ্ন করছে...হঠাৎ করে কেন এই সতর্কতা।' তবে তিনি জানান, পরিস্থিতি যা-ই হোক তাঁকে অবশ্য সরকারের নির্দেশ মানতে হবে এবং বেনগাজি ছাড়তে হবে। দুফ্রিচে টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানান, কট্টরপন্থী মুসলিমরা বেনগাজি থেকে বিদেশিদের সরাতে গুজব ছড়াচ্ছে। এ গুজব আগুনের মতো দ্রুতগতিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর রাজধানী পর্যন্ত পেঁৗছে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নাগরিকদের ওই শহর ছাড়ার নির্দেশ দেয় তারা।
২০১১ সালে লিবিয়ায় গাদ্দাফি সরকার পতনের আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল বেনগাজি। বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি ছিল এ শহর। সেখানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে গত সেপ্টেম্বরে এক হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ চার মার্কিন নাগরিক মারা যায়। অভিযোগ রয়েছে, আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা ওই হামলা চালিয়েছে। ব্রিটেন গত বৃহস্পতিবার তাদের নাগরিকদের বেনগাজি ছাড়ার নির্দেশ দেয়। তাদের দেখাদেখি ফ্রান্সও গত শুক্রবার বেনগাজি থেকে তাদের ৪০ জন নাগরিককে সরিয়ে নেয়। পাশাপাশি জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়াও তাদের নাগরিকদের বেনগাজি ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
পশ্চিমা দেশগুলো এই সতর্কতা জারির কোনো ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত লিবিয়া সরকারকে দেয়নি। লিবিয়া শিগগির সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছে এর কারণ জানতে চাইবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলি জেইদান গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক প্যানেলের কাছে বলেন, 'কয়েকটি দেশ বিষয়টি নিয়ে অতিরঞ্জন করছে। আমরা সেটা বুঝি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিদেশি এসব নাগরিক শান্তিপূর্ণভাবেই লিবিয়া ছাড়তে পারবে। তাদের রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে।'
স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ মাসুদ পশ্চিমা দেশগুলোর এমন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি এই 'হৈচৈ ও উত্তেজনা' সৃষ্টির জন্য লন্ডনের সমালোচনা করেন।
সাংবাদিকরা জানান, শুক্রবার বেনগাজির পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। শহরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো যথারীতি খোলা ছিল। তবে শহরের আন্তর্জাতিক স্কুল ও ইউরোপীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গত বুধবার থেকে বন্ধ রয়েছে।
সূত্র : এএফপি।
No comments