মাওলানা আযাদের রায়ে জামায়াত নিয়ে আপত্তিকর উক্তির প্রতিবাদ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মাওলানা
আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে দেয়া রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এ
দলের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আপত্তিকর উক্তির প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতের
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি, ২০১৩ আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মাওলানা আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে প্রদত্ত রায়ে
এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ১৯৭১ সালে
পাকিস্তানি সৈন্যদের কৃত অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত করে যে মন্তব্য করেছেন আমরা
তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে একটি বিচারিক আদালত সব
বিচারিক সৌজন্য লঙ্ঘন করে একটি বৈধ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এভাবে দেয়া
রাজনৈতিক বক্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
জামায়াতে ইসলামী বরাবরই এই ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এবং রাজনৈতিক প্রতিপকে নিশ্চিহ্ন করার ল্েয পরিচালিত বলে উল্লেখ করে এসেছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে এরূপ রাজনৈতিক মন্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেই বক্তব্য সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, মাওলানা আযাদের বিরুদ্ধে মামলায় জামায়াত কোনো প ছিল না এবং জামায়াতের কোনো নেতাও ওই মামলায় আসামি ছিলেন না। মামলার চার্জেও দল হিসেবে জামায়াত বা এর কোনো নেতার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। এতদ সত্ত্বেও এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে জামায়াত এবং দলের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গুরুতর আপত্তিকর মন্তব্য জুড়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন জামায়াতে ইসলামী বা এর নেতৃবৃন্দ কোনোভাবেই ১৯৭১ সালে সংঘটিত কোনো অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে এই ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। স্বচ্ছ ও নিরপে বিচার হলে জামায়াতের প্রত্যেক নেতাই নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। তা ছাড়া এই বিচারপ্রক্রিয়া কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়Ñ ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে। এই বাস্তবতা সামনে থাকার পরও এই ট্রাইব্যুনাল যখন দল হিসেবে জামায়াতকে অপরাধী প্রমাণে ব্যস্ত তখন এই ট্রাইব্যুনালের অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে জাতির আর বাকি নেই। জামায়াত নেতৃবৃন্দের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেখে যেসব বিচারকের গাত্রদাহ হয়Ñ তারা আর যাই হোক নিরপে বিচারক হতে পারেন না। তাদের সব গাত্রদাহ সত্ত্বেও বাস্তবতা হচ্ছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক এবং জনগণের প্রত্য ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রী হওয়ার কারণে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উঠেছে। এরূপ উক্তি করার মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনাল দেশের সংবিধান ও জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এ ঘটনার মাধ্যমে জাতির কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এ ট্রাইব্যুনালের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়। তিনি অবিলম্বে এ ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিয়ে আটককৃত সব নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
জামায়াতে ইসলামী বরাবরই এই ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এবং রাজনৈতিক প্রতিপকে নিশ্চিহ্ন করার ল্েয পরিচালিত বলে উল্লেখ করে এসেছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে এরূপ রাজনৈতিক মন্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেই বক্তব্য সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, মাওলানা আযাদের বিরুদ্ধে মামলায় জামায়াত কোনো প ছিল না এবং জামায়াতের কোনো নেতাও ওই মামলায় আসামি ছিলেন না। মামলার চার্জেও দল হিসেবে জামায়াত বা এর কোনো নেতার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। এতদ সত্ত্বেও এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে জামায়াত এবং দলের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গুরুতর আপত্তিকর মন্তব্য জুড়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন জামায়াতে ইসলামী বা এর নেতৃবৃন্দ কোনোভাবেই ১৯৭১ সালে সংঘটিত কোনো অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে এই ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। স্বচ্ছ ও নিরপে বিচার হলে জামায়াতের প্রত্যেক নেতাই নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। তা ছাড়া এই বিচারপ্রক্রিয়া কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়Ñ ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে। এই বাস্তবতা সামনে থাকার পরও এই ট্রাইব্যুনাল যখন দল হিসেবে জামায়াতকে অপরাধী প্রমাণে ব্যস্ত তখন এই ট্রাইব্যুনালের অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে জাতির আর বাকি নেই। জামায়াত নেতৃবৃন্দের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দেখে যেসব বিচারকের গাত্রদাহ হয়Ñ তারা আর যাই হোক নিরপে বিচারক হতে পারেন না। তাদের সব গাত্রদাহ সত্ত্বেও বাস্তবতা হচ্ছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক এবং জনগণের প্রত্য ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রী হওয়ার কারণে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উঠেছে। এরূপ উক্তি করার মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনাল দেশের সংবিধান ও জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এ ঘটনার মাধ্যমে জাতির কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এ ট্রাইব্যুনালের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়। তিনি অবিলম্বে এ ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিয়ে আটককৃত সব নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
No comments