শরণখোলায় ধর্ষণ-স্কুলছাত্রীকে অবশেষে ঢাকায় স্থানান্তর
ধর্ষণ ও পরবর্তীকালে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর শিকার বাগেরহাটের সেই স্কুলছাত্রীকে অবশেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান তাকে দেখতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে যান। তাঁর সহযোগিতায়ই মেয়েটিকে ওসিসিতে ভর্তি করানো হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করার সাত দিন পরও আসামি দেলোয়ার হোসেন তালুকদারকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এ দিকে আসামি পক্ষের লোকজন অভিযোগ তুলে না নিলে মামলা করার জন্য 'শিক্ষা' দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার সকালে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি আসামির পক্ষ নিয়ে মোবাইল ফোনে মেয়েটিকে ধর্মের দোহাই দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বলে।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর জেনে শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ওই স্কুলছাত্রীটিকে দেখতে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি ওই কিশোরী ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার দ্বারা বলপ্রয়োগে গর্ভপাত ঘটানোর কারণে কিশোরীটি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এ মুহূর্তে উন্নত চিকিৎসা করা না গেলে তার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে। যেহেতু মেয়েটি অতিদরিদ্র এবং হাসপাতালে তার পথ্য কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই- এ জন্য তার প্রতি রাষ্ট্রের বিশেষভাবে দায়-দায়িত্ব রয়েছে বলে আমরা মনে করি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রকেই তার সুবিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।' দেশব্যাপী এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন বলে জানান এবং এর কারণ খুঁজে বের করতে গভীর পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'এটি হচ্ছে দায়মুক্তির জন্য অপসংস্কৃতির মৃত্যুর শুভ সূচনা। এই রায়ে আমরা আশান্বিত, খুশি এবং আনন্দিত। আমাদের নাগালের মধ্যে যারা আছে, তাদের ক্ষেত্রে অনুরূপ সিদ্ধান্ত এবং অনুরূপভাবে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রায় প্রত্যাশা করছি।'
পরে সন্ধ্যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়মে অনুষ্ঠিত রোটারি ক্লাব বাগেরহাটের ৩০তম বার্ষিক অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
জানা গেছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় এবং জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির তত্ত্বাবধানে ওই কিশোরীকে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
এদিকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় আসামির লোকজন স্কুলছাত্রীটি ও তার পরিবারকে হুমকির পাশাপাশি 'ম্যানেজ' করার কৌশল গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। মুঠোফোনে মেয়েটিকে ধর্মের নামে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। কিশোরীটি কালের কণ্ঠকে জানায়, শুক্রবার সকালে তার বাবার মোবাইল ফোনে আসামি দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের পক্ষ নিয়ে এক অপরিচিত ব্যক্তি কথা বলে। সে তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে সে কোরআন শরিফের দোহাই দিয়ে দেলোয়ার হোসেনের পরিবর্তে অন্য লোকের নাম বলতে চাপ দিতে থাকে।'
কিশোরীর মা জানান, বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে দেলোয়ারের পরিবারের লোকজন এখন ভিন্ন পথে হাঁটতে শুরু করেছে। তারা মামলার হাত থেকে বাঁচতে মীমাংসা করার জন্য বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে কথাবার্তা বলছে। ওই পক্ষের লোকজন হুমকি দিয়ে জানায়, একবার যদি তারা এই ঘটনার মীমাংসা করতে পারে তাহলে সারা জীবনের জন্য মামলা করার শিক্ষা দিয়ে দেবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরণখোলা থানার এসআই জগন্নাথ চন্দ্র কালের কণ্ঠকে জানান, আসামি দেলোয়ার হোসেনকে ধরতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চলছে। তন্নতন্ন করে খোঁজা হচ্ছে তাকে। আত্মগোপন করায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মৃত রাশেদ তালুকদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন তালুকদার (৫০) গত বছরের ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ পায়। তার মা দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করার সাত দিন পরও আসামি দেলোয়ার হোসেন তালুকদারকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এ দিকে আসামি পক্ষের লোকজন অভিযোগ তুলে না নিলে মামলা করার জন্য 'শিক্ষা' দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার সকালে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি আসামির পক্ষ নিয়ে মোবাইল ফোনে মেয়েটিকে ধর্মের দোহাই দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বলে।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর জেনে শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ওই স্কুলছাত্রীটিকে দেখতে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি ওই কিশোরী ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার দ্বারা বলপ্রয়োগে গর্ভপাত ঘটানোর কারণে কিশোরীটি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এ মুহূর্তে উন্নত চিকিৎসা করা না গেলে তার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে। যেহেতু মেয়েটি অতিদরিদ্র এবং হাসপাতালে তার পথ্য কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই- এ জন্য তার প্রতি রাষ্ট্রের বিশেষভাবে দায়-দায়িত্ব রয়েছে বলে আমরা মনে করি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রকেই তার সুবিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।' দেশব্যাপী এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন বলে জানান এবং এর কারণ খুঁজে বের করতে গভীর পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'এটি হচ্ছে দায়মুক্তির জন্য অপসংস্কৃতির মৃত্যুর শুভ সূচনা। এই রায়ে আমরা আশান্বিত, খুশি এবং আনন্দিত। আমাদের নাগালের মধ্যে যারা আছে, তাদের ক্ষেত্রে অনুরূপ সিদ্ধান্ত এবং অনুরূপভাবে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রায় প্রত্যাশা করছি।'
পরে সন্ধ্যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়মে অনুষ্ঠিত রোটারি ক্লাব বাগেরহাটের ৩০তম বার্ষিক অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
জানা গেছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় এবং জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির তত্ত্বাবধানে ওই কিশোরীকে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
এদিকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় আসামির লোকজন স্কুলছাত্রীটি ও তার পরিবারকে হুমকির পাশাপাশি 'ম্যানেজ' করার কৌশল গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। মুঠোফোনে মেয়েটিকে ধর্মের নামে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। কিশোরীটি কালের কণ্ঠকে জানায়, শুক্রবার সকালে তার বাবার মোবাইল ফোনে আসামি দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের পক্ষ নিয়ে এক অপরিচিত ব্যক্তি কথা বলে। সে তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে সে কোরআন শরিফের দোহাই দিয়ে দেলোয়ার হোসেনের পরিবর্তে অন্য লোকের নাম বলতে চাপ দিতে থাকে।'
কিশোরীর মা জানান, বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে দেলোয়ারের পরিবারের লোকজন এখন ভিন্ন পথে হাঁটতে শুরু করেছে। তারা মামলার হাত থেকে বাঁচতে মীমাংসা করার জন্য বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে কথাবার্তা বলছে। ওই পক্ষের লোকজন হুমকি দিয়ে জানায়, একবার যদি তারা এই ঘটনার মীমাংসা করতে পারে তাহলে সারা জীবনের জন্য মামলা করার শিক্ষা দিয়ে দেবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরণখোলা থানার এসআই জগন্নাথ চন্দ্র কালের কণ্ঠকে জানান, আসামি দেলোয়ার হোসেনকে ধরতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চলছে। তন্নতন্ন করে খোঁজা হচ্ছে তাকে। আত্মগোপন করায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মৃত রাশেদ তালুকদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন তালুকদার (৫০) গত বছরের ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ পায়। তার মা দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
No comments