সার্জিক্যাল সমস্যা- ত্বকের নিচে গোটা ও চাকা by ডা: মিজানুর রহমান কল্লোল
আপনি কি আপনার শরীরে, বিশেষ করে আপনার যৌনাঙ্গের কাছে ছোট গোটা কিংবা কোনো
চাকা লক্ষ করেছেন? এসব ছোট গোটা বা চাকা ত্বকের ঠিক নিচে পরিলক্ষিত হলে
পুরুষদের চেয়ে মহিলারাই বেশি সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠেন।
কারণ এসব সমস্যার সাথে তাদের শারীরিক সৌন্দর্য জড়িত। আবার অন্য ভয়ের
ব্যাপারও রয়েছে। মহিলাদের ত্বকের নিচের গোটা বা চাকাগুলো জেনিটাল হার্পিস
হতে পারে। জেনিটাল হার্পিস হলো এক ভিন্ন ধরনের যন্ত্রণাদায়ক ফোস্কাÑ যা
অবশেষে কঠিন আবরণীযুক্ত হয়ে ওঠে। ত্বকের নিচের কিছু গোটা বা চাকা সিবেশাস সিস্ট হতে পারে, যাকে অনেকেই এপিডার্মাল সিস্ট বলে থাকেন।
যদিও সিবেশাস সিস্ট সাধারণত গলা, ঘাড়, বুক ও পিঠে দেখা যায়, কিন্তু অনেক সময় এটি মহিলা ও পুরুষদের যৌনাঙ্গ এলাকায়ও দেখা যায়। সিবেশাস সিস্ট সাধারণত ব্যথাহীন, ধীরগতিতে বেড়ে ওঠা ছোট ছোট গোটা বা চাকা, যা স্পর্শ করলে মুক্তভাবে নড়াচড়া করে। সিবেশাস সিস্ট কী?
সিবেশাস সিস্ট হলো ত্বকের নিচে একটি বদ্ধ থলি, যার মধ্যে পেস্ট বা পনিরের মতো দেখতে বস্তু থাকে। এ বস্তুকে বলে কেরাটিন। কেরাটিন হলো একটি প্রোটিন, যা কোষগুলোর থলি তৈরি করে। আপনি আপনার ত্বকের নিচে প্রকৃতপক্ষে কোষগুলোর থলি অনুভব করেন। কী কারণে সিবেশাস সিস্ট হয়? সিবেশাস সিস্ট সচরাচর লোমকূপ ফুলে গেলে অথবা ত্বকে আঘাতের ফলে হয়। সিবেশাস সিস্টের উপসর্গগুলো কী? যোনি, যৌনাঙ্গ এলাকা, স্তন, পেট, মুখ, গলা কিংবা যেকোনো স্থানের ত্বকের নিচে ছোট চাকা বা গোটা হওয়া সিবেশাস সিস্টের সাধারণ উপসর্গ।
মাঝে মধ্যে ইনফেকশন হতে পারে। যেসব উপসর্গ দেখা দিলে সিবেশাস সিস্টের ইনফেকশন হয়েছে বুঝতে হবে সেসব উপসর্গ হলোÑ
Ñ স্থানটি লাল হওয়া
Ñ চাপ দিলে ব্যথা করা
Ñ গোটা বা চাকার ওপরের ত্বকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
Ñ গোটা বা চাকা ফেটে গিয়ে ধূসরিত সাদা, পনিরের মতো, দুর্গন্ধময় বস্তু বেরিয়ে আসা।
কিভাবে সিবেশাস সিস্ট নির্ণয় করবেন?
সাধারণত অভিজ্ঞ চোখে দেখে সিবেশাস সিস্ট সহজেই নির্ণয় করা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বায়োপসির প্রয়োজন হয়।
সিবেশাস সিস্টের চিকিৎসা
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সিবেশাস সিস্টগুলো নিজে নিজে মিলিয়ে যায়। অনেক সময় সিস্টগুলো লাল হয়ে যায়, বড় হয় এবং দৈনন্দিন জীবনে বিঘœ ঘটায়। এসব ক্ষেত্রে অপারেশন করে সিস্টগুলো ফেলে দেয়া হয়। সিবেশাস সিস্টের জটিলতা
সিবেশাস সিস্টগুলোতে মাঝে মধ্যে ইনফেকশন হতে পারে এবং ব্যথাপূর্ণ পুঁজ হতে পারে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, সিবেশাস সিস্ট অপারেশনের সময় সম্পূর্ণ থলিটি ফেলে দিতে হবে, না হলে আবার সিস্ট হতে পারে।
মনে রাখবেন, আপনার শরীরে যেকোনো ধরনের গোটা বা চাকা লক্ষ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন, কারণ ওই গোটা বা চাকা ত্বকের ক্যান্সার কি না, তা নিশ্চিত হওয়া দরকার।
লেখক : আবাসিক সার্জন, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
চেম্বার : ল্যাব সাইন্স ডায়াগনস্টিক লি:, ১৫৩/১ গ্রিন রোড (পান্থপথের কাছে), ঢাকা।
মোবাইল : ০১৮১৯৯৯২৫৫৬
যদিও সিবেশাস সিস্ট সাধারণত গলা, ঘাড়, বুক ও পিঠে দেখা যায়, কিন্তু অনেক সময় এটি মহিলা ও পুরুষদের যৌনাঙ্গ এলাকায়ও দেখা যায়। সিবেশাস সিস্ট সাধারণত ব্যথাহীন, ধীরগতিতে বেড়ে ওঠা ছোট ছোট গোটা বা চাকা, যা স্পর্শ করলে মুক্তভাবে নড়াচড়া করে। সিবেশাস সিস্ট কী?
সিবেশাস সিস্ট হলো ত্বকের নিচে একটি বদ্ধ থলি, যার মধ্যে পেস্ট বা পনিরের মতো দেখতে বস্তু থাকে। এ বস্তুকে বলে কেরাটিন। কেরাটিন হলো একটি প্রোটিন, যা কোষগুলোর থলি তৈরি করে। আপনি আপনার ত্বকের নিচে প্রকৃতপক্ষে কোষগুলোর থলি অনুভব করেন। কী কারণে সিবেশাস সিস্ট হয়? সিবেশাস সিস্ট সচরাচর লোমকূপ ফুলে গেলে অথবা ত্বকে আঘাতের ফলে হয়। সিবেশাস সিস্টের উপসর্গগুলো কী? যোনি, যৌনাঙ্গ এলাকা, স্তন, পেট, মুখ, গলা কিংবা যেকোনো স্থানের ত্বকের নিচে ছোট চাকা বা গোটা হওয়া সিবেশাস সিস্টের সাধারণ উপসর্গ।
মাঝে মধ্যে ইনফেকশন হতে পারে। যেসব উপসর্গ দেখা দিলে সিবেশাস সিস্টের ইনফেকশন হয়েছে বুঝতে হবে সেসব উপসর্গ হলোÑ
Ñ স্থানটি লাল হওয়া
Ñ চাপ দিলে ব্যথা করা
Ñ গোটা বা চাকার ওপরের ত্বকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
Ñ গোটা বা চাকা ফেটে গিয়ে ধূসরিত সাদা, পনিরের মতো, দুর্গন্ধময় বস্তু বেরিয়ে আসা।
কিভাবে সিবেশাস সিস্ট নির্ণয় করবেন?
সাধারণত অভিজ্ঞ চোখে দেখে সিবেশাস সিস্ট সহজেই নির্ণয় করা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বায়োপসির প্রয়োজন হয়।
সিবেশাস সিস্টের চিকিৎসা
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সিবেশাস সিস্টগুলো নিজে নিজে মিলিয়ে যায়। অনেক সময় সিস্টগুলো লাল হয়ে যায়, বড় হয় এবং দৈনন্দিন জীবনে বিঘœ ঘটায়। এসব ক্ষেত্রে অপারেশন করে সিস্টগুলো ফেলে দেয়া হয়। সিবেশাস সিস্টের জটিলতা
সিবেশাস সিস্টগুলোতে মাঝে মধ্যে ইনফেকশন হতে পারে এবং ব্যথাপূর্ণ পুঁজ হতে পারে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, সিবেশাস সিস্ট অপারেশনের সময় সম্পূর্ণ থলিটি ফেলে দিতে হবে, না হলে আবার সিস্ট হতে পারে।
মনে রাখবেন, আপনার শরীরে যেকোনো ধরনের গোটা বা চাকা লক্ষ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন, কারণ ওই গোটা বা চাকা ত্বকের ক্যান্সার কি না, তা নিশ্চিত হওয়া দরকার।
লেখক : আবাসিক সার্জন, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
চেম্বার : ল্যাব সাইন্স ডায়াগনস্টিক লি:, ১৫৩/১ গ্রিন রোড (পান্থপথের কাছে), ঢাকা।
মোবাইল : ০১৮১৯৯৯২৫৫৬
No comments