যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে
প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করা
হয়েছে যে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ মামলার প্রথম রায় নিয়ে বিতর্ক
সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে
মাওলানা আবুল কালাম আযাদকে তার অনুপস্থিতিতে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। মাওলানা
আযাদ বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান
প্রতিপ খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সহযোগীদের টার্গেট করার জন্য এই
বিচারপ্রক্রিয়াকে রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে। আদালতের নিরপেতা নিয়েও প্রশ্ন
উঠেছে। ইকোনমিস্টের ২৬ জানুয়ারির প্রিন্ট সংস্করণে এবং এর আগের দিন অনলাইন
সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে জামায়াত
থেকে দূরত্ব বজায় রাখা খালেদা জিয়ার পে সম্ভব নয়। চলতি বছরের শেষের দিকে
অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের আগেই জামায়াতের পুুরো শীর্ষ নেতৃত্বকে ফাঁসি
দেয়া হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা আশা করছেন যে, ১৯৭১ সালের ঘটনার জন্য এই
বিচারের মাধ্যমে জামায়াতের বিরুদ্ধে জনগণের মন বিষিয়ে তুলে তিনি আবারও মতায়
আসতে পারবেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, টিভিতে জনপ্রিয় ইসলামি অনুষ্ঠানের
উপস্থাপক মাওলানা আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে রায়কে শেখ হাসিনার জন্য একটি
বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে এই
ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের নিরপেতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে মন্তব্য করে ইকোনমিস্ট বলেছে,
ট্রাইবুনালের সাবেক চেয়ারম্যান আদালতের বাইরে অর্থাৎ বেলজিয়াম প্রবাসী
একজনের সাথে স্কাইপ কথোপকথন ও ইমেইল আদান-প্রদান করেন, যা নিয়ে গত ডিসেম্বর
মাসে রিপোর্ট প্রকাশ করে ইকোনমিস্ট। পরে ওই বিচারপতি পদত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত বলে মন্তব্য করে এর আগে
রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস, এএফপি ও রয়টার্সসহ বিভিন্ন
বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যম। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস
ওয়াচ বলেছে, যুদ্ধাপরাধ আদালত আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করছে না।
No comments