ড্রোন হামলার রাশ টানতে তদন্তে নামছে জাতিসংঘ
বেসামরিক নাগরিক ও জঙ্গি সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে চালানো ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলার পরিণতি এবং এর যৌক্তিকতার বিষয়টি তদন্ত করবে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য এবং পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের অনুরোধে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ জানায়, ড্রোন হামলা 'মাত্রাতিরিক্ত' বেড়ে যাওয়ায় একটি সঠিক আইনগত কাঠামো তৈরি করে এর রাশ টেনে ধরা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জাতিসংঘের বিশেষ তদন্তকারী ব্রিটিশ আইনজীবী বেন এমারসন কিউসিকে প্রধান করে একটি দল গঠন করা হয়েছে।
এমারসন লন্ডনে সাংবাদিকদের গত বৃহস্পতিবার জানান, যেসব ক্ষেত্রে ড্রোন হামলায় বড় ধরনের ভুল হচ্ছে সেসব ক্ষেত্রে 'জবাবদিহি ও ক্ষতিপূরণের' প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, ড্রোনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর প্রতি বাস্তবিকই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মের মধ্যে আনতে না পারলে এর ব্যবহার বাড়তেই থাকবে।
জাতিসংঘ তদন্তদল পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন ও সোমালিয়ায় চালানো ২০ থেকে ৩০টি হামলার তদন্ত করবে। বেসামরিক লোকজনের মৃত্যু, জঙ্গি সন্দেহে যাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হচ্ছে তাদের পরিচয় এবং যেসব জায়গায় সংঘাত জাতিসংঘের স্বীকৃতির মধ্যে পড়ে না, সেসব জায়গায় চালানো হামলার বিষয়গুলো বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের 'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে' ড্রোনের ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমেই বাড়ছে। এসব হামলায় বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার ঘটনায় এর ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক চলছে অনেক দিন ধরে। ড্রোন ব্যবহারকারীরা দাবি করছে, বেসামরিক হতাহতের মাত্রা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে ড্রোন হামলায় কয়েক শ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। ড্রোন হামলার বিরোধিতাকারীদের দাবি, এর ফলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাড়ছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ব্যুরোর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় পাকিস্তানে ২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সালের শুরু পর্যন্ত তিন হাজার ৪৬১ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৮৯১ জনই বেসামরিক নাগরিক। আর এসব হামলার বেশির ভাগই চালানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনের অধীনে।
এমারসন জানান, অনেক সময় দেখা গেছে, প্রথম দফা ড্রোন হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চলাকালে দ্বিতীয় হামলা হয়েছে। এতে অনেক উদ্ধারকর্মীও মারা গেছেন। এমারসন জানান, এ ধরনের ঘটনা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ড্রোন হামলা নিয়ে চালানো তদন্তের প্রতিবেদন এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জমা দেওয়া হবে। তদন্তকাজের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়। এ ব্যাপারে এমারসনকে সহায়তা করবেন পাবলিক প্রসিকিউশনের সাবেক পরিচালক লর্ড ম্যাকডোনাল্ড কিউসি, সাবেক যুগোস্লাভিয়াবিষয়ক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক আইনজীবী স্যার জিওফ্রে নাইস কিউসি ও যুক্তরাজ্যের অভিজ্ঞ প্যাথলজিস্ট ড. নাট ক্যারি। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
এমারসন লন্ডনে সাংবাদিকদের গত বৃহস্পতিবার জানান, যেসব ক্ষেত্রে ড্রোন হামলায় বড় ধরনের ভুল হচ্ছে সেসব ক্ষেত্রে 'জবাবদিহি ও ক্ষতিপূরণের' প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, ড্রোনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর প্রতি বাস্তবিকই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মের মধ্যে আনতে না পারলে এর ব্যবহার বাড়তেই থাকবে।
জাতিসংঘ তদন্তদল পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন ও সোমালিয়ায় চালানো ২০ থেকে ৩০টি হামলার তদন্ত করবে। বেসামরিক লোকজনের মৃত্যু, জঙ্গি সন্দেহে যাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হচ্ছে তাদের পরিচয় এবং যেসব জায়গায় সংঘাত জাতিসংঘের স্বীকৃতির মধ্যে পড়ে না, সেসব জায়গায় চালানো হামলার বিষয়গুলো বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের 'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে' ড্রোনের ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমেই বাড়ছে। এসব হামলায় বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার ঘটনায় এর ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক চলছে অনেক দিন ধরে। ড্রোন ব্যবহারকারীরা দাবি করছে, বেসামরিক হতাহতের মাত্রা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে ড্রোন হামলায় কয়েক শ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। ড্রোন হামলার বিরোধিতাকারীদের দাবি, এর ফলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাড়ছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ব্যুরোর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় পাকিস্তানে ২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সালের শুরু পর্যন্ত তিন হাজার ৪৬১ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৮৯১ জনই বেসামরিক নাগরিক। আর এসব হামলার বেশির ভাগই চালানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনের অধীনে।
এমারসন জানান, অনেক সময় দেখা গেছে, প্রথম দফা ড্রোন হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চলাকালে দ্বিতীয় হামলা হয়েছে। এতে অনেক উদ্ধারকর্মীও মারা গেছেন। এমারসন জানান, এ ধরনের ঘটনা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ড্রোন হামলা নিয়ে চালানো তদন্তের প্রতিবেদন এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জমা দেওয়া হবে। তদন্তকাজের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়। এ ব্যাপারে এমারসনকে সহায়তা করবেন পাবলিক প্রসিকিউশনের সাবেক পরিচালক লর্ড ম্যাকডোনাল্ড কিউসি, সাবেক যুগোস্লাভিয়াবিষয়ক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক আইনজীবী স্যার জিওফ্রে নাইস কিউসি ও যুক্তরাজ্যের অভিজ্ঞ প্যাথলজিস্ট ড. নাট ক্যারি। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
No comments