ফুটবল মাঠে দাঙ্গার মামলা-২১ জনের মৃত্যুদণ্ড, রায়ের পর সংঘর্ষে ২২ জন নিহত
গত বছর ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দাঙ্গায় যুক্ত থাকার দায়ে ২১ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মিসরের একটি আদালত। এ রায়কে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার পোর্ট সাইদে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
আহত হয়েছে দুই শতাধিক। নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। দেশজুড়ে চলমান অরাজক পরিস্থিতি নিরসনে 'সমন্বিত উদ্যোগ' না নিলে আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিরোধী দলগুলোর জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট।
মিসরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর নগরী পোর্ট সাইদে গত ফেব্রুয়ারিতে ফুটবল খেলার মাঠে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় ক্লাব আল-মাসরির সমর্থকরা কায়রোর ক্লাব আল-আহলির সমর্থকদের লক্ষ্য করে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। আল-আহলির কিছু সদস্য হোসনি মুবারকবিরোধী বিক্ষোভে সক্রিয় ছিলেন। সংঘর্ষে ফুটবল মাঠেই পুলিশ সদস্যসহ ৭৪ জন মারা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের অন্যান্য স্থানে দাঙ্গায় পরে আরো অন্তত ২০ জন মারা যায় এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়। ওই ঘটনায় ৯ পুলিশ, আল-মাসরি ক্লাবের কয়েকজন কর্মকর্তা ও সমর্থকসহ মোট ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তবে আল-আহলির কেউ অভিযুক্ত হননি।
গতকাল কায়রোর একটি আদালত দোষী সাব্যস্ত ২১ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। আগামী ৯ মার্চ অভিযুক্ত আরো ৫২ জনের বিচারের রায় দেওয়া হবে।
গতকাল রায় ঘোষণার পরপরই পোর্ট সাইদে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আল-মাসরির সমর্থকরা স্থানীয় থানাগুলোতে হামলা চালায়। অভিযুক্তদের আটক করে রাখা কারাগারেও হামলা চালানো হয়। কারাগারে দায়িত্বরত দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পোর্ট সাইদে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কারাগারের আশপাশে কিছু সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়।
তবে ২১ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে গত বছর দাঙ্গায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করে। হাসান মুস্তাফা নামের একজন বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীরা উপযুক্ত সাজা পেয়েছে।'
এদিকে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকবিরোধী আন্দোলন শুরুর দুই বছর পূর্তির মাত্র এক দিন পরেই পোর্ট সাইদে সহিংসতার ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশের এ অস্থিরতা নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্ট নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়েছে প্রধান বিরোধীদলীয় জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
মিসরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর নগরী পোর্ট সাইদে গত ফেব্রুয়ারিতে ফুটবল খেলার মাঠে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় ক্লাব আল-মাসরির সমর্থকরা কায়রোর ক্লাব আল-আহলির সমর্থকদের লক্ষ্য করে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। আল-আহলির কিছু সদস্য হোসনি মুবারকবিরোধী বিক্ষোভে সক্রিয় ছিলেন। সংঘর্ষে ফুটবল মাঠেই পুলিশ সদস্যসহ ৭৪ জন মারা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের অন্যান্য স্থানে দাঙ্গায় পরে আরো অন্তত ২০ জন মারা যায় এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়। ওই ঘটনায় ৯ পুলিশ, আল-মাসরি ক্লাবের কয়েকজন কর্মকর্তা ও সমর্থকসহ মোট ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তবে আল-আহলির কেউ অভিযুক্ত হননি।
গতকাল কায়রোর একটি আদালত দোষী সাব্যস্ত ২১ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। আগামী ৯ মার্চ অভিযুক্ত আরো ৫২ জনের বিচারের রায় দেওয়া হবে।
গতকাল রায় ঘোষণার পরপরই পোর্ট সাইদে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আল-মাসরির সমর্থকরা স্থানীয় থানাগুলোতে হামলা চালায়। অভিযুক্তদের আটক করে রাখা কারাগারেও হামলা চালানো হয়। কারাগারে দায়িত্বরত দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পোর্ট সাইদে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কারাগারের আশপাশে কিছু সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়।
তবে ২১ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে গত বছর দাঙ্গায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করে। হাসান মুস্তাফা নামের একজন বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীরা উপযুক্ত সাজা পেয়েছে।'
এদিকে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকবিরোধী আন্দোলন শুরুর দুই বছর পূর্তির মাত্র এক দিন পরেই পোর্ট সাইদে সহিংসতার ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশের এ অস্থিরতা নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় পার্লামেন্ট নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়েছে প্রধান বিরোধীদলীয় জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments