মেস ছাত্রাবাস ঘাঁটিতে চট্টগ্রাম পুলিশের ব্যর্থ অভিযান- শিবির ক্যাডারদের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৈশাচিক তা-বলীলার ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রাম মহানগরীতে গভীর রাত পর্যনত্ম চিরম্ননির নামে পুলিশী অভিযান সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি চিহ্নিত কোন শিবির ক্যাডারকে।
উদ্ধার করতে পারেনি গোলাবারম্নদ বা আগ্নেয়াস্ত্র। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে শিবির ক্যাডারদের প্রত্যেকের হাতে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারম্নদ রয়েছে। সুযোগে এরা এসব অস্ত্রের সদ্ব্যবহার করে। অভিযোগ রয়েছে, তফসিরম্নল কোরআন মাহফিলের নামে চট্টগ্রামে জামায়াত ও ছাত্র শিবিরকে সংগঠিত করা হয়েছে। এর নেপথ্যে ভূমিকায় রয়েছে জামায়াত-শিবির পরিচালিত ইসলামিক সমাজ কল্যাণ পরিষদ। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রামে একাধিক কোচিং সেন্টারও প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব সেন্টারে কোচিংয়ের আড়ালে জামায়াত-শিবিরের মূল মন্ত্র পেঁৗছে দেয়ার অপতৎপরতা চলে অনত্মত কৌশলে।চট্টগ্রামে শিবিরের প্রায় দেড় শতাধিক হোস্টেল ও মেসকে ঘিরে সিএমপি'র প থেকে চিরম্ননি অভিযান নামে শুরম্ন হয় বুধবার গভীর রাতে। শিবির অধু্যষিত এলাকা হিসেবে খ্যাত নগরীর চকবাজার, দেবপাহাড়, কাতালগঞ্জ, জয়নগর, পাঁচলাইশ, ষোলশহর, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কটেজ, পাহাড়তলী, খুলশী, আগ্রাবাদ, চৌমুহনীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। শুধুমাত্র কোতোয়ালি থানা পুলিশের প থেকে ত্রিশ সদস্যের একটি টিম চকবাজারকেন্দ্রিক শিবিরের ছাত্রাবাসগুলোতে অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানে সিএমপি পুলিশকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে জামায়াতীকরণের কারণে। মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতা অভিযোগ করেছেন সিএমপি'র শীর্ষসহ বেশ কিছু কর্মকর্তার বিএনপি-জামায়াতপ্রীতি থাকায় নামমাত্র একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ফলে শিবিরের প্রায় দশটি ছাত্রাবাস ও মেসে কোতোয়ালি থানা পুলিশের দল অভিযান চালিয়েও চিহ্নিত কোন ক্যাডার সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
No comments