হয়রানির অভিযোগ-রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে দেশ ছাড়তে পারেন বিনায়কের স্ত্রী
মাওবাদী আন্দোলনে সহায়তার অভিযোগে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের মানবাধিকার কর্মী ও চিকিৎসক বিনায়ক সেনের স্ত্রী এলিনা সেন বলেছেন, দুই সন্তান ও পরিবার নিয়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ছত্তিশগড়ের রাজ্য পুলিশ ও অজ্ঞাত লোকজন তাঁকে হুমকি দিচ্ছে।
এ অবস্থায় কোনো উদার গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া ছাড়া তাঁর আর গতি নেই। রাজধানী নয়াদিলি্লতে সাংবাদিকদের গত সোমবার এ কথা বলেন এলিনা।
মাওবাদীদের সহায়তা ও দেশদ্রোহিতায় মদদ দেওয়ার দায়ে গত মাসের শেষদিকে বিনায়ককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ছত্তিশগড়ের আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি মানবাধিকার কর্মীদের। 'বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড' লঙ্ঘন করে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এলিনা নিজে একজন সমাজকর্মী এবং একটি বেসরকারি সংস্থার পরিচালক। তিনি জানান, স্বামী কারাবন্দি হওয়ার পর তিনি দুই মেয়ে ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ছত্তিশগড়ের পুলিশ এখন তাঁকে হয়রানি করছে। হয়রানি এড়াতে তিনি সম্প্রতি ছত্তিশগড় ছেড়ে মহারাষ্ট্রে চলে যান। এলিনা বলেন, 'পুলিশ সব সময় আমাদের পেছনে লেগে আছে। অজ্ঞাত লোকজন বেনামি চিঠিতে ও টেলিফোনে হুমকি দিচ্ছে। আমাদের ফোনেও আঁড়িপাতা হচ্ছে। আমার বাড়িওয়ালাকে পর্যন্ত পুলিশ ডেকে নিয়ে আমার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।'
এলিনা বলেন, 'বিনায়কের মামলা পুরোটাই সাজানো। আমি জানি, একথা বলার জন্য আদালত অবমাননার দায়ে আমাকেও দোষী করা হতে পারে। দয়া করে আমাকেও কারাবন্দি করুন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমার সামনে একটাই পথ খোলা আছে, তা হচ্ছে_সোজা কোনো উদার গণতান্ত্রিক দেশের দূতাবাসে হাজির হয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া।'
এলিনা বলেন, 'বিনায়কের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা খুবই অস্পষ্ট। একটা শিশুও বুঝতে পারবে, মামলায় সত্যের লেশমাত্র নেই। সরকার এখন আমার বিরুদ্ধেও আইএসআইয়ের (পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তুলছে।'
তবে ছত্তিশগড়ের সরকারি কর্মকর্তারা এলিনার এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। তাঁদের মতে, প্রচার পাওয়ার জন্য একটা স্টান্ট হিসেবে এলিনা এসব অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন।
মার্কিন ভাষাবিদ নোম চমস্কি, ভারতের ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপারসহ বেশ কয়েকজন প্রসিদ্ধ শিক্ষাবিদ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ছত্তিশগড় আদালতের আদেশে তাঁরা গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন। এর আগে ২০ জন নোবেল পুরস্কার জয়ী বিনায়ককে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান ভারতীয় সরকারের প্রতি। সূত্র : বিবিসি, পিটিআই।
মাওবাদীদের সহায়তা ও দেশদ্রোহিতায় মদদ দেওয়ার দায়ে গত মাসের শেষদিকে বিনায়ককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ছত্তিশগড়ের আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি মানবাধিকার কর্মীদের। 'বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড' লঙ্ঘন করে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এলিনা নিজে একজন সমাজকর্মী এবং একটি বেসরকারি সংস্থার পরিচালক। তিনি জানান, স্বামী কারাবন্দি হওয়ার পর তিনি দুই মেয়ে ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ছত্তিশগড়ের পুলিশ এখন তাঁকে হয়রানি করছে। হয়রানি এড়াতে তিনি সম্প্রতি ছত্তিশগড় ছেড়ে মহারাষ্ট্রে চলে যান। এলিনা বলেন, 'পুলিশ সব সময় আমাদের পেছনে লেগে আছে। অজ্ঞাত লোকজন বেনামি চিঠিতে ও টেলিফোনে হুমকি দিচ্ছে। আমাদের ফোনেও আঁড়িপাতা হচ্ছে। আমার বাড়িওয়ালাকে পর্যন্ত পুলিশ ডেকে নিয়ে আমার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।'
এলিনা বলেন, 'বিনায়কের মামলা পুরোটাই সাজানো। আমি জানি, একথা বলার জন্য আদালত অবমাননার দায়ে আমাকেও দোষী করা হতে পারে। দয়া করে আমাকেও কারাবন্দি করুন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমার সামনে একটাই পথ খোলা আছে, তা হচ্ছে_সোজা কোনো উদার গণতান্ত্রিক দেশের দূতাবাসে হাজির হয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া।'
এলিনা বলেন, 'বিনায়কের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা খুবই অস্পষ্ট। একটা শিশুও বুঝতে পারবে, মামলায় সত্যের লেশমাত্র নেই। সরকার এখন আমার বিরুদ্ধেও আইএসআইয়ের (পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তুলছে।'
তবে ছত্তিশগড়ের সরকারি কর্মকর্তারা এলিনার এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। তাঁদের মতে, প্রচার পাওয়ার জন্য একটা স্টান্ট হিসেবে এলিনা এসব অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন।
মার্কিন ভাষাবিদ নোম চমস্কি, ভারতের ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপারসহ বেশ কয়েকজন প্রসিদ্ধ শিক্ষাবিদ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ছত্তিশগড় আদালতের আদেশে তাঁরা গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন। এর আগে ২০ জন নোবেল পুরস্কার জয়ী বিনায়ককে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান ভারতীয় সরকারের প্রতি। সূত্র : বিবিসি, পিটিআই।
No comments