সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ব্রিফিং- অস্ত্র কেনায় অস্বচ্ছতা নেই
রাশিয়া থেকে আট হাজার কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কেনার চুক্তিতে কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা নেই। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই চুক্তি করা হয়েছে। এ কথা বলেছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিমানবাহিনীর ফ্যালকন সেন্টারে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলা হয়। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, মাস্টার জেনারেল অব অর্ডিন্যান্স মেজর জেনারেল আবদুল মতিন ও বিমানবাহিনীর সহকারী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবু এসরার তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
কর্মকর্তারা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জাম কেনার চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাতে টেলিভিশনের টক-শোতে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। এ জন্য স্বচ্ছতার স্বার্থে সব তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। তাঁরা বলেন, এ চুক্তি হঠাৎ করে হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও বোঝাপড়ার পরই চুক্তি হয়েছে। এসব চুক্তির ফলে যেসব কেনাকাটা হবে, তাতে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী নেই। দুই সরকারের মধ্যে অর্থ লেনদেন হবে। এখানে কমিশনের কোনো কিছু নেই।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, চুক্তির আওতায় রাশিয়া এক বিলিয়ন ডলার (আট হাজার কোটি টাকা) ঋণ দেবে। এ ঋণের অর্থে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, এপিসি, পন্টুন সেতু, প্রশিক্ষণ বিমান, সামরিক হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা হবে। এ চুক্তি খুবই নমনীয়। দুই দেশের সম্মতিক্রমে যেকোনো অস্ত্র বা সরঞ্জাম এ চুক্তিতে সংযোজন বা বিয়োজন করা যাবে। আবার প্রতিটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন চুক্তি হবে।
কর্মকর্তারা বলেন, এ ঋণ ব্যবহারের সময়কাল ২০১৩-১৭ সাল পর্যন্ত। এর পরও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো যাবে। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০ কিস্তিতে ১০ বছর ধরে এ ঋণ পরিশোধ করা হবে। এ জন্য বার্ষিক সুদ দিতে হবে সাড়ে ৪ শতাংশ। পুরো অর্থ সেনাবাহিনীর বার্ষিক বাজেট থেকে পরিশোধ করা হবে। এ চুক্তির আওতায় অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনা হবে ২০১৭ সালের মধ্যে এবং ঋণ শোধ করা শুরু হবে ২০১৮ সাল থেকে। সে সময় এসব অস্ত্র ও সরঞ্জামের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্রিফিংয়ের পর কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সামরিক সরঞ্জাম কেনা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তাহলে মন্ত্রণালয়কে বাদ দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কেন ব্রিফিং করছে? জবাবে কর্মকর্তারা বলেন, যা হয়েছে সবই সশস্ত্র বাহিনীর জন্য। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এসব তত্ত্বাবধান করছে।
সরকারের তো প্রতিরক্ষা নীতিই নেই, তাহলে সরঞ্জাম কেনার পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে কোন লক্ষ্য সামনে রেখে? কর্মকর্তারা বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা নীতি কী হবে, তা সংবিধানে আছে। তা ছাড়া ফোর্সেস গোলের আওতায় সব বাহিনী তাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেই পরিকল্পনার আওতায় এসব কেনা হচ্ছে।
অস্ত্র ক্রয় চুক্তির ব্যাপারে মন্ত্রিসভা কমিটিতে কোনো আলোচনা না করে গোপনে চুক্তি করার কারণ জানতে চাওয়া হলে বলা হয়, চুক্তিটি অস্বচ্ছ নয়, কিন্তু গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর জন্য সব ধরনের সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে গোপনীয়তা রক্ষার রীতি আছে।
বাংলাদেশের মতো দেশের এত অস্ত্র কেনার প্রয়োজন কী? সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংখ্যাটা বড় নয়। একসঙ্গে কেনা হচ্ছে বলে বড় মনে হচ্ছে। কিন্তু আগেও এ ধরনের সরঞ্জাম অনেক কেনা হয়েছে। এসব অস্ত্র শান্তিরক্ষা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। দেশ ও সেনাবাহিনীর প্রয়োজন এবং প্রতিরক্ষাকে সুরক্ষিত করতে এসব অস্ত্র সরঞ্জামের তালিকা করা হয়েছে।
অস্ত্র কেনার জন্য এত উচ্চসুদে ঋণ নেওয়া সমীচীন কি না, জানতে চাইলে বলা হয়, এটা চড়া সুদ নয়। এর চেয়ে বেশি সুদেও সামরিক বাহিনীর জন্য সরঞ্জাম কেনা হয়েছে।
এর আগে কেনা মিগ-২৯-এর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্মকর্তারা বলেন, আটটি মিগের দুটি মেরামতের জন্য বিদেশে গেছে। এখন মিগ কেনার পরিকল্পনা নেই। তার বদলে চীন থেকে পাইলট বিমান কেনা হচ্ছে। সাবমেরিন কেনার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন আছে।
কর্মকর্তারা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক সরঞ্জাম কেনার চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাতে টেলিভিশনের টক-শোতে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। এ জন্য স্বচ্ছতার স্বার্থে সব তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। তাঁরা বলেন, এ চুক্তি হঠাৎ করে হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও বোঝাপড়ার পরই চুক্তি হয়েছে। এসব চুক্তির ফলে যেসব কেনাকাটা হবে, তাতে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী নেই। দুই সরকারের মধ্যে অর্থ লেনদেন হবে। এখানে কমিশনের কোনো কিছু নেই।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, চুক্তির আওতায় রাশিয়া এক বিলিয়ন ডলার (আট হাজার কোটি টাকা) ঋণ দেবে। এ ঋণের অর্থে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, এপিসি, পন্টুন সেতু, প্রশিক্ষণ বিমান, সামরিক হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা হবে। এ চুক্তি খুবই নমনীয়। দুই দেশের সম্মতিক্রমে যেকোনো অস্ত্র বা সরঞ্জাম এ চুক্তিতে সংযোজন বা বিয়োজন করা যাবে। আবার প্রতিটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন চুক্তি হবে।
কর্মকর্তারা বলেন, এ ঋণ ব্যবহারের সময়কাল ২০১৩-১৭ সাল পর্যন্ত। এর পরও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো যাবে। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০ কিস্তিতে ১০ বছর ধরে এ ঋণ পরিশোধ করা হবে। এ জন্য বার্ষিক সুদ দিতে হবে সাড়ে ৪ শতাংশ। পুরো অর্থ সেনাবাহিনীর বার্ষিক বাজেট থেকে পরিশোধ করা হবে। এ চুক্তির আওতায় অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনা হবে ২০১৭ সালের মধ্যে এবং ঋণ শোধ করা শুরু হবে ২০১৮ সাল থেকে। সে সময় এসব অস্ত্র ও সরঞ্জামের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্রিফিংয়ের পর কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সামরিক সরঞ্জাম কেনা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তাহলে মন্ত্রণালয়কে বাদ দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কেন ব্রিফিং করছে? জবাবে কর্মকর্তারা বলেন, যা হয়েছে সবই সশস্ত্র বাহিনীর জন্য। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এসব তত্ত্বাবধান করছে।
সরকারের তো প্রতিরক্ষা নীতিই নেই, তাহলে সরঞ্জাম কেনার পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে কোন লক্ষ্য সামনে রেখে? কর্মকর্তারা বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা নীতি কী হবে, তা সংবিধানে আছে। তা ছাড়া ফোর্সেস গোলের আওতায় সব বাহিনী তাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেই পরিকল্পনার আওতায় এসব কেনা হচ্ছে।
অস্ত্র ক্রয় চুক্তির ব্যাপারে মন্ত্রিসভা কমিটিতে কোনো আলোচনা না করে গোপনে চুক্তি করার কারণ জানতে চাওয়া হলে বলা হয়, চুক্তিটি অস্বচ্ছ নয়, কিন্তু গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর জন্য সব ধরনের সরঞ্জাম কেনার ব্যাপারে গোপনীয়তা রক্ষার রীতি আছে।
বাংলাদেশের মতো দেশের এত অস্ত্র কেনার প্রয়োজন কী? সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংখ্যাটা বড় নয়। একসঙ্গে কেনা হচ্ছে বলে বড় মনে হচ্ছে। কিন্তু আগেও এ ধরনের সরঞ্জাম অনেক কেনা হয়েছে। এসব অস্ত্র শান্তিরক্ষা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। দেশ ও সেনাবাহিনীর প্রয়োজন এবং প্রতিরক্ষাকে সুরক্ষিত করতে এসব অস্ত্র সরঞ্জামের তালিকা করা হয়েছে।
অস্ত্র কেনার জন্য এত উচ্চসুদে ঋণ নেওয়া সমীচীন কি না, জানতে চাইলে বলা হয়, এটা চড়া সুদ নয়। এর চেয়ে বেশি সুদেও সামরিক বাহিনীর জন্য সরঞ্জাম কেনা হয়েছে।
এর আগে কেনা মিগ-২৯-এর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্মকর্তারা বলেন, আটটি মিগের দুটি মেরামতের জন্য বিদেশে গেছে। এখন মিগ কেনার পরিকল্পনা নেই। তার বদলে চীন থেকে পাইলট বিমান কেনা হচ্ছে। সাবমেরিন কেনার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন আছে।
No comments