পুলিশ সপ্তাহের তাৎপর্য কোথায়?
গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি দলীয় পরিচয় বিবেচনা না করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আবারও পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগেও তিনি বেশ কয়েকবার অনুরূপ আহ্বান জানান।
এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলে সমাজ থেকে অপরাধপ্রবণতা কমতে বাধ্য। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে আমরাও একমত। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সমাজ থেকে অপরাধপ্রবণতা কমছে না, বরং অনেক ক্ষেত্রে তা বেড়ে যাচ্ছে। এর অর্থ দাঁড়ায়, আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না, অথবা আইন প্রয়োগে শিথিলতা অনেক বেশি।
পৃথিবীর সব দেশেই পুলিশ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে 'দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন'। কিন্তু আমাদের দেশের পুলিশের কর্মকাণ্ড দেখে সেই আস্থা আমরা অর্জন করতে পারছি না, যে কারণে এ দেশে পুলিশ এখনো জনগণের বন্ধু হতে পারেনি। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, ইতিপূর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই আমাদের এমন আশ্বাস দিয়েছেন, পুলিশ বাহিনী এবার তাদের সত্যিকারের ভাবমূর্তি গড়ে তুলবে। জনগণের বন্ধু হিসেবেই তাদের আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
কিন্তু এসব শুধু কাগুজে বুলি হিসেবেই থেকে গেছে। যে কারণে খোদ পুলিশ বিভাগেই পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তুষ্টি লক্ষ করা যায়। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, কিছুদিন আগে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মেলনে এমনও অভিযোগ উঠেছিল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশ ঠিকমতো তামিল করেন না। এর কারণ অজানা নয়। একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁর নির্ধারিত বেতনের জন্য চাকরি করেন না। বেতনের ১০-২০ গুণ আয় না হলে তাঁর পোষায় না। আর সে আয়টি অবশ্যই অবৈধ আয়। অর্থাৎ অপরাধের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে অর্জিত আয়। এ আয় অব্যাহত থাকলে অপরাধও অব্যাহত থাকবে। পুলিশ সপ্তাহ করেও কোনো লাভ হবে না। এসব আনুষ্ঠানিকতায় বলা সব ভালো কথাই কেবল 'কাগুজে বুলি' হয়ে থেকে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। পুলিশের কর্মকাণ্ড দিয়ে এটি প্রমাণ করতে হবে, আইন ভঙ্গকারী যত ক্ষমতাধর বা শক্তিশালীই হোক না কেন, আইন ভাঙলে তাদের শাস্তি পেতেই হবে। এ ক্ষেত্রে কে কোন দলের, তা বিবেচনা করা যাবে না। এ জন্য তিনি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সব রকম ভয়ভীতির ঊধর্ে্ব থেকে কাজ করারও আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু আবারও বলছি, শুধু কথায় কাজ হবে না। এ জন্য 'সিস্টেম'-এর মধ্যে যেসব ত্রুটি রয়েছে, সেগুলো দূর করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সম্প্রতি আমরা সে ধরনের কিছু দৃষ্টান্ত দেখতে পেয়েছি এবং কিছুটা আশান্বিত হয়েছি।
কিন্তু পরিমাণে তা এতই নগণ্য, তাতে এত দিনের সিস্টেমের পুঞ্জীভূত গলদ দূর হবে না। এ জন্য প্রয়োগ ক্ষেত্রে পুলিশের কাজকর্ম তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে এবং দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, একজন পুলিশ সদস্য যাতে সৎভাবে মানসম্মান নিয়ে জীবনযাপন করতে পারে, সেভাবে তাদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়ন ও শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। সর্বোপরি পুলিশের সদস্যসংখ্যা বাড়াতে হবে।
সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় চাওয়া মানসম্মান নিয়ে নিরাপদে জীবনযাপন করা। এটি তার মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারও বটে। আর অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আমরা কেবল 'কাগুজে বুলি' শুনতে চাই না। এবারের পুলিশ সপ্তাহে আমাদের প্রত্যাশা, পুলিশ বাহিনী দেশে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করবে।
পৃথিবীর সব দেশেই পুলিশ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে 'দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন'। কিন্তু আমাদের দেশের পুলিশের কর্মকাণ্ড দেখে সেই আস্থা আমরা অর্জন করতে পারছি না, যে কারণে এ দেশে পুলিশ এখনো জনগণের বন্ধু হতে পারেনি। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, ইতিপূর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই আমাদের এমন আশ্বাস দিয়েছেন, পুলিশ বাহিনী এবার তাদের সত্যিকারের ভাবমূর্তি গড়ে তুলবে। জনগণের বন্ধু হিসেবেই তাদের আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
কিন্তু এসব শুধু কাগুজে বুলি হিসেবেই থেকে গেছে। যে কারণে খোদ পুলিশ বিভাগেই পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তুষ্টি লক্ষ করা যায়। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, কিছুদিন আগে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মেলনে এমনও অভিযোগ উঠেছিল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশ ঠিকমতো তামিল করেন না। এর কারণ অজানা নয়। একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁর নির্ধারিত বেতনের জন্য চাকরি করেন না। বেতনের ১০-২০ গুণ আয় না হলে তাঁর পোষায় না। আর সে আয়টি অবশ্যই অবৈধ আয়। অর্থাৎ অপরাধের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে অর্জিত আয়। এ আয় অব্যাহত থাকলে অপরাধও অব্যাহত থাকবে। পুলিশ সপ্তাহ করেও কোনো লাভ হবে না। এসব আনুষ্ঠানিকতায় বলা সব ভালো কথাই কেবল 'কাগুজে বুলি' হয়ে থেকে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। পুলিশের কর্মকাণ্ড দিয়ে এটি প্রমাণ করতে হবে, আইন ভঙ্গকারী যত ক্ষমতাধর বা শক্তিশালীই হোক না কেন, আইন ভাঙলে তাদের শাস্তি পেতেই হবে। এ ক্ষেত্রে কে কোন দলের, তা বিবেচনা করা যাবে না। এ জন্য তিনি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সব রকম ভয়ভীতির ঊধর্ে্ব থেকে কাজ করারও আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু আবারও বলছি, শুধু কথায় কাজ হবে না। এ জন্য 'সিস্টেম'-এর মধ্যে যেসব ত্রুটি রয়েছে, সেগুলো দূর করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সম্প্রতি আমরা সে ধরনের কিছু দৃষ্টান্ত দেখতে পেয়েছি এবং কিছুটা আশান্বিত হয়েছি।
কিন্তু পরিমাণে তা এতই নগণ্য, তাতে এত দিনের সিস্টেমের পুঞ্জীভূত গলদ দূর হবে না। এ জন্য প্রয়োগ ক্ষেত্রে পুলিশের কাজকর্ম তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে এবং দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, একজন পুলিশ সদস্য যাতে সৎভাবে মানসম্মান নিয়ে জীবনযাপন করতে পারে, সেভাবে তাদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়ন ও শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। সর্বোপরি পুলিশের সদস্যসংখ্যা বাড়াতে হবে।
সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় চাওয়া মানসম্মান নিয়ে নিরাপদে জীবনযাপন করা। এটি তার মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারও বটে। আর অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আমরা কেবল 'কাগুজে বুলি' শুনতে চাই না। এবারের পুলিশ সপ্তাহে আমাদের প্রত্যাশা, পুলিশ বাহিনী দেশে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করবে।
No comments