কাপাসিয়াবাসী বিভ্রান্ত- কাশফিয়াকে কোন ইঙ্গিত দিলেন রিমি! by একেএম রিপন আনসারী
কাশফিয়া (ছদ্মনাম) ধর্ষণের ১৩ দিন পর
সংবাদ সম্মেলন করে কাজল মোল্লার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্কের কথা অস্বীকার
করেছেন কাপাসিয়ার সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
তিনি জানিয়েছেন, কাজল মোল্লা তার এপিএস তো নয়ই, এমনকি আওয়ামী লীগেরও কেউ নয়।
ওই
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথির মর্যাদায় রিমির পাশেই বসেছিলেন কাশফিয়ার
পক্ষে মানবাধিকার সংগঠনের দায়ের করা রিট মামলায় অভিযুক্ত সাবেক এমপি মো.
শহীদুল্লাহ। সম্মেলন শেষে অন্যান্য কর্মসূচিতে রিমির সঙ্গে ছিলেন কাশফিয়াকে
নির্যাতন ঘটনায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত আসাদুল্লাহ ওরফে আসাদও।
বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, রিমির এপিএস হিসেবে কাপাসিয়ার উপ-নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন কাজল মোল্লা।রিমির নিজ কেন্দ্র দরদরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেওয়ার সময় তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কাশফিয়া নির্যাতন মামলার প্রধান অভিযুক্ত কাজল মোল্লা।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমির ভোট দেওয়ার স্থিরচিত্র সব মিডিয়ায় ফলাওভাবে প্রচার ও প্রকাশ হয়েছে। সে সময়ে কোন মিডিয়া যদি রিমির ভোট দেওয়ার দৃশ্য প্রচার বা প্রকাশ না করতো তাহলে রিমির সঙ্গে কাজল মোল্লার সম্পর্ক ছিলো না বলে দাবি করলে তা যৌক্তিক হতো।
বাস্তবে কাপাসিয়া উপ-নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভাতিজি রিমি ও চাচা আফছার একই কেন্দ্রে ভোট দেবেন জানতে পেরে সব মিডিয়া আগের রাতেই দরদরিয়া কেন্দ্রে অবস্থান নেয়।
তাই মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারিত সংবাদে দরদরিয়া কেন্দ্রে রিমির ভোট দেওয়ার দৃশ্যে কাজলকেও দেখা যায় তার পাশে। এ ছাড়া ওই উপ-নির্বাচনে রিমির এপিএস হিসেবে মিডিয়াকর্মীদের কাছে জনসংযোগের তথ্যও সরবরাহ করেছেন কাজল মোল্লা।
সূত্রমতে, কাজল মোল্লার পিতা হেকিম মোল্লা রিমির পিতা তাজউদ্দীন আহমদের মামা ছিলেন। ওই সূত্র ধরে সোহেল তাজের সময়ও তার মামা হিসেবে এপিএস পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন কাজল মোল্লা। সিমিন হোসেন রিমি এমপি হওয়ার পর কাজল তার খালাম্মার এপিএস-হয়ে যান।
তাই সোমবারের সংবাদ সম্মেলনের পর স্থানীয়দের মধ্যে নানা জল্পনার জন্ম হয়েছে। মানুষ বলাবলি করছে, সরকারিভাবে একজন এমপির কোনো এপিএস না থাকলেও প্রায় অর্ধডজন বিশ্বস্ত লোক থাকেন যারা এপিএস হিসেবে পরিচিত হয়ে যান। কাজল মোল্লা শুধু রিমির নয়, তার ছোট ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের এপিএস পরিচয়েও এলাকায় পরিচিত ছিলেন। সোহেল তাজের মন্ত্রিত্ব থাকাকালে কাপাসিয়ার আমরাইদ এলাকা থেকে পুলিশের এসআই পদে চাকুরি দেবার আশ্বাস দিয়ে ৩ লাখ টাকা নেন কাজল মোল্লা।সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় সে খবর।
এছাড়া সোমবার কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কাশফিয়া নির্যাতনের ন্যায়বিচার চেয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে কাশফিয়া ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলার পক্ষে মানবাধিকার সংগঠনের দায়ের করা রিট মামলার বিবাদী সাবেক এমপি মো. শহীদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন সিমিন হোসেন রিমি।
এ অবস্থায় ঘটনার ১৩দিন পর কাশফিয়া ট্রাজেডিতে আলামত নষ্ট করার অপচেষ্টায় অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রিমি প্রকৃতপক্ষে কাশফিয়া নির্যাতনের কোন বিহিত করতে চাইলেন? একই সঙ্গে নিজ কেন্দ্রে যাকে সঙ্গে নিয়ে রিমি ভোট দিলেন, তাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে কাশফিয়াকে কোন ইঙ্গিত দিলেন তা নিয়ে কাপাসিয়াবাসীও বিভ্রান্ত।
কাপাসিয়ার রাজনৈতিক মহলের অভিমত, যে কেউ অপরাধ করতে পারেন। অপরাধীর সঙ্গে ভাল মানুষের আত্মীয়তা ও ঘনিষ্ঠতা থাকতেই পারে। সিমিন হোসেন রিমি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে যদি কাশফিয়া নির্যাতনে অভিযুক্তদের স্বীকার করে ন্যায় বিচারে সহযোগিতার অঙ্গীকার করতেন তবেই হয়তোবা ভাল হতো। ঘটনার ১৩ দিন পর হাইকোর্টে ভিকটিমের জবানবন্দি দেওয়ার সময় অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে কাপাসিয়ায় করা সংবাদ সম্মেলন, সুষ্ঠু তদন্তে প্রভাব ফেলবে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে।
বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, রিমির এপিএস হিসেবে কাপাসিয়ার উপ-নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন কাজল মোল্লা।রিমির নিজ কেন্দ্র দরদরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেওয়ার সময় তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কাশফিয়া নির্যাতন মামলার প্রধান অভিযুক্ত কাজল মোল্লা।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমির ভোট দেওয়ার স্থিরচিত্র সব মিডিয়ায় ফলাওভাবে প্রচার ও প্রকাশ হয়েছে। সে সময়ে কোন মিডিয়া যদি রিমির ভোট দেওয়ার দৃশ্য প্রচার বা প্রকাশ না করতো তাহলে রিমির সঙ্গে কাজল মোল্লার সম্পর্ক ছিলো না বলে দাবি করলে তা যৌক্তিক হতো।
বাস্তবে কাপাসিয়া উপ-নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভাতিজি রিমি ও চাচা আফছার একই কেন্দ্রে ভোট দেবেন জানতে পেরে সব মিডিয়া আগের রাতেই দরদরিয়া কেন্দ্রে অবস্থান নেয়।
তাই মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারিত সংবাদে দরদরিয়া কেন্দ্রে রিমির ভোট দেওয়ার দৃশ্যে কাজলকেও দেখা যায় তার পাশে। এ ছাড়া ওই উপ-নির্বাচনে রিমির এপিএস হিসেবে মিডিয়াকর্মীদের কাছে জনসংযোগের তথ্যও সরবরাহ করেছেন কাজল মোল্লা।
সূত্রমতে, কাজল মোল্লার পিতা হেকিম মোল্লা রিমির পিতা তাজউদ্দীন আহমদের মামা ছিলেন। ওই সূত্র ধরে সোহেল তাজের সময়ও তার মামা হিসেবে এপিএস পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন কাজল মোল্লা। সিমিন হোসেন রিমি এমপি হওয়ার পর কাজল তার খালাম্মার এপিএস-হয়ে যান।
তাই সোমবারের সংবাদ সম্মেলনের পর স্থানীয়দের মধ্যে নানা জল্পনার জন্ম হয়েছে। মানুষ বলাবলি করছে, সরকারিভাবে একজন এমপির কোনো এপিএস না থাকলেও প্রায় অর্ধডজন বিশ্বস্ত লোক থাকেন যারা এপিএস হিসেবে পরিচিত হয়ে যান। কাজল মোল্লা শুধু রিমির নয়, তার ছোট ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের এপিএস পরিচয়েও এলাকায় পরিচিত ছিলেন। সোহেল তাজের মন্ত্রিত্ব থাকাকালে কাপাসিয়ার আমরাইদ এলাকা থেকে পুলিশের এসআই পদে চাকুরি দেবার আশ্বাস দিয়ে ৩ লাখ টাকা নেন কাজল মোল্লা।সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় সে খবর।
এছাড়া সোমবার কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কাশফিয়া নির্যাতনের ন্যায়বিচার চেয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে কাশফিয়া ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলার পক্ষে মানবাধিকার সংগঠনের দায়ের করা রিট মামলার বিবাদী সাবেক এমপি মো. শহীদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন সিমিন হোসেন রিমি।
এ অবস্থায় ঘটনার ১৩দিন পর কাশফিয়া ট্রাজেডিতে আলামত নষ্ট করার অপচেষ্টায় অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রিমি প্রকৃতপক্ষে কাশফিয়া নির্যাতনের কোন বিহিত করতে চাইলেন? একই সঙ্গে নিজ কেন্দ্রে যাকে সঙ্গে নিয়ে রিমি ভোট দিলেন, তাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে কাশফিয়াকে কোন ইঙ্গিত দিলেন তা নিয়ে কাপাসিয়াবাসীও বিভ্রান্ত।
কাপাসিয়ার রাজনৈতিক মহলের অভিমত, যে কেউ অপরাধ করতে পারেন। অপরাধীর সঙ্গে ভাল মানুষের আত্মীয়তা ও ঘনিষ্ঠতা থাকতেই পারে। সিমিন হোসেন রিমি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে যদি কাশফিয়া নির্যাতনে অভিযুক্তদের স্বীকার করে ন্যায় বিচারে সহযোগিতার অঙ্গীকার করতেন তবেই হয়তোবা ভাল হতো। ঘটনার ১৩ দিন পর হাইকোর্টে ভিকটিমের জবানবন্দি দেওয়ার সময় অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে কাপাসিয়ায় করা সংবাদ সম্মেলন, সুষ্ঠু তদন্তে প্রভাব ফেলবে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে।
No comments