নয়াদিল্লিতে বাসে গণধর্ষণ- দ্রুত বিচার আদালতে বিচার শুরু
নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনের বিচার গতকাল সোমবার দিল্লির একটি দ্রুত বিচার আদালতে শুরু হয়েছে। আরেক অভিযুক্তের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তার বিচার হবে কিশোর আদালতে।
অভিযুক্ত পাঁচ আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় গতকাল বিকেলে দিল্লির তিহার কারাগার থেকে বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। মহানগর হাকিম আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার শুরু হয়। এ ব্যাপারে বিচারক যোগেশ খান্না বলেন, মহানগর হাকিম আদালতের আদেশ বহাল থাকবে। ক্যামেরা ট্রায়ালে এ বিচার চলবে।
সাধারণত ক্যামেরা ট্রায়ালে বিচারক, দুই পক্ষের আইনজীবী ও আসামি ছাড়া অন্য কেউ আদালতকক্ষে উপস্থিত থাকতে পারেন না। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উন্মুক্ত এজলাসে মামলাটির বিচার কার্যক্রম চালানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁরা মামলাটি দিল্লির বাইরে স্থানান্তরের জন্যও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।
মামলার অন্যতম আসামি রাম সিংয়ের আইনজীবী ভি কে আনন্দ বলেন, ‘মামলাটি দিল্লির বাইরে স্থানান্তর করার জন্য আমি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছি। এখানে আসামির বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিল্লিতে আমরা ন্যায়বিচার পাব না।’
আসামিপক্ষের আবেদনে বলা হয়, গণমাধ্যমে খবরাখবর, বিক্ষোভ, রাজনৈতিক বিবৃতি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বার্থ ও মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্যের কারণে বিচার বিভাগ মারাত্মক চাপের মধ্যে আছে। তাই মামলাটি দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশের মাথুরায় স্থানান্তর করা যেতে পারে।
আসামিপক্ষের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত জানান, আজ মঙ্গলবার মামলাটি স্থানান্তরের আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন ওই মেডিকেল ছাত্রী (২৩)। পরে তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে বেদম মারধর করে বাস থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ২৯ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। এ ঘটনায় বাসচালক রাম সিং, তাঁর ভাই মুকেশ, ফলবিক্রেতা পবন গুপ্ত, শরীরচর্চার প্রশিক্ষক বিনয় শর্মা ও বাসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী অক্ষয় ঠাকুরের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের ফাঁসি হতে পারে।
ফাঁসির দাবি করেছেন বাবা: ওই ছাত্রীর বাবা দোষীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবি করেছেন। তিনি গতকাল বলেন, ‘আমাদের মেয়ের শোকপ্রার্থনা আমরা শেষ করেছি। কিন্তু আমাদের এই শোক সেদিনই শেষ হবে, যেদিন আদালত রায় ঘোষণা করবেন। অপরাধীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে না।’ তিনি বলেন, দোষীদের দ্রুত শাস্তি দিয়ে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। পিটিআই, বিবিসি ও এএফপি।
সাধারণত ক্যামেরা ট্রায়ালে বিচারক, দুই পক্ষের আইনজীবী ও আসামি ছাড়া অন্য কেউ আদালতকক্ষে উপস্থিত থাকতে পারেন না। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উন্মুক্ত এজলাসে মামলাটির বিচার কার্যক্রম চালানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁরা মামলাটি দিল্লির বাইরে স্থানান্তরের জন্যও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।
মামলার অন্যতম আসামি রাম সিংয়ের আইনজীবী ভি কে আনন্দ বলেন, ‘মামলাটি দিল্লির বাইরে স্থানান্তর করার জন্য আমি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছি। এখানে আসামির বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিল্লিতে আমরা ন্যায়বিচার পাব না।’
আসামিপক্ষের আবেদনে বলা হয়, গণমাধ্যমে খবরাখবর, বিক্ষোভ, রাজনৈতিক বিবৃতি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বার্থ ও মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্যের কারণে বিচার বিভাগ মারাত্মক চাপের মধ্যে আছে। তাই মামলাটি দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশের মাথুরায় স্থানান্তর করা যেতে পারে।
আসামিপক্ষের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত জানান, আজ মঙ্গলবার মামলাটি স্থানান্তরের আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন ওই মেডিকেল ছাত্রী (২৩)। পরে তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে বেদম মারধর করে বাস থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ২৯ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। এ ঘটনায় বাসচালক রাম সিং, তাঁর ভাই মুকেশ, ফলবিক্রেতা পবন গুপ্ত, শরীরচর্চার প্রশিক্ষক বিনয় শর্মা ও বাসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী অক্ষয় ঠাকুরের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের ফাঁসি হতে পারে।
ফাঁসির দাবি করেছেন বাবা: ওই ছাত্রীর বাবা দোষীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবি করেছেন। তিনি গতকাল বলেন, ‘আমাদের মেয়ের শোকপ্রার্থনা আমরা শেষ করেছি। কিন্তু আমাদের এই শোক সেদিনই শেষ হবে, যেদিন আদালত রায় ঘোষণা করবেন। অপরাধীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে না।’ তিনি বলেন, দোষীদের দ্রুত শাস্তি দিয়ে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। পিটিআই, বিবিসি ও এএফপি।
No comments