আলোচনা সভায় সুলতানা কামাল- নারী নির্যাতনবিরোধী আইন আরও কঠোর করতে হবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেছেন, দেশে নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে। এই অবস্থা প্রতিরোধে নারী নির্যাতনবিরোধী আইন শুধু কঠোর নয়, ভয়ানক কঠোর করতে হবে।
নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকে সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার বিকেলে নারী নির্যাতনবিরোধী মঞ্চ ওই কর্মসূচির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন বলেন, ধর্ষণ শুধু নারী নয়, সমগ্র মানব সমাজের বিরুদ্ধে অমার্জনীয় অপরাধ। ধর্ষণকারী যেই হোক, দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সমাজের সকল স্তরের নারীই নিয়মিত নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন, যা স্বাধীন জাতির জন্য লজ্জার।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৫ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিন হাজার ৪৩৭ জন নারী। এর মধ্যে ২০ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ২০১৩ সালের শুধু জানুয়ারি মাসের প্রথম ২০ দিনে ধর্ষণের চেষ্টা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৫টি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রতিদিন যে হারে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে, তাতে সচেতন নাগরিক হিসেবে কেউ চুপ থাকতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত ভয়ানক মৃত্যুযন্ত্রণা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ফৌজিয়া খন্দকার, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের নাসিমা আক্তার প্রমুখ।
ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার বিকেলে নারী নির্যাতনবিরোধী মঞ্চ ওই কর্মসূচির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন বলেন, ধর্ষণ শুধু নারী নয়, সমগ্র মানব সমাজের বিরুদ্ধে অমার্জনীয় অপরাধ। ধর্ষণকারী যেই হোক, দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সমাজের সকল স্তরের নারীই নিয়মিত নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন, যা স্বাধীন জাতির জন্য লজ্জার।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে এক লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৫ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিন হাজার ৪৩৭ জন নারী। এর মধ্যে ২০ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ২০১৩ সালের শুধু জানুয়ারি মাসের প্রথম ২০ দিনে ধর্ষণের চেষ্টা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৫টি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রতিদিন যে হারে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে, তাতে সচেতন নাগরিক হিসেবে কেউ চুপ থাকতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত ভয়ানক মৃত্যুযন্ত্রণা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ফৌজিয়া খন্দকার, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের নাসিমা আক্তার প্রমুখ।
No comments