স্কিন ক্রিমে ক্যানসারের উপাদান!- রাজশাহীতে প্রসাধন তৈরির কারখানা সিলগালা
রাজশাহীর জিএম কেমিক্যাল ওয়ার্কস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের উত্পাদিত স্কিন ক্রিমে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার মতো ক্ষতিকারক উপাদান পেয়েছে বিএসটিআই।
গতকাল সোমবার নগরের সপুরা এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রায় ১০ মণ ক্রিম ধ্বংস এবং মোড়কজাত ছয় ধরনের স্কিন ক্রিম বাজেয়াপ্ত করেছেন।
এ ছাড়া সাত দিনের মধ্যে বাজার থেকে প্রতিষ্ঠানটির ছয় ধরনের স্কিন ক্রিম প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়াই ক্রিম উত্পাদন ও তাদের লোগো ব্যবহার করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ্জাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই কারখানায় অভিযান চালান। এ সময় বিএসটিআই রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম সরকার উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ১৯ জুন বিএসটিআই প্রতিষ্ঠানটির ছয় ধরনের স্কিন ক্রিম পরীক্ষা করে মানসম্মত নয় বলে তাদের লাইসেন্স নবায়ন না করে এগুলো বাজারজাত নিষিদ্ধ করে। একই কারণে গত ২২ নভেম্বর বিএসটিআই আবার প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়নের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে ক্রিমগুলো বাজারজাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর পরও বাজারে প্রতিষ্ঠানটির ক্রিম পেয়ে বিএসটিআই গত ১১-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেগুলো পরীক্ষা করায়। পরীক্ষায় প্রতি কেজি ক্রিমে ৩৪২ দশমিক ৮৩ মিলিগ্রাম পারদ পায় বিএসটিআই।
প্রতিষ্ঠানটির ছয় ধরনের স্কিন ক্রিমসহ মোট ১৪টি পণ্য রয়েছে। ছয় ধরনের স্কিন ক্রিমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—জিএম স্পট আউট স্কিন ক্রিম, জিএম মেছতা আউট স্কিন ক্রিম, জিএম ফেয়ারনেস স্কিন ক্রিম, জিএম ফেসিয়াল স্কিন ক্রিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত কারখানা থেকে উদ্ধার করা প্রায় ১০ মণ ক্রিম পাশের নর্দমায় ফেলে দেন। আর প্যাকেটজাত ছয় ধরনের স্কিন ক্রিম বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ইউএনও রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, অনুমোদন ছাড়াই পণ্য উত্পাদন করে প্রতিষ্ঠানটি অপরাধ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
বিএসটিআই রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক রেজাউল করিম সরকার বলেন, ‘এসব ক্রিমে পারদ থাকায় এটি ব্যবহার করলে প্রাথমিকভাবে ত্বক ফরসা হবে। পরে ত্বকে ক্যানসার হতে পারে। এ ছাড়া পারদ ত্বকের ভেতর দিয়ে শরীরে ঢুকে অন্যান্য রোগ তৈরি করতে পারে। এ জন্য ক্রিমে পারদের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’
এ ছাড়া সাত দিনের মধ্যে বাজার থেকে প্রতিষ্ঠানটির ছয় ধরনের স্কিন ক্রিম প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়াই ক্রিম উত্পাদন ও তাদের লোগো ব্যবহার করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ্জাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই কারখানায় অভিযান চালান। এ সময় বিএসটিআই রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম সরকার উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ১৯ জুন বিএসটিআই প্রতিষ্ঠানটির ছয় ধরনের স্কিন ক্রিম পরীক্ষা করে মানসম্মত নয় বলে তাদের লাইসেন্স নবায়ন না করে এগুলো বাজারজাত নিষিদ্ধ করে। একই কারণে গত ২২ নভেম্বর বিএসটিআই আবার প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়নের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে ক্রিমগুলো বাজারজাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর পরও বাজারে প্রতিষ্ঠানটির ক্রিম পেয়ে বিএসটিআই গত ১১-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেগুলো পরীক্ষা করায়। পরীক্ষায় প্রতি কেজি ক্রিমে ৩৪২ দশমিক ৮৩ মিলিগ্রাম পারদ পায় বিএসটিআই।
প্রতিষ্ঠানটির ছয় ধরনের স্কিন ক্রিমসহ মোট ১৪টি পণ্য রয়েছে। ছয় ধরনের স্কিন ক্রিমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—জিএম স্পট আউট স্কিন ক্রিম, জিএম মেছতা আউট স্কিন ক্রিম, জিএম ফেয়ারনেস স্কিন ক্রিম, জিএম ফেসিয়াল স্কিন ক্রিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত কারখানা থেকে উদ্ধার করা প্রায় ১০ মণ ক্রিম পাশের নর্দমায় ফেলে দেন। আর প্যাকেটজাত ছয় ধরনের স্কিন ক্রিম বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ইউএনও রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, অনুমোদন ছাড়াই পণ্য উত্পাদন করে প্রতিষ্ঠানটি অপরাধ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
বিএসটিআই রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক রেজাউল করিম সরকার বলেন, ‘এসব ক্রিমে পারদ থাকায় এটি ব্যবহার করলে প্রাথমিকভাবে ত্বক ফরসা হবে। পরে ত্বকে ক্যানসার হতে পারে। এ ছাড়া পারদ ত্বকের ভেতর দিয়ে শরীরে ঢুকে অন্যান্য রোগ তৈরি করতে পারে। এ জন্য ক্রিমে পারদের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।’
No comments