‘মৌসুমি নেতাদের’ পোস্টারে ছেয়ে গেছে এলাকা
পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও দেয়ালগুলোয় শোভা পাচ্ছে নানা রঙের পোস্টার-বিলবোর্ড। নববর্ষ, ঈদসহ বিভিন্ন উপলক্ষে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টাঙানো এসব পোস্টার-বিলবোর্ডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবির নিচে সংশ্লিষ্ট দলের স্থানীয় নেতাদের বড় ছবি রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট দল থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তাঁরা এ প্রচারণায় নেমেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই, বিশেষ করে বিএনপি থেকে প্রচারণায় নামা নেতাদের মধ্যে নিষ্ক্রিয় নেতার সংখ্যা বেশি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা জানান, নির্বাচনের সময় মৌসুমি নেতাদের পোস্টারে এলাকা ছেয়ে যায়। অথচ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের অনেকেরই যোগাযোগ নেই। পোস্টারে ছাড়া অনেকের চেহারাও কেউ দেখেনি।
সরেজমিনে পরিদর্শন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোস্টার-বিলবোর্ডে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন পিরোজপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় নেতা এম নজরুল ইসলাম, নূরজাহান অ্যান্ড খলিলুর রহমান ফাউন্ডেশনের সভাপতি খলিলুর রহমান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমেদ ও সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস মহিউদ্দিন মহারাজ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, জাতীয়তাবাদী মত্স্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক জামাল উদ্দিন খান, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম জোবায়ের, বিএনপি নেতা এম এ জি আলিম, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জিয়াউল ফারুক ও ব্যবসায়ী জসিম বাবু।
তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন মহারাজ ও বিএনপির জামাল উদ্দিন খান, কে এম জোবায়ের, এম এ জি আলিম, জিয়াউল ফারুক ও জসিম বাবু পোস্টার-বিলবোর্ডের মধ্যেই প্রচার-প্রচারণা সীমাবদ্ধ রেখেছেন। স্থানীয়ভাবে পালিত দলীয় কর্মসূচিগুলোয় নেতা-কর্মীরা তাঁদের তেমন একটা পান না। মহিউদ্দিন মহারাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন মুখ। বিএনপির জিয়াউল ফারুক যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাছুম বিল্লাহ জানান, জিয়াউল ফারুককে সাধারণ জনগণ তো দূরের কথা, দলের অনেক নেতা-কর্মীই চেনেন না। জসিম বাবু বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন। দলের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। অন্য ব্যক্তিরা ঢাকায় রাজনীতি করলেও এলাকায় তাঁদের তত্পরতা নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, মহিউদ্দিন মহারাজ কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে হঠাত্ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মঠবাড়িয়ায় পোস্টার-বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে মহিউদ্দিন মহারাজ ও জসিম বাবুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। কে এম জোবায়ের বলেন, ‘কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় মঠবাড়িয়ার রাজনীতিতে তেমন একটা সময় দিতে পারছি না।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি দিলাওয়ার হোসেন মুন্সী জানান, বিএনপি থেকে পোস্টার ছাপানো নেতাদের দু-একজন ছাড়া অন্য নেতাদের আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে পাচ্ছেন না স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের অনেকেই প্রচার চালাচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের উচিত, তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করা।
উপজেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ইকতিয়ার হোসেন জানান, পোস্টার-বিলবোর্ড রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি। এগুলো করে একটি শ্রেণী মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। জনপ্রতিনিধি হতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা জানান, নির্বাচনের সময় মৌসুমি নেতাদের পোস্টারে এলাকা ছেয়ে যায়। অথচ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের অনেকেরই যোগাযোগ নেই। পোস্টারে ছাড়া অনেকের চেহারাও কেউ দেখেনি।
সরেজমিনে পরিদর্শন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোস্টার-বিলবোর্ডে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন পিরোজপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় নেতা এম নজরুল ইসলাম, নূরজাহান অ্যান্ড খলিলুর রহমান ফাউন্ডেশনের সভাপতি খলিলুর রহমান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমেদ ও সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস মহিউদ্দিন মহারাজ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, জাতীয়তাবাদী মত্স্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক জামাল উদ্দিন খান, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম জোবায়ের, বিএনপি নেতা এম এ জি আলিম, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জিয়াউল ফারুক ও ব্যবসায়ী জসিম বাবু।
তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন মহারাজ ও বিএনপির জামাল উদ্দিন খান, কে এম জোবায়ের, এম এ জি আলিম, জিয়াউল ফারুক ও জসিম বাবু পোস্টার-বিলবোর্ডের মধ্যেই প্রচার-প্রচারণা সীমাবদ্ধ রেখেছেন। স্থানীয়ভাবে পালিত দলীয় কর্মসূচিগুলোয় নেতা-কর্মীরা তাঁদের তেমন একটা পান না। মহিউদ্দিন মহারাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন মুখ। বিএনপির জিয়াউল ফারুক যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাছুম বিল্লাহ জানান, জিয়াউল ফারুককে সাধারণ জনগণ তো দূরের কথা, দলের অনেক নেতা-কর্মীই চেনেন না। জসিম বাবু বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন। দলের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। অন্য ব্যক্তিরা ঢাকায় রাজনীতি করলেও এলাকায় তাঁদের তত্পরতা নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, মহিউদ্দিন মহারাজ কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে হঠাত্ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মঠবাড়িয়ায় পোস্টার-বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে মহিউদ্দিন মহারাজ ও জসিম বাবুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। কে এম জোবায়ের বলেন, ‘কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় মঠবাড়িয়ার রাজনীতিতে তেমন একটা সময় দিতে পারছি না।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি দিলাওয়ার হোসেন মুন্সী জানান, বিএনপি থেকে পোস্টার ছাপানো নেতাদের দু-একজন ছাড়া অন্য নেতাদের আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে পাচ্ছেন না স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের অনেকেই প্রচার চালাচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের উচিত, তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করা।
উপজেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ইকতিয়ার হোসেন জানান, পোস্টার-বিলবোর্ড রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি। এগুলো করে একটি শ্রেণী মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। জনপ্রতিনিধি হতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে।
No comments