দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট রবিবার শুরু
দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অবশেষে নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গণভোট কমিটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী ৯-১৫ জানুয়ারি ভোট নেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এতে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ।
গণভোট পর্যবেক্ষণ করতে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায় পেঁৗছাতে শুরু করেছেন।
বিশ্লেষকরা মোটামুটি নিশ্চিত, এ ভোটের মাধ্যমে নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে দক্ষিণ সুদান।
১৯৫৬ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়া সুদান আয়তনের দিক দিয়ে আফ্রিকা ও আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে দেশটির অবস্থান দশম। স্বাধীনতার পর দুই দফায় গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে সুদানের মুসলিমপ্রধান উত্তর ও খ্রিস্টানপ্রধান দক্ষিণাঞ্চল। ২০০৫ সালে পশ্চিমাদের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে টানা ২২ বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
এ চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল ২০১১ সালের জানুয়ারিতে গণভোটের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন দক্ষিণ সুদানিরা। এর মাধ্যমে তারা অখণ্ড সুদানের অংশ হিসেবে থাকার পক্ষেও রায় দিতে পারেন আবার পৃথক রাষ্ট্রও গঠন করতে পারেন। এ শর্ত অনুসারেই আন্তর্জাতিক মহলের তদারকিতে আগামী রবিবার থেকে সুদানের গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শান্তিচুক্তি অনুসারে, অন্তত ৬০ ভাগ ভোট না পড়লে গণভোটের ফল গ্রহণযোগ্য হবে না। বিদেশে ও উত্তর সুদানে অবস্থানকারী দক্ষিণ সুদানিরাও এতে ভোট দেবেন।
গণভোটে দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার পক্ষে বিপুল ব্যবধানের জয় হবে বলে ধারণা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তবে কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাধ্যমেই উত্তর ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যকার বিরোধ দূর হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নন তাঁরা। উল্টো অনেকে আশঙ্কা করছেন, গণভোটের মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে নতুন সংঘাতের সূচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি যেমন বলেছেন, 'আমরা গণভোটের স্বচ্ছতার ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু এর পরের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা এখনো উদ্বিগ্ন।' বিশ্লেষকদের ধারণা, গণভোটে দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের_উভয় ধরনের রায়ই সংঘাত তৈরি করতে পারে। স্বাধীনতার বিপক্ষে রায় গেলে গণভোটের ফল অস্বীকার করে নতুন করে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করতে পারে দক্ষিণের বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলো।
আর গণভোটের মাধ্যমে দক্ষিণ স্বাধীন হয়ে গেলে দুই সুদানের মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংঘাত শুরু হতে পারে। কারণ সুদানের তেল খনিসহ বেশির ভাগ প্রাকৃতিক সম্পদই দক্ষিণ সুদানে অবস্থিত। শান্তিচুক্তির শর্ত অনুসারে স্বাধীনতার পরও সমঝোতার মাধ্যমে এ সম্পদ থেকে অর্জিত আয়ের একটি অংশ দিতে হবে উত্তর সুদানকে।
কিন্তু এ আয়ের ভাগাভাগি নিয়ে এখনো কোনো মীমাংসা হয়নি। এ ছাড়া সীমানা নির্ধারণ, উত্তরে বসবাসরত দক্ষিণ সুদানিদের নাগরিকত্ব ইত্যাদি বিষয়েও দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের গণভোটের মাধ্যমে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হলেও এসব বিষয় নিষ্পত্তিতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। উল্লেখ্য, সুদান সরকার অর্থাৎ উত্তর সুদান যেকোনো মূল্যে দেশটির অখণ্ডতা ধরে রাখার নীতিতে বিশ্বাসী। তাদের আশঙ্কা, দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হয়ে গেলে দারফুরও (পশ্চিম সুদানে অবস্থিত) জোরেশোরে স্বাধীনতার দাবি তুলবে। সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা, এএফপি।
বিশ্লেষকরা মোটামুটি নিশ্চিত, এ ভোটের মাধ্যমে নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে দক্ষিণ সুদান।
১৯৫৬ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়া সুদান আয়তনের দিক দিয়ে আফ্রিকা ও আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে দেশটির অবস্থান দশম। স্বাধীনতার পর দুই দফায় গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে সুদানের মুসলিমপ্রধান উত্তর ও খ্রিস্টানপ্রধান দক্ষিণাঞ্চল। ২০০৫ সালে পশ্চিমাদের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে টানা ২২ বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
এ চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল ২০১১ সালের জানুয়ারিতে গণভোটের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন দক্ষিণ সুদানিরা। এর মাধ্যমে তারা অখণ্ড সুদানের অংশ হিসেবে থাকার পক্ষেও রায় দিতে পারেন আবার পৃথক রাষ্ট্রও গঠন করতে পারেন। এ শর্ত অনুসারেই আন্তর্জাতিক মহলের তদারকিতে আগামী রবিবার থেকে সুদানের গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শান্তিচুক্তি অনুসারে, অন্তত ৬০ ভাগ ভোট না পড়লে গণভোটের ফল গ্রহণযোগ্য হবে না। বিদেশে ও উত্তর সুদানে অবস্থানকারী দক্ষিণ সুদানিরাও এতে ভোট দেবেন।
গণভোটে দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার পক্ষে বিপুল ব্যবধানের জয় হবে বলে ধারণা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তবে কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাধ্যমেই উত্তর ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যকার বিরোধ দূর হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নন তাঁরা। উল্টো অনেকে আশঙ্কা করছেন, গণভোটের মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে নতুন সংঘাতের সূচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি যেমন বলেছেন, 'আমরা গণভোটের স্বচ্ছতার ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু এর পরের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা এখনো উদ্বিগ্ন।' বিশ্লেষকদের ধারণা, গণভোটে দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের_উভয় ধরনের রায়ই সংঘাত তৈরি করতে পারে। স্বাধীনতার বিপক্ষে রায় গেলে গণভোটের ফল অস্বীকার করে নতুন করে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করতে পারে দক্ষিণের বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলো।
আর গণভোটের মাধ্যমে দক্ষিণ স্বাধীন হয়ে গেলে দুই সুদানের মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংঘাত শুরু হতে পারে। কারণ সুদানের তেল খনিসহ বেশির ভাগ প্রাকৃতিক সম্পদই দক্ষিণ সুদানে অবস্থিত। শান্তিচুক্তির শর্ত অনুসারে স্বাধীনতার পরও সমঝোতার মাধ্যমে এ সম্পদ থেকে অর্জিত আয়ের একটি অংশ দিতে হবে উত্তর সুদানকে।
কিন্তু এ আয়ের ভাগাভাগি নিয়ে এখনো কোনো মীমাংসা হয়নি। এ ছাড়া সীমানা নির্ধারণ, উত্তরে বসবাসরত দক্ষিণ সুদানিদের নাগরিকত্ব ইত্যাদি বিষয়েও দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের গণভোটের মাধ্যমে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হলেও এসব বিষয় নিষ্পত্তিতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। উল্লেখ্য, সুদান সরকার অর্থাৎ উত্তর সুদান যেকোনো মূল্যে দেশটির অখণ্ডতা ধরে রাখার নীতিতে বিশ্বাসী। তাদের আশঙ্কা, দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হয়ে গেলে দারফুরও (পশ্চিম সুদানে অবস্থিত) জোরেশোরে স্বাধীনতার দাবি তুলবে। সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা, এএফপি।
No comments