বিশ্বব্যাংক প্যানেলের চিঠির জবাব পাঠিয়েছে দুদক-তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে আবুল হোসেনকে আসামি করার নিশ্চয়তা
তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে আসামি করা হবে এমন নিশ্চয়তা
দিয়ে বিশ্বব্যাংক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চিঠির জবাব দিয়েছে দুর্নীতি দমন
কমিশন (দুদক)।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দুদকের
একজন কর্মকর্তা দুদকের চিঠিটি আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের স্থানীয়
কার্যালয়ে পৌঁছে দেন। সেখান থেকে চিঠিটি বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়
ওয়াশিংটনে যাবে। প্যানেলের দাবি অনুযায়ী দুদকের পাঠানো চিঠির সাথে পদ্মা
সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলাসংক্রান্ত তদন্তের নানা
তথ্য-উপাত্ত পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চিঠির জবাব হিসেবে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান স্বাক্ষরিত দুই পৃষ্ঠার একটি ফরওয়ার্ডিং লেটার, আটটি প্রশ্নের জবাব, ১০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন (ইংরেজি ভার্সন) ও ৩৫ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্টের কপিও বিশেষজ্ঞ দলের কাছে পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছেÑ পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিষয়ে নতুন করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এজাহার নামীয় দু’জন আসামি সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ও সেতু কর্তৃপরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো: ফেরদৌসকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এ জাহারে অন্য পাঁচ আসামিকে গ্রেফতারের যে চেষ্টা চলছে তা তুলে ধরা হয়েছে। তদন্তপর্যায়ে সেতু ভবন থেকে জব্দ করা নথিপত্র এবং এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তাদের সাথে ই-মেইলে আদান প্রদানে যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, দুদক তদন্ত কার্যক্রম স্বচ্ছ, নিরপে ও নিষ্ঠার সাথেই করছে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় না দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল হাসান চৌধুরীসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তথ্যপ্রমাণ পেলে তাদের আসামি করার সুযোগ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদলকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চিঠিতে সৈয়দ আবুল হোসেনের সাথে এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তাদের বৈঠকের উদ্দেশ্য, দরপত্র মূল্যায়নে এসএনসি-লাভালিন দ্বিতীয় স্থান থেকে প্রথম স্থানে আসা, রমেশের ডায়েরিতে ঘুষের তালিকাসহ বিভিন্ন বিষয় স্পষ্ট করতে রমেশ, ইসমাইল ও কেভিন ওয়ালেসকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে এবং সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত পেতে বিশেষজ্ঞ দলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রোববার দুদকের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্যানেল দুদককে যে চিঠি দিয়েছিল, তাতে যেসব প্রশ্ন ছিল তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে দুদক তার জবাব দিচ্ছে। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে আসামি করার জন্য বিশেষজ্ঞ দলের দাবি ছিলÑ এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, তারা দাবি করতেই পারেন, দাবি করলেই কাউকে আসামি করা যায় না। আবুল হোসেনকে মামলায় অর্ন্তভুক্ত করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদলকে কী নিশ্চয়তা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। এখন এ বিষয়ে কিছু বলার সময় হয়নি।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মামলার এজাহার কপি বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞদলের কাছে পাঠিয়েছিল দুদক। এজাহার কপি দেখে গত ৯ জানুয়ারি বিশেষজ্ঞদল সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে কেন আসামি করা হয়নি, গত বছরের ২৯ মে এসএনসি-লাভালিন প্রতিনিধিদের সাথে সৈয়দ আবুল হোসেন ও সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক, দরপত্র মূল্যায়নে এসএনসি-লাভালিন প্রথম স্থানে থাকা, এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তা রমেশের ডায়েরিতে সাবেক মন্ত্রীর নামের পাশে ৪ শতাংশ লিখে রাখা, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের সাথে এসএনসি-লাভালিন প্রতিনিধিদের বৈঠকে কারা উপস্থিত ছিলেন ও তাদের পদবী এবং উদ্দেশ্য কী ছিল। এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে কি নাÑ এ ধরনের আটটি প্রশ্নের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এর পরই দুদকের তদন্ত দল দুদকের আইনজীবীদের সহায়তায় চিঠির উত্তর প্রস্তুত করেন।
এ দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান গতকাল সন্ধ্যায় দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলার তদন্ত স্বচ্ছ, নিরপে ও নিষ্ঠার সাথেই করছে দুদকের তদন্ত দল। বিশ্বব্যাংক প্যানেল দুদকের কাছে যা যা জানতে চেয়েছে তারও জবাব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কাকে আসামি করা হবে বা হবে না তা নির্ভর করছে তদন্তের ওপর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চিঠির জবাব হিসেবে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান স্বাক্ষরিত দুই পৃষ্ঠার একটি ফরওয়ার্ডিং লেটার, আটটি প্রশ্নের জবাব, ১০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন (ইংরেজি ভার্সন) ও ৩৫ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্টের কপিও বিশেষজ্ঞ দলের কাছে পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছেÑ পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিষয়ে নতুন করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এজাহার নামীয় দু’জন আসামি সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ও সেতু কর্তৃপরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো: ফেরদৌসকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এ জাহারে অন্য পাঁচ আসামিকে গ্রেফতারের যে চেষ্টা চলছে তা তুলে ধরা হয়েছে। তদন্তপর্যায়ে সেতু ভবন থেকে জব্দ করা নথিপত্র এবং এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তাদের সাথে ই-মেইলে আদান প্রদানে যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, দুদক তদন্ত কার্যক্রম স্বচ্ছ, নিরপে ও নিষ্ঠার সাথেই করছে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় না দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল হাসান চৌধুরীসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তথ্যপ্রমাণ পেলে তাদের আসামি করার সুযোগ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদলকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চিঠিতে সৈয়দ আবুল হোসেনের সাথে এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তাদের বৈঠকের উদ্দেশ্য, দরপত্র মূল্যায়নে এসএনসি-লাভালিন দ্বিতীয় স্থান থেকে প্রথম স্থানে আসা, রমেশের ডায়েরিতে ঘুষের তালিকাসহ বিভিন্ন বিষয় স্পষ্ট করতে রমেশ, ইসমাইল ও কেভিন ওয়ালেসকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে এবং সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত পেতে বিশেষজ্ঞ দলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রোববার দুদকের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্যানেল দুদককে যে চিঠি দিয়েছিল, তাতে যেসব প্রশ্ন ছিল তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে দুদক তার জবাব দিচ্ছে। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে আসামি করার জন্য বিশেষজ্ঞ দলের দাবি ছিলÑ এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, তারা দাবি করতেই পারেন, দাবি করলেই কাউকে আসামি করা যায় না। আবুল হোসেনকে মামলায় অর্ন্তভুক্ত করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদলকে কী নিশ্চয়তা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। এখন এ বিষয়ে কিছু বলার সময় হয়নি।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মামলার এজাহার কপি বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞদলের কাছে পাঠিয়েছিল দুদক। এজাহার কপি দেখে গত ৯ জানুয়ারি বিশেষজ্ঞদল সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে কেন আসামি করা হয়নি, গত বছরের ২৯ মে এসএনসি-লাভালিন প্রতিনিধিদের সাথে সৈয়দ আবুল হোসেন ও সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক, দরপত্র মূল্যায়নে এসএনসি-লাভালিন প্রথম স্থানে থাকা, এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তা রমেশের ডায়েরিতে সাবেক মন্ত্রীর নামের পাশে ৪ শতাংশ লিখে রাখা, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের সাথে এসএনসি-লাভালিন প্রতিনিধিদের বৈঠকে কারা উপস্থিত ছিলেন ও তাদের পদবী এবং উদ্দেশ্য কী ছিল। এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে কি নাÑ এ ধরনের আটটি প্রশ্নের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এর পরই দুদকের তদন্ত দল দুদকের আইনজীবীদের সহায়তায় চিঠির উত্তর প্রস্তুত করেন।
এ দিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান গতকাল সন্ধ্যায় দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলার তদন্ত স্বচ্ছ, নিরপে ও নিষ্ঠার সাথেই করছে দুদকের তদন্ত দল। বিশ্বব্যাংক প্যানেল দুদকের কাছে যা যা জানতে চেয়েছে তারও জবাব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কাকে আসামি করা হবে বা হবে না তা নির্ভর করছে তদন্তের ওপর।
No comments