জেলহত্যা মামলায় চলছে দ্বিতীয় দিনের আপিল শুনানি
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করছেন।
আজ সকাল সোয়া নয়টা থেকে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দি আদালতে উপস্থাপন করছেন।
আপিলের অনুমতি পাওয়ার প্রায় দুই বছরের মাথায় ১৫ জানুয়ারি এ মামলায় প্রথম শুনানি শুরু হয়। ওই দিন আইনজীবী আনিসুল হক এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৬৪ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সাত সাক্ষীর বক্তব্য তুলে ধরে আইনজীবী আনিসুল হক বলেন, সাক্ষীদের বক্তব্যে এসেছে, তত্কালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ সে সময়কার কারা মহাপরিদর্শককে ফোনে বলেছেন, ‘মোসলেহ উদ্দিনসহ যে কজন গেছে, তাদের কাজ করতে দাও।’ এ সময় কারা মহাপরিদর্শক রাষ্ট্রপতিকে বলেন, ‘তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করতে চায়।’ জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘করতে দাও।’
১৫ জানুয়ারি প্রথম দিনের আংশিক আপিল শুনানি নিয়ে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন আদালত। আজ দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে।
পরদিন তত্কালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে পলাতক আসামি রিসালদার (ক্যাপ্টেন) মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এরপর ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মারফত আলী শাহ ও আবুল হাশেম মৃধাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের। এ ছাড়া চারজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি পান। অন্য আট আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল থাকে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পৃথক পাঁচটি আবেদন করা হয়। ২০১০ সালের ৪ নভেম্বর আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আরজি জানায়। জেলহত্যা মামলায় হাইকোর্টে অব্যাহতি পাওয়া চারজন—সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদের এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
আজ সকাল সোয়া নয়টা থেকে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দি আদালতে উপস্থাপন করছেন।
আপিলের অনুমতি পাওয়ার প্রায় দুই বছরের মাথায় ১৫ জানুয়ারি এ মামলায় প্রথম শুনানি শুরু হয়। ওই দিন আইনজীবী আনিসুল হক এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৬৪ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সাত সাক্ষীর বক্তব্য তুলে ধরে আইনজীবী আনিসুল হক বলেন, সাক্ষীদের বক্তব্যে এসেছে, তত্কালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ সে সময়কার কারা মহাপরিদর্শককে ফোনে বলেছেন, ‘মোসলেহ উদ্দিনসহ যে কজন গেছে, তাদের কাজ করতে দাও।’ এ সময় কারা মহাপরিদর্শক রাষ্ট্রপতিকে বলেন, ‘তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করতে চায়।’ জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘করতে দাও।’
১৫ জানুয়ারি প্রথম দিনের আংশিক আপিল শুনানি নিয়ে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন আদালত। আজ দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে।
পরদিন তত্কালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে পলাতক আসামি রিসালদার (ক্যাপ্টেন) মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এরপর ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মারফত আলী শাহ ও আবুল হাশেম মৃধাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের। এ ছাড়া চারজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি পান। অন্য আট আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল থাকে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পৃথক পাঁচটি আবেদন করা হয়। ২০১০ সালের ৪ নভেম্বর আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আরজি জানায়। জেলহত্যা মামলায় হাইকোর্টে অব্যাহতি পাওয়া চারজন—সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদের এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
No comments