আইন প্রয়োগ ব্যবস্থা অকার্যকর!- দরপত্র নিয়ে দুর্বৃত্তপনা
ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তপনার দুটি ঘটনার খবর সোমবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে, যা দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের কারণে।
দুটি ঘটনাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ এমন আচরণ করেছে ও বক্তব্য দিয়েছে, যা থেকে মনে হতে পারে, কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়নি।
প্রথম ঘটনাটি শনিবার গভীর রাতের। রাজধানী ঢাকার শাহবাগে পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও শাহবাগ থানা থেকে সামান্য দূরে টেনিস কমপ্লেক্সের ভেতরে একজন ঠিকাদারের কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা এসে গোলাগুলি করে। প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে এসে তারা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি চালায়, কিন্তু অদূরের পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষ বা থানা থেকে কেউ আসে না। ওই ঠিকাদারের কার্যালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মীর ভাষ্য অনুযায়ী, দুর্বৃত্তরা গোলাগুলি চালিয়ে চলে যাওয়ার সময় তাদের গাড়িগুলো র্যাবের একটি গাড়ির মুখোমুখি হয়, কিন্তু র্যাব তাদের কিছুই বলেনি। তাদের গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পরে র্যাবের গাড়িটিও ওই স্থান ত্যাগ করে। দৃশ্যত দুর্বৃত্তদের নিরাপদে চলে যাওয়া নিশ্চিত করাই যেন তাদের কাজ ছিল। আর ঘটনাটি সম্পর্কে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বক্তব্য, শনিবার রাতে টেনিস কমপ্লেক্সে গোলাগুলির ঘটনা তাঁর জানা নেই। তা ছাড়া টেনিস কমপ্লেক্স শাহবাগ থানার অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং তা পড়েছে রমনা থানার মধ্যে।
আসল ঘটনা হলো, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১০টি ভবন নির্মাণকাজের জন্য দরপত্র জমা নেওয়া চলছিল, সোমবার ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। যে ঠিকাদারের কার্যালয়ে গোলাগুলি হয়েছে, তার মালিক ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা। তাঁর অভিযোগ, প্রায় ৮০ কোটি টাকার নির্মাণকাজ বাগানোর চেষ্টায় তাঁর সঙ্গে লিপ্ত হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের আরেক সহযোগী সংগঠন যুবলীগের এক নেতা। সেই রাতের গোলাগুলি এই দ্বন্দ্বের একটি রক্তপাতহীন মহড়ামাত্র।
দ্বিতীয় ঘটনাটিও ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ-বিষয়ক দ্বন্দ্ব এবং সেটিও ঘটেছে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। দুজনকে দিনদুপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, পরে র্যাব তাঁদের উদ্ধার করেছে। কিন্তু পরে তাঁরা বলেছেন, তেমন কিছু ঘটেনি।
বুঝতে কষ্ট হয় না, ক্ষমতাসীনদের নিজেদের মধ্যে এসব দ্বন্দ্ব-বিরোধ আর্থিক বিষয়কে কেন্দ্র করে; রক্তপাত-প্রাণহানি ঘটেনি, এটা স্বস্তির বিষয় বটে। কিন্তু দেশের আইন প্রয়োগ ব্যবস্থা যে এদের বেলায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে, এমনকি র্যাবের মতো পেশাদার এলিট ফোর্সকেও নিষ্ক্রিয় দেখা যাচ্ছে—এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। এসব দুর্বৃত্তপনা অবশ্যই কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
প্রথম ঘটনাটি শনিবার গভীর রাতের। রাজধানী ঢাকার শাহবাগে পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও শাহবাগ থানা থেকে সামান্য দূরে টেনিস কমপ্লেক্সের ভেতরে একজন ঠিকাদারের কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা এসে গোলাগুলি করে। প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে এসে তারা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি চালায়, কিন্তু অদূরের পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষ বা থানা থেকে কেউ আসে না। ওই ঠিকাদারের কার্যালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মীর ভাষ্য অনুযায়ী, দুর্বৃত্তরা গোলাগুলি চালিয়ে চলে যাওয়ার সময় তাদের গাড়িগুলো র্যাবের একটি গাড়ির মুখোমুখি হয়, কিন্তু র্যাব তাদের কিছুই বলেনি। তাদের গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পরে র্যাবের গাড়িটিও ওই স্থান ত্যাগ করে। দৃশ্যত দুর্বৃত্তদের নিরাপদে চলে যাওয়া নিশ্চিত করাই যেন তাদের কাজ ছিল। আর ঘটনাটি সম্পর্কে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বক্তব্য, শনিবার রাতে টেনিস কমপ্লেক্সে গোলাগুলির ঘটনা তাঁর জানা নেই। তা ছাড়া টেনিস কমপ্লেক্স শাহবাগ থানার অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং তা পড়েছে রমনা থানার মধ্যে।
আসল ঘটনা হলো, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১০টি ভবন নির্মাণকাজের জন্য দরপত্র জমা নেওয়া চলছিল, সোমবার ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। যে ঠিকাদারের কার্যালয়ে গোলাগুলি হয়েছে, তার মালিক ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা। তাঁর অভিযোগ, প্রায় ৮০ কোটি টাকার নির্মাণকাজ বাগানোর চেষ্টায় তাঁর সঙ্গে লিপ্ত হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের আরেক সহযোগী সংগঠন যুবলীগের এক নেতা। সেই রাতের গোলাগুলি এই দ্বন্দ্বের একটি রক্তপাতহীন মহড়ামাত্র।
দ্বিতীয় ঘটনাটিও ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ-বিষয়ক দ্বন্দ্ব এবং সেটিও ঘটেছে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। দুজনকে দিনদুপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, পরে র্যাব তাঁদের উদ্ধার করেছে। কিন্তু পরে তাঁরা বলেছেন, তেমন কিছু ঘটেনি।
বুঝতে কষ্ট হয় না, ক্ষমতাসীনদের নিজেদের মধ্যে এসব দ্বন্দ্ব-বিরোধ আর্থিক বিষয়কে কেন্দ্র করে; রক্তপাত-প্রাণহানি ঘটেনি, এটা স্বস্তির বিষয় বটে। কিন্তু দেশের আইন প্রয়োগ ব্যবস্থা যে এদের বেলায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে, এমনকি র্যাবের মতো পেশাদার এলিট ফোর্সকেও নিষ্ক্রিয় দেখা যাচ্ছে—এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। এসব দুর্বৃত্তপনা অবশ্যই কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
No comments