রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে প্রয়োজনে চাপ প্রয়োগঃ কাজী আকরাম by উর্মি মাহাবুব
চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দূর করতে
প্রয়োজনে প্রধান দু’দলকে চাপ প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের
শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-
এফবিসিসিআই‘র সভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।
তবে চাপ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
সোমবার দুপরে মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে ব্যবসা- রাজনীতি নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব ফেলে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকলে দেশিয় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি।
সংসদই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিকরা যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত হোন তাদের কথা বলার জন্য সংসদতো রযেছেই। তাছাড়া যেকোনো দাবি জানাতেতো বিরোধীদলকে সংসদে গিয়েই তা করা উচিত, রাস্তায় নয়। জনগণের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ কোন দলেরই করা উচিত নয়।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার ও বিরোধী দলের করণীয় বলতে গিয়ে এ ব্যবসায়ী বলেন, সরকারি দলেরই বিরোধী দলকে আলোচনার টেবিলে ডাকা উচিত। আর বিরোধী দলেরও উচিত আলোচনায় বসা। নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে বিতর্ক করা। তা না করে এভাবে মাঠে ঘাটে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পরে দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে। যার চূড়ান্ত দায় ঘাড়ে নিতে হয় জনগণকেই।
২০১২ সালের আলোচিত হলমার্, ডেসটিনিসহ বেশ কিছু ঋণ জালিয়াতির বিচার দাবি করে তিনি বলেন, এদের বিচার করতেই হবে। এদের কারণেই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ওপর যেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তেমনি প্রভাব পড়েছে ব্যাংকিং খাতের ওপর। এদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস না করে। আর এসব দু’একজন ব্যবসায়ীর জন্য পুরো ব্যবসায়িক মহলকে খারাপ বলার কোনো কারণ নেই।
কাজী আকরাম এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছাড়াও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ায় ব্যাংকিং খাতে ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানটা যেনো আবদারে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যাংকের সুদের হার কমানো ও এলসি জটিলতা নিরসনে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকের সুদের হার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সহনীয় মাত্রাই আছে। বেশিরভাগ ঋণের সুদের হারই ১৬ শতাংশ প্রায়। কিছু কিছু ঋণের সুদের হার একটু বেশি। এর মধ্যে আছে, হাউজবিল্ডিং লোন। এ ঋণ পরিশোধ হয় ১০-১৫ বছরে। সুতরাং এক্ষেত্রেতো সুদের হার একটু বেশি থাকবেই। আর এলসি জটিলতা পুরো ব্যবসায়ীখাতে কখনোই হয় না। ইন্ডিভিজ্যুয়াল কেসে জটিলতা হয়। তখন বলা হয় যে পুরো ব্যাংকিং খাতে এলসি জটিলতা। এটা ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকতো ব্যবসা করতে এসেছে। এলসি খোলার সব দিকতো বিবেচনা করবেই। এলসি খোলার সময় ব্যাংক ও পার্টির মধ্যকার সম্পর্কও বড় একটা বিষয়।নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকগুলো এটা করতেই পারে। যারা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেন করে তাদের সুনামের ওপর অনেক সময় এলসির ব্যাপারটা নির্ভর করে।
জনগণের স্বার্থ তৃণমূলের ব্যবসায়ী থেকে সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্ এফবিসিসিআই থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এজন্য এরইমধ্যে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে একটি রিসার্চ সেন্টার খোলার ব্যবস্থা করছে এফবিসিসিআই।
তিনি জানান, এই রিসার্চ সেন্টারে থাকবেন দেশের অভিজ্ঞ সব অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। যারা আমাদের দেশের শিল্পে কিভাবে উন্নয়ন করবে তা নিয়ে গবেষণা করবে। গবেষণা করবেন আন্তর্জাতিক বাজারের দেশের পন্য উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে। এতে করে একদিকে যেমন দেশের ব্যবসায় বাণিজ্য অনেকটা গুছিয়ে আসবে তেমনি পরিকল্পিত ভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া যাবে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়াও অবকাঠামো, গ্যাস বিদ্যুৎ সঙ্কটও ব্যবসায় বাণিজ্যের একটি বড় বাধা বলে মনে করেন তিনি।
কাজী আকরামের মতে, ব্যবসায় বাণিজ্যের আশানুরূপ উন্নয়ন আনতে হলে অবকাঠমোগত উন্নয়ন করতে হবেই। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে এদিকে যেমন উৎপাদন খরচ কমবে তেমনি পরিবহন বাবদ যে সময় প্রয়োজন হয় তাও অনেকটা কমে আসবে।
কাজী আকরাম বলেন, বর্তমান সরকার গত ৩/৪ বছরের বিদ্যুৎ উৎপাদনে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছে। তবে গ্যাস নিশ্চয়তা না পেলে শিল্পের উন্নয়নে বাধা থেকেই যাবে। গ্যাস বিদ্যুতের নিশ্চয়তা পেলে এদেশের শিল্প অনেকটা এগিয়ে যাবে। কমে আসবে রপ্তানি ঘাটতি।
প্রশাসন থেকে প্রায়ই ব্যবসায়ীদের করফাঁকি দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয় সে বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি করই না দিতো তাহলে রাজস্বের পরিমাণ দিন দিন এতো বাড়ত না। ইচ্ছা করলেই ব্যবসায়ীদের দিকে এ ধরনের নেতিবাচক তীর তোলা ঠিক না। তবে দিন দিন কর দেওয়ার পরিমাণও বাড়ছে। আমরা ব্যবসায়ীদের কর প্রদানে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি।
এফবিসিসিআই’র নিজস্ব ভবনের কাজ তার সময়েই শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কাজী আকরাম। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই এর নিজস্ব ভবনটি মতিঝিলের হাটখোলাস্থ এলাকায় করা হবে। ভবটি ২০ তলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য রাজউকের সঙ্গে আলাপ আলাচনা চলছে। নিয়মনীতি মেনেই আমরা ভবনটির কাজ শেষ করতে চাই। এ
এ বিষয়ে তিনি জানান, এরইমধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন। ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেলে ব্যবসায়ীদের অনেক সুবিধা বাড়বে। এফবিসিসিআিই এর অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলো সে ভবনে জায়গা পাবে। তাছাড়া এফবিসিসিআইয়ের কাজেও আরো গতি আসবে।
ভবিষ্যতে অর্থনীতি নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতি দিনকে দিন ভাল করছে। এখন এদেশর মানুষ আর না খেয়ে মারা যায় না। বাসায় কাজের লোকের অভাব দেখা দেয়া। গ্রামগঞ্জের লোক কাজ করছে গার্মেন্টসহ নানা কারখানায়। উন্নতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে নিকট ভবিষ্যতে এদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ৩০টি পদের মধ্যে আকরাম উদ্দিন প্যানেল ২০টি ও আনিসুল হক সমর্থিত প্যানেল ১০টি পদ পায়। নতুন কমিটি আগামী ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। গত ২৯ নভেম্বর এফবিসিসিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে নবনির্বাচিত সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সংগঠনটির বিদায়ী সভাপতি এ কে আজাদ।
সোমবার দুপরে মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে ব্যবসা- রাজনীতি নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব ফেলে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকলে দেশিয় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি।
সংসদই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিকরা যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত হোন তাদের কথা বলার জন্য সংসদতো রযেছেই। তাছাড়া যেকোনো দাবি জানাতেতো বিরোধীদলকে সংসদে গিয়েই তা করা উচিত, রাস্তায় নয়। জনগণের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ কোন দলেরই করা উচিত নয়।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার ও বিরোধী দলের করণীয় বলতে গিয়ে এ ব্যবসায়ী বলেন, সরকারি দলেরই বিরোধী দলকে আলোচনার টেবিলে ডাকা উচিত। আর বিরোধী দলেরও উচিত আলোচনায় বসা। নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে বিতর্ক করা। তা না করে এভাবে মাঠে ঘাটে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পরে দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে। যার চূড়ান্ত দায় ঘাড়ে নিতে হয় জনগণকেই।
২০১২ সালের আলোচিত হলমার্, ডেসটিনিসহ বেশ কিছু ঋণ জালিয়াতির বিচার দাবি করে তিনি বলেন, এদের বিচার করতেই হবে। এদের কারণেই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ওপর যেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তেমনি প্রভাব পড়েছে ব্যাংকিং খাতের ওপর। এদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস না করে। আর এসব দু’একজন ব্যবসায়ীর জন্য পুরো ব্যবসায়িক মহলকে খারাপ বলার কোনো কারণ নেই।
কাজী আকরাম এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছাড়াও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ায় ব্যাংকিং খাতে ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানটা যেনো আবদারে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যাংকের সুদের হার কমানো ও এলসি জটিলতা নিরসনে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকের সুদের হার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সহনীয় মাত্রাই আছে। বেশিরভাগ ঋণের সুদের হারই ১৬ শতাংশ প্রায়। কিছু কিছু ঋণের সুদের হার একটু বেশি। এর মধ্যে আছে, হাউজবিল্ডিং লোন। এ ঋণ পরিশোধ হয় ১০-১৫ বছরে। সুতরাং এক্ষেত্রেতো সুদের হার একটু বেশি থাকবেই। আর এলসি জটিলতা পুরো ব্যবসায়ীখাতে কখনোই হয় না। ইন্ডিভিজ্যুয়াল কেসে জটিলতা হয়। তখন বলা হয় যে পুরো ব্যাংকিং খাতে এলসি জটিলতা। এটা ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকতো ব্যবসা করতে এসেছে। এলসি খোলার সব দিকতো বিবেচনা করবেই। এলসি খোলার সময় ব্যাংক ও পার্টির মধ্যকার সম্পর্কও বড় একটা বিষয়।নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকগুলো এটা করতেই পারে। যারা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেন করে তাদের সুনামের ওপর অনেক সময় এলসির ব্যাপারটা নির্ভর করে।
জনগণের স্বার্থ তৃণমূলের ব্যবসায়ী থেকে সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্ এফবিসিসিআই থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এজন্য এরইমধ্যে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে একটি রিসার্চ সেন্টার খোলার ব্যবস্থা করছে এফবিসিসিআই।
তিনি জানান, এই রিসার্চ সেন্টারে থাকবেন দেশের অভিজ্ঞ সব অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। যারা আমাদের দেশের শিল্পে কিভাবে উন্নয়ন করবে তা নিয়ে গবেষণা করবে। গবেষণা করবেন আন্তর্জাতিক বাজারের দেশের পন্য উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে। এতে করে একদিকে যেমন দেশের ব্যবসায় বাণিজ্য অনেকটা গুছিয়ে আসবে তেমনি পরিকল্পিত ভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া যাবে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়াও অবকাঠামো, গ্যাস বিদ্যুৎ সঙ্কটও ব্যবসায় বাণিজ্যের একটি বড় বাধা বলে মনে করেন তিনি।
কাজী আকরামের মতে, ব্যবসায় বাণিজ্যের আশানুরূপ উন্নয়ন আনতে হলে অবকাঠমোগত উন্নয়ন করতে হবেই। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে এদিকে যেমন উৎপাদন খরচ কমবে তেমনি পরিবহন বাবদ যে সময় প্রয়োজন হয় তাও অনেকটা কমে আসবে।
কাজী আকরাম বলেন, বর্তমান সরকার গত ৩/৪ বছরের বিদ্যুৎ উৎপাদনে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছে। তবে গ্যাস নিশ্চয়তা না পেলে শিল্পের উন্নয়নে বাধা থেকেই যাবে। গ্যাস বিদ্যুতের নিশ্চয়তা পেলে এদেশের শিল্প অনেকটা এগিয়ে যাবে। কমে আসবে রপ্তানি ঘাটতি।
প্রশাসন থেকে প্রায়ই ব্যবসায়ীদের করফাঁকি দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয় সে বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি করই না দিতো তাহলে রাজস্বের পরিমাণ দিন দিন এতো বাড়ত না। ইচ্ছা করলেই ব্যবসায়ীদের দিকে এ ধরনের নেতিবাচক তীর তোলা ঠিক না। তবে দিন দিন কর দেওয়ার পরিমাণও বাড়ছে। আমরা ব্যবসায়ীদের কর প্রদানে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি।
এফবিসিসিআই’র নিজস্ব ভবনের কাজ তার সময়েই শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কাজী আকরাম। তিনি বলেন, এফবিসিসিআই এর নিজস্ব ভবনটি মতিঝিলের হাটখোলাস্থ এলাকায় করা হবে। ভবটি ২০ তলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য রাজউকের সঙ্গে আলাপ আলাচনা চলছে। নিয়মনীতি মেনেই আমরা ভবনটির কাজ শেষ করতে চাই। এ
এ বিষয়ে তিনি জানান, এরইমধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন। ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেলে ব্যবসায়ীদের অনেক সুবিধা বাড়বে। এফবিসিসিআিই এর অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলো সে ভবনে জায়গা পাবে। তাছাড়া এফবিসিসিআইয়ের কাজেও আরো গতি আসবে।
ভবিষ্যতে অর্থনীতি নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতি দিনকে দিন ভাল করছে। এখন এদেশর মানুষ আর না খেয়ে মারা যায় না। বাসায় কাজের লোকের অভাব দেখা দেয়া। গ্রামগঞ্জের লোক কাজ করছে গার্মেন্টসহ নানা কারখানায়। উন্নতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে নিকট ভবিষ্যতে এদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ৩০টি পদের মধ্যে আকরাম উদ্দিন প্যানেল ২০টি ও আনিসুল হক সমর্থিত প্যানেল ১০টি পদ পায়। নতুন কমিটি আগামী ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। গত ২৯ নভেম্বর এফবিসিসিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে নবনির্বাচিত সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সংগঠনটির বিদায়ী সভাপতি এ কে আজাদ।
No comments