সুপার মডেল লিলি ডোনাল্ডসন
এমন অনেক কথা রয়েছে যে সেলিব্রেটিরা সব সময় তাদের ক্রেতাদুরসত্ম ভাব বজায় রাখেন সব সময়। সেলিব্রেটি হওয়া মাত্রই মানুষের নাকি হাল-চাল বদলে যায়।
এ কথাটি অবশ্য সবার েেত্র প্রযোজ্য নয়, তেমনি একজন সেলিব্রেটি টপ মডেল লিলি ডোনাল্ডসন। পুরো নাম লিলি মনিকা ডোনাল্ডসন, ১৯৮৭ সালে ২৭ জানুয়ারি লন্ডনের হ্যামারস্মিথ শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। ছোটবেলা কেটেছে কেনটিস টাউনে। সেখানে ক্যামডেন গার্লস স্কুলে শিাজীবন শুরম্ন করেন। স্কুলে পড়া অবস্থাতেই মডেলিং জগতের প্রতি প্রচ- আগ্রহ জন্মায় তার। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফ্যাশন শো নাম লেখাতেন বেশ আগ্রহ ভরেই। এক সময় স্কুলের ফ্যাশন শোগুলোর লিড দিতে থাকেন এবং বেশ প্রশংসা অর্জন করে। সে সময় হতেই মডেল হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করার মানসিকতা তৈরি করেন। তার বাবা ম্যাথু ডোলাল্ডসন ছিলেন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। বাবার তোলা বিভিন্ন মডেলদের ছবি দেখে উদ্বুদ্ধ হতেন লিলি। ২০০৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ক্যামডেনের শ্রেষ্ঠ মডেল নির্বাচিত হয়ে চারিদিকে সাড়া ফেলে দেন। সফলতার পালক একে একে যুক্ত হওয়া শুরম্ন করে তখন থেকে। বিভিন্ন নামিদামি ফ্যাশন হাউজগুলো তার সঙ্গে চুক্তি করতে থাকে। বিভিন্ন পত্রিকার কভার মডেল হিসেবে প্রচুর অফার পান সে সময়। সে বছরই ব্রিটেনের সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন মডেলের স্বীকৃতি পান। ফ্যাশন জগতকে নিয়ন্ত্রণ করা নামিদামি ফ্যাশন হাউজগুলো তাকে দিয়ে ফটোসেশন করানোর জন্য হুমরি খেয়ে পড়ে। র্যাম্প মডেলিং যাত্রাপথে ডিওর, বারবেরি ডলসি এন্ড গাব্বানা, জিল স্যান্ডারের মতো নামিদামি ফ্যাশন হাউজগুলোর ফ্যাশন শোতে অংশ গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে ভোগ পত্রিকার কভার গাল হয়ে মাত করে ফেলেন সবাইকে। দীর্ঘাঙ্গী এই মডেল তার এক্সপ্রেশনের জন্য বেশ জনপ্রিয় পত্রিকার কভারপেজ এক্সপ্রেশনের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক হাঁকান। ব্রিটেন, চায়না, ইতালি ও অস্ট্রেলিয়ার ভোগ পত্রিকায় দুইবার করে কভার গার্ল হন। এই দৃষ্টানত্ম এর আগে কেউ প্রতিষ্টা করেনি। এ কারণে তিনি 'হেড গার্ল' উপাধি পান। মডেলিং জগতে পা রাখার শুরম্নতে ভাল কিছু বন্ধু জুটে তার। এর মধ্যে জেসিকা স্ট্যাম, জিমার মান, কোকো রচা, হিলারি রহডা, জুলিয়া স্টেনগার অন্যতম। এরা প্রত্যেকেই অবশ্য মডেলিং জগতে উজ্জ্বল নত্র। বিভিন্ন ব্যান্ড কোম্পানির বিজ্ঞাপন মডেল হয়েছেন তিনি। এ তালিকায় গুচি, চ্যানেল ব্যালেনসিয়াগা, ক্রিশ্চিয়ান ভিওর, রবার্তো ক্যাভালি, ইম্মানুয়েল আনগারোসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্রিটেনের লাক্সারিয়াস ব্রান্ড হাউজ হচ্ছে বারবেরি। এই বারবেরির সঙ্গে মডেল হিসেবে চুক্তি বন্ধ হয়েছেন সর্বাধিক বার। বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজ ল্যানভিনের প্রধান ডিজাইনার আলবের এলবাজের সবচেয়ে প্রিয় মডেল হিসেবে আায়িত হন লিলি। এছাড়াও তিনি আলেকজান্ডার ম্যাক কুইন, আনা সু্যই, ক্যালভিন কেইনের বিখ্যাত ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজ করেছেন। সর্ব প্রথম মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পান ২০০০ সালে। প্যারিসের ভোগ পত্রিকায় এক পরিসংখ্যানে ৩০ জন টপ মডেলদের তালিকায় লিলি ডোনাল্ডসনের নাম ঠাঁই পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের এক জরিপে বিশ্বের সেরা র্যাম্প মডেলদের তালিকায় টপ ফাইভে স্থান করে নেন। সেই সঙ্গে সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনকারী মডেলদের তালিকাতেও তিনি ছিলেন শীর্ষে। ২০০৮ সালের মে মাসের একটি ঘটনা সবাইকে অবাক করে দেয়। এই সময়ে তিনি নিউইয়র্কের টম্পকিংস স্কয়ার পার্কে দুটি বেড রম্নমবিশিষ্ট এক ফাট ক্রয় করা বাবদ ২.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় করেন। ছোট্ট একটি ফ্যাট ক্রয়ে এত টাকা ব্যয় করার নজির অন্য কোন মডেলদের নেই। ২০০৯ সালে বারবেরি এবং গুচির ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর নিযুুক্ত হন তিনি। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বেস্ট ইমেজ খেতাব অর্জন করেন বহুল আলোচিত এই সুপার মডেল। এখন অবধি বীরদর্পে ফ্যাশন শোগুলো পারফর্ম করে যাচ্ছেন লিলি ডোনাল্ডসন।সাইদ শিশির
No comments