সাভারের বেদেপল্লি যেন মাদকের হাট by অরূপ রায়
‘হ্যালো, তুমি কোথায় আছো, আমারে পাঁচটা বাবা (ইয়াবা বড়ি) আর দুইটা ডাইল (ফেনসিডিল) দিয়া উপকার করো না, ভাই।’ গতকাল শুক্রবার দুপুরে এভাবেই মুঠোফোনে কথা বলছিলেন সাভারের বেদেপল্লির কাছে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক। আবদারের কিছুক্ষণ পরই এক তরুণ তাঁকে ইয়াবা আর ফেনসিডিল দিয়ে যান।
ওই যুবক চলে যাওয়ার পর ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সেখানে আসেন আরও তিন যুবক। তাঁরাও মুঠোফোনে কিছু সময় কথা বলে চাহিদা অনুযায়ী ওই তরুণের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করেন। বেলা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে চেনা-অচেনা যুবকদের আনাগোনাও বাড়তে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভার পৌর এলাকার এই পল্লির অনেকে মাদকসেবী। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ফেনসিডিল সেবন করছেন মাহবুব দেওয়ান। তিনি এই মাদক সংগ্রহ করেন ওই পল্লি থেকে। মাহবুব জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই মাদকসেবীদের মুখোমুখি হন না। মাদকসেবীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাঁরা ব্যবহার করেন দরিদ্র পরিবারের তরুণ-তরুণীদের। মুঠোফোনে কল পেলে এসব তরুণ-তরুণীই ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেন মাদকদ্রব্য।
স্থানীয় লোকজন জানান, বেদেপল্লির অমরপুর, পোড়াবাড়ি আর কাঞ্চনপুর মহল্লা মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ ঘাঁটি। এসব স্থানে অনেকটা প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা ইত্যাদি। মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন দুপুরের পর সরব হয়ে ওঠে এই পল্লি।
সাভার থানার পুলিশ, নিজস্ব অনুসন্ধান ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, পল্লির খোকন মিয়া, শাহীন মিয়া, কদম, মণ্ডল, আবদুল করিম ও তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, আজিম মিয়া ও তাঁর স্ত্রী রাজেদা আক্তার, শহীদুল ইসলাম, বিবি আক্তার, মনি আক্তার মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, প্রায় এক বছর আগে পুলিশ এই মাদক ব্যবসায়ীদের অনেককে গ্রেপ্তার করে। কিছুদিন পর জামিনে ছাড়া পেয়ে তাঁরা আবার এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
মাদক ব্যবসা ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফিউল আলম বলেন, ‘বেদেপল্লিতে মাদক ব্যবসা চলে—এমন অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর নামের তালিকাও পেয়েছি। শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভার পৌর এলাকার এই পল্লির অনেকে মাদকসেবী। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ফেনসিডিল সেবন করছেন মাহবুব দেওয়ান। তিনি এই মাদক সংগ্রহ করেন ওই পল্লি থেকে। মাহবুব জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই মাদকসেবীদের মুখোমুখি হন না। মাদকসেবীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাঁরা ব্যবহার করেন দরিদ্র পরিবারের তরুণ-তরুণীদের। মুঠোফোনে কল পেলে এসব তরুণ-তরুণীই ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেন মাদকদ্রব্য।
স্থানীয় লোকজন জানান, বেদেপল্লির অমরপুর, পোড়াবাড়ি আর কাঞ্চনপুর মহল্লা মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ ঘাঁটি। এসব স্থানে অনেকটা প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা ইত্যাদি। মাদক বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন দুপুরের পর সরব হয়ে ওঠে এই পল্লি।
সাভার থানার পুলিশ, নিজস্ব অনুসন্ধান ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, পল্লির খোকন মিয়া, শাহীন মিয়া, কদম, মণ্ডল, আবদুল করিম ও তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, আজিম মিয়া ও তাঁর স্ত্রী রাজেদা আক্তার, শহীদুল ইসলাম, বিবি আক্তার, মনি আক্তার মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, প্রায় এক বছর আগে পুলিশ এই মাদক ব্যবসায়ীদের অনেককে গ্রেপ্তার করে। কিছুদিন পর জামিনে ছাড়া পেয়ে তাঁরা আবার এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
মাদক ব্যবসা ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফিউল আলম বলেন, ‘বেদেপল্লিতে মাদক ব্যবসা চলে—এমন অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর নামের তালিকাও পেয়েছি। শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
No comments