ব্যবসায় শিক্ষায় ঝোঁক বাড়ছেই by নিজাম সিদ্দিকী
বিজ্ঞান ও মানবিককে পেছনে ফেলে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বেশি হারে ব্যবসায় শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে। গত কয়েক বছর ধরে এই প্রবণতা অব্যাহত আছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন এ রকম চলতে থাকলে দেশের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ বছর উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত কয়েক বছরের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ছিল ব্যবসায় শিক্ষায়। পাসের হারও বেশি ছিল এ বিভাগেই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দ্বৈপায়ন সিকদার বলেন, ‘চাকরির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষাকে বেছে নিচ্ছে। বিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে হলে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। বিজ্ঞানের বিষয়গুলো থেকে পাস করে যাতে শিক্ষার্থীরা চাকরি পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
গত কয়েক বছরের এইচএসসির ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিবছরই ব্যবসায় শিক্ষায় পরীক্ষার্থী ও পাস করা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। অপর দিকে, বিজ্ঞানের তুলনায় মানবিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও পাসের হারের দিকে থেকে এগিয়ে রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মানবিকে ৬০ দশমিক ৫১ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ২৬ হাজার ৯০৯ জন। বিজ্ঞান বিভাগের ১০ হাজার ২২৪ জন ও মানবিক বিভাগে ১৬ হাজার ৮৩৫ জন। অপর দিকে, ২০১১ সালে ব্যবসায় শিক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ২৩ হাজার ৮০৯ জন। বিজ্ঞানে আট হাজার ৯০০ জন ও মানবিক বিভাগে ১৫ হাজার ৫৮ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পীযূষ দত্ত বলেন, ‘এভাবে বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে ব্যবসায় শিক্ষায় পড়ার প্রবণতা দীর্ঘদিন বজায় থাকলে দেশের ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’
ভর্তির চাপ বাড়ছে ব্যবসায় শিক্ষায়: গত কয়েক বছর ধরে একাদশ শ্রেণীতে ব্যবসায় শিক্ষায় ভর্তির চাপ বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসীন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুল গোফরান বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর ধরেই দেখছি একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষায় প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত আসনের অভাবে আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারি না।’
ব্যবসায় শিক্ষায় ঝুঁকছেন মেয়েরাও: বোর্ডের গত তিন বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, শুধু ছেলেরাই নয়, মেয়েরাও ব্যবসায় শিক্ষার দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। ২০১০ সালে ব্যবসায় শিক্ষায় আট হাজার ৬১৪ জন ছাত্রী অংশ নেন।
২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৭৪ জনে। আর এ বছর এই বিভাগে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ হাজার ৫৫৬ জন ছাত্রী।
উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েরা বিজ্ঞান ও মানবিকের দিকে না গিয়ে কেন ব্যবসায় শিক্ষায় ঝুঁকছে—এমন প্রশ্ন করা হলে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মোনায়েম বলেন, ‘আমাদের কলেজে ব্যবসায় শিক্ষায় ভর্তি ও পাসের হার বাড়ছে। সম্ভবত চাকরির বাজারের সুযোগ-সুবিধার কথা ভেবে মেয়েরাও এ বিষয়ের দিকে ঝুঁকছে।’
বাড়ছে আসনের জন্য আবেদন: গত কয়েক বছর ধরে শুধু ব্যবসায় শিক্ষায় বিভাগে আসন বাড়ানোর আবেদনই বেশি জমা পড়ছে বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘এসএসসিতে ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার বেড়ে যাওয়ায় কলেজগুলোতে আসন-সংকট দেখা দিচ্ছে। আমার মতে, গত তিন বছরে কমপক্ষে এক হাজার করে ব্যবসায় শিক্ষায় আসন বাড়ানোর আবেদন এসেছে আমাদের কাছে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দ্বৈপায়ন সিকদার বলেন, ‘চাকরির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষাকে বেছে নিচ্ছে। বিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে হলে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। বিজ্ঞানের বিষয়গুলো থেকে পাস করে যাতে শিক্ষার্থীরা চাকরি পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
গত কয়েক বছরের এইচএসসির ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিবছরই ব্যবসায় শিক্ষায় পরীক্ষার্থী ও পাস করা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। অপর দিকে, বিজ্ঞানের তুলনায় মানবিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও পাসের হারের দিকে থেকে এগিয়ে রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মানবিকে ৬০ দশমিক ৫১ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ২৬ হাজার ৯০৯ জন। বিজ্ঞান বিভাগের ১০ হাজার ২২৪ জন ও মানবিক বিভাগে ১৬ হাজার ৮৩৫ জন। অপর দিকে, ২০১১ সালে ব্যবসায় শিক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ২৩ হাজার ৮০৯ জন। বিজ্ঞানে আট হাজার ৯০০ জন ও মানবিক বিভাগে ১৫ হাজার ৫৮ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পীযূষ দত্ত বলেন, ‘এভাবে বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে ব্যবসায় শিক্ষায় পড়ার প্রবণতা দীর্ঘদিন বজায় থাকলে দেশের ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’
ভর্তির চাপ বাড়ছে ব্যবসায় শিক্ষায়: গত কয়েক বছর ধরে একাদশ শ্রেণীতে ব্যবসায় শিক্ষায় ভর্তির চাপ বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসীন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুল গোফরান বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর ধরেই দেখছি একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষায় প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত আসনের অভাবে আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারি না।’
ব্যবসায় শিক্ষায় ঝুঁকছেন মেয়েরাও: বোর্ডের গত তিন বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, শুধু ছেলেরাই নয়, মেয়েরাও ব্যবসায় শিক্ষার দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। ২০১০ সালে ব্যবসায় শিক্ষায় আট হাজার ৬১৪ জন ছাত্রী অংশ নেন।
২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৭৪ জনে। আর এ বছর এই বিভাগে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ হাজার ৫৫৬ জন ছাত্রী।
উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েরা বিজ্ঞান ও মানবিকের দিকে না গিয়ে কেন ব্যবসায় শিক্ষায় ঝুঁকছে—এমন প্রশ্ন করা হলে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মোনায়েম বলেন, ‘আমাদের কলেজে ব্যবসায় শিক্ষায় ভর্তি ও পাসের হার বাড়ছে। সম্ভবত চাকরির বাজারের সুযোগ-সুবিধার কথা ভেবে মেয়েরাও এ বিষয়ের দিকে ঝুঁকছে।’
বাড়ছে আসনের জন্য আবেদন: গত কয়েক বছর ধরে শুধু ব্যবসায় শিক্ষায় বিভাগে আসন বাড়ানোর আবেদনই বেশি জমা পড়ছে বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘এসএসসিতে ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার বেড়ে যাওয়ায় কলেজগুলোতে আসন-সংকট দেখা দিচ্ছে। আমার মতে, গত তিন বছরে কমপক্ষে এক হাজার করে ব্যবসায় শিক্ষায় আসন বাড়ানোর আবেদন এসেছে আমাদের কাছে।’
No comments