শরণার্থী থেকে তারকা ফুটবলার !
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে বেশ কষ্টকর সময় কাটাচ্ছিলেন আলি আব্বাস। অনেক প্রতিশ্রুতির ফুটবল ক্যারিয়ারটাও পড়ে গিয়েছিল হুমকির মুখে। কিন্তু হঠাত্ করেই একটা সাহসী পদক্ষেপ বদলে দিয়েছে ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলারের জীবন। শরণার্থী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর রীতিমতো তারকাখ্যাতি পেয়ে গেছেন এই ইরাকি মিডফিল্ডার।
কৌশল ও দক্ষতা দিয়ে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলপ্রেমীদের নজর কেড়ে নিয়েছেন তিনি।
২০০৭ সালে ইরাকের এশিয়ান কাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন আলি আব্বাস। ফাইনালে সৌদি আরবকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইরাক। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে যে ক্রীড়া-ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত হয়েই থাকবে, এটা বেশ ভালোমতোই বুঝতে পেরেছিলেন আব্বাস। তাই এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার চার মাস পর তিনি ও তাঁর দুই ইরাকি সতীর্থ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সেই সময়ের স্মৃতিচারণা করে আব্বাস বলেছেন, ‘২০০৭ সালে ইরাকের পরিস্থিতি ছিল খুবই খারাপ। সে সময় আমরা অস্ট্রেলিয়া অলিম্পিক ফুটবলের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলাম। ওই ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল ইরাক। এর পরই নিরাপদ জীবনের প্রত্যাশায় আমি অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যাই। ইরাকে আমার জীবন নিরাপদ ছিল না, ওখানে যেকোনো ক্রীড়াবিদ, চিকিত্সক কিংবা অভিনেতার মতো আমিও আমার কাজ ঠিকমতো করার পরিবেশ ছিল না। এ কারণেই অস্ট্রেলিয়াতেই আমি আমার ভাগ্যান্বেষণ করতে চেয়েছিলাম।’
অস্ট্রেলিয়ায় শুরুতে আব্বাসকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তারপর নিজের ফুটবল-প্রতিভা দিয়ে অচিরেই দেশটির ক্রীড়াপ্রেমীদের মন জয় করে নেন তিনি। পেয়ে যান তারকাখ্যাতি। বর্তমানে আলি আব্বাসকে দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব।
২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল খেলার সুযোগ পান আব্বাস। আর সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ক্লাব সিডনি এফসিতে নাম লিখিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। ব্রাজিলের কিংবদন্তি জুনিনহো একসময় খেলে গেছেন এই ক্লাবে। আলি আব্বাস অবশ্য জানিয়েছেন, ইরাক ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেওয়াটা সহজ ছিল না তাঁর জন্য।
এবারের মৌসুমে আলি আব্বাস সিডনির মাঝমাঠে বেশ দাপটের সঙ্গেই খেলতে পারবেন বলে বিশ্বাস কোচ ইয়ান ক্রুকের। তিনি বলেছেন, ‘ও খুবই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। মাঠে ওর পা থেকে বেরিয়ে আসে দারুণ সব পাস। সবচেয়ে বড় কথা নিজেকে প্রমাণের জন্য আব্বাস সব সময়ই মরিয়া হয়ে আছে। যেটা আমার কাছে ওর খেলার খুবই আকর্ষণীয় একটা দিক।’ বিবিসি অবলম্বনে।
২০০৭ সালে ইরাকের এশিয়ান কাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন আলি আব্বাস। ফাইনালে সৌদি আরবকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইরাক। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে যে ক্রীড়া-ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত হয়েই থাকবে, এটা বেশ ভালোমতোই বুঝতে পেরেছিলেন আব্বাস। তাই এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার চার মাস পর তিনি ও তাঁর দুই ইরাকি সতীর্থ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সেই সময়ের স্মৃতিচারণা করে আব্বাস বলেছেন, ‘২০০৭ সালে ইরাকের পরিস্থিতি ছিল খুবই খারাপ। সে সময় আমরা অস্ট্রেলিয়া অলিম্পিক ফুটবলের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলাম। ওই ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল ইরাক। এর পরই নিরাপদ জীবনের প্রত্যাশায় আমি অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যাই। ইরাকে আমার জীবন নিরাপদ ছিল না, ওখানে যেকোনো ক্রীড়াবিদ, চিকিত্সক কিংবা অভিনেতার মতো আমিও আমার কাজ ঠিকমতো করার পরিবেশ ছিল না। এ কারণেই অস্ট্রেলিয়াতেই আমি আমার ভাগ্যান্বেষণ করতে চেয়েছিলাম।’
অস্ট্রেলিয়ায় শুরুতে আব্বাসকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তারপর নিজের ফুটবল-প্রতিভা দিয়ে অচিরেই দেশটির ক্রীড়াপ্রেমীদের মন জয় করে নেন তিনি। পেয়ে যান তারকাখ্যাতি। বর্তমানে আলি আব্বাসকে দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব।
২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল খেলার সুযোগ পান আব্বাস। আর সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ক্লাব সিডনি এফসিতে নাম লিখিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। ব্রাজিলের কিংবদন্তি জুনিনহো একসময় খেলে গেছেন এই ক্লাবে। আলি আব্বাস অবশ্য জানিয়েছেন, ইরাক ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেওয়াটা সহজ ছিল না তাঁর জন্য।
এবারের মৌসুমে আলি আব্বাস সিডনির মাঝমাঠে বেশ দাপটের সঙ্গেই খেলতে পারবেন বলে বিশ্বাস কোচ ইয়ান ক্রুকের। তিনি বলেছেন, ‘ও খুবই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। মাঠে ওর পা থেকে বেরিয়ে আসে দারুণ সব পাস। সবচেয়ে বড় কথা নিজেকে প্রমাণের জন্য আব্বাস সব সময়ই মরিয়া হয়ে আছে। যেটা আমার কাছে ওর খেলার খুবই আকর্ষণীয় একটা দিক।’ বিবিসি অবলম্বনে।
No comments