দেশের পথে হুমায়ূনের মরদেহ-‘স্যার, আর তো কোনো দিন আসবেন না’

নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ এখন তাঁর প্রিয় স্বদেশের পথে। নিউইয়র্ক সময় শনিবার রাত ১১টা ৪১ মিনিটে তাঁর মরদেহবাহী কফিন নিয়ে ফ্লাইটটি জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই শিশুপুত্র নিষাদ ও নিনিত, শাশুড়ি সাংসদ তহুরা আলী, প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম ও শাওনের


বোন সেঁজুতি একই ফ্লাইটে নিউইয়র্ক থেকে রওনা হয়েছেন। দুবাইয়ে যাত্রাবিরতির পর সোমবার সকাল নয়টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ নিয়ে তাঁদের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা।
লেখক হুমায়ূন আহমেদকে শেষ বিদায় জানাতে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে প্রবাসীদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাব্বির আহমেদ চৌধুরীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন শেষ বিদায় জানাতে।
লেখকের বাল্যবন্ধু প্রবাসী ফাংশু মণ্ডল, মুক্তধারার বিশ্বজিৎ সাহা, রুমা সাহা, প্রবাসী লেখক গাজী কাশেম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের নেতা শাহীন আজমলসহ সাংবাদিক, প্রবাসী কবি-সংস্কৃতিকর্মীরা অশ্রুতে শেষ বিদায় জানান তাঁকে।
শুক্রবার প্রথম জানাজার পর জ্যামাইকার ইসলামিক ফিউনারেল হোমে রাখা হয়েছিল হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ। ফিউনারেল হোম থেকে শনিবার বিকেল চারটায় মরহুমের কফিন পৌঁছে দেওয়া হয় জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে।
জীবদ্দশায় লেখক হুমায়ূন আহমেদ বহুবার নিউইয়র্কে গেছেন। বইমেলায়, এখানে-ওখানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন, ভক্ত-শুভানুধ্যায়ী প্রবাসীদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের নিউইয়র্ক ভ্রমণ ছিল সদা চাঞ্চল্যের।
প্রতিবারই নিউইয়র্ক আসা-যাওয়ার পথে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে প্রবাসীদের ভিড় হতো। চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে এসেছিলেন তিনি, ফিরছেন লাশ হয়ে। বিশ্বজিৎ সাহা এমিরেটস এয়ার লাইন্সের কফিনবাহী ফ্লাইটের দিকে চেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘স্যার, আর তো কোনো দিন আসবেন না।’

No comments

Powered by Blogger.