ধর নির্ভয় গান-অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ by আলী যাকের
অতীতের সঙ্গে বর্তমানের যোগসূত্র স্থাপিত না হলে, সর্বক্ষেত্রে যুক্তির প্রয়োগ না করা হলে, একটি জাতি খর্বকায় থেকে যায়। সে জাতির দ্বারা কোনো বৃহৎ কর্ম সম্পাদন কোনোকালেই সম্ভব হয় না। আমরা কি তবে আজীবন খর্বকায়ই থেকে যাব? অথচ আমরা তো ভাবতে জানতাম? আমরা তো যুক্তি প্রয়োগে কুণ্ঠা করিনি? আমরা তো নিজেদের ভূমিকা সম্বন্ধে কখনও দ্বিধায় ভুগিনি
'এক উজ্জ্বল অতীত, কর্মময় বর্তমানের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে স্বর্ণালী ভবিষ্যতের দিকে।' এই বাক্যটি আমার নয়। এটি বলেছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরু তার গ্রন্থে, গঙ্গা নদী সম্বন্ধে তার বর্ণনায়। তিনি ভাবতেন যে, গঙ্গা কেবল একটি নদী নয়। এটি একটি বহমান স্রোতধারা, যা ভারতের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সঙ্গে সেতুবন্ধ রচনা করেছে। প্রতীকী অর্থে গঙ্গা নদীকে নানা সভ্যতার এবং সংস্কৃতির মালা গাঁথার সুতো হিসেবে আমরা ধরে নিতে পারি। নেহরু অতীতকে অশেষ সম্মান করতেন। 'তার বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাস' শীর্ষক গ্রন্থটি আমি যখনই পড়ি, মুগ্ধ হয়ে যাই। এই মুগ্ধতা আমার শুরু হয়েছিল কৈশোর এবং তারুণ্যের সন্ধিক্ষণে এবং আজও একই রকম আছে। তার গর্ব ছিল ভারতকে নিয়ে, ভারতের ইতিহাসকে নিয়ে। তিনি একাধিকবার ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা সম্বন্ধে তার গ্রন্থে উলেল্গখ করেছেন। প্রসঙ্গত উলেল্গখযোগ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রথিতযশা অধ্যাপক ছিলেন আমাদেরই বাংলাদেশের বিক্রমপুরে অবস্থিত বজ্রযোগিনী গ্রামের অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। হঠাৎ মনে হলো এহেন বিশাল মাপের যে প্রাচীন মানুষটি, তার নামে একটি অতি ক্ষীণকায় সরণির নামকরণ করা হয়েছে আমাদের এই ঢাকা শহরে। কমলাপুরে অবস্থিত এই সরণির ওপরে রয়েছে বৌদ্ধ উপাসনালয় এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতির কেন্দ্র। যেন অতীশ দীপঙ্কর কেবল একজন ধর্মগুরুই ছিলেন, এর বেশি কিছু নয়। যেন তার নামে একটি ক্ষীণকায় রাস্তার নামকরণ করলেই তার প্রতি সব সম্মান প্রদর্শিত হয়। এই যে অতীশ দীপঙ্করের ভূমিকা এবং অবদানকে এত সরলীকরণ করা হয় আমাদের সমাজে এখন, এটিই প্রমাণ করে যে ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কত ক্ষীণ। একদিক দিয়ে দেখতে গেলে ভালোই। কেননা বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসকে জানলে অনেক সিদ্ধান্ত অথবা মনোভাব আর প্রশ্নাতীত থাকতে পারে না। মানুষ তখন যুক্তিনির্ভর বিশেল্গষণে আগ্রহী হয়। ফলে অনেক রথী-মহারথীরা স্বভাবতই বড় মুশকিলে পড়ে যাবেন। আমাদের এখানে প্রায়ই শোনা যায়, আমাদের নানা মাপের সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতা বলে থাকেন যে, অতীত নিয়ে আর বেশি ঘাঁটাঘাঁটি না করাই ভালো। আসুন আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাই। এক খুব স্বনামখ্যাত রাজনৈতিক নেতা তো ইতিহাসবিদদের এক সভায় বলেই ফেলেছিলেন যে, তাদের উচিত আমাদের অতীত ভুলে গিয়ে সামনের দিকে তাকানো। এটি সংবাদপত্রে পড়ে আমার মনে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল যে, হায়! ইতিহাসবেত্তাদের যদি ইতিহাস চর্চা করার অধিকার না থাকে তাহলে তারা খাবে কী? ইংরেজিতে একটি কথা আছে, 'শান্তির একটি উৎস হলো অন্ধকারে থাকা।' তাহলে অনেক কিছুই দেখা যায় না। এবং দেখা না গেলেই শান্তি। সেই কারণে অতীত থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে হয়তো কিছু মানুষ কিছুদিনের জন্য আপাতরম্যে বাস করতে পারেন কিন্তু 'অতীত হঠাৎ হাতে হানা দেয় আমাদের বন্ধ দরজায়!' যে প্রশ্নগুলো আমরা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, সেই প্রশ্নগুলো আবার ফিরে ফিরে আসে। যে সমস্যাগুলোর সমাধান আমরা এড়িয়ে চলি, সেই সমস্যাগুলো আকারে বহুগুণ বড় হয়ে গিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের বিব্রত করে। ভাবতে মজা লাগে, আমাদের এই বাংলাদেশে গত ৪০ বছরের ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই যে, প্রতিটি নতুন সরকারের ক্ষমতা দখলের পর, বিশেষ করে স্বৈরাচারী উপায়ে, ইতিহাস নতুন করে শুরু হয়। সেজন্য এই ৪০ বছরেও আমাদের বয়ঃপ্রাপ্তি ঘটেনি। কিন্তু যদি একটি জাতি অনেক বছর ধরে শৈশবে অবগাহন করে তাহলে সমূহ সম্ভাবনা থাকে মানসিক বৈকল্যের এবং বুদ্ধিহীনতার।
এই কথাগুলো আমার হঠাৎ করে মনে হলো আমারই এক অতি প্রিয় মানুষের একটি লেখা পড়ে। যাতে তিনি তার বিচলিত হওয়ার কথা লিখেছেন আমাদের কিছু দর্শকদের পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রতি সমর্থন দেখে। এই সমর্থন ছিল খেলার চেয়েও অধিক। তারা পাকিস্তানের পতাকা গায়ে জড়িয়ে প্রায় উন্মাদের মতোই উল্লম্ফন করেছে। এই খেলাতে পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে হারিয়েছিল মিরপুরে। লেখিকা দুঃখ করে বলেছেন, কত সহজে আমরা অদূর অতীতকে ভুলে গিয়ে এই ধরনের বাঁদরামিতে নিজেদের সমর্পণ করি। আমি অবশ্য দোষের কিছু দেখি না। কেননা আমাদের দেশটির জন্মলগ্ন থেকেই তো চেষ্টা চলেছে নানাবিধ উপায়ে আমাদের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার! যে ইতিহাস ছিল সংগ্রামের, আত্মবিসর্জনের, স্বাধীনতার। আমাদের সন্তানদের স্বার্থে অতীতের সঙ্গে বর্তমানের একটি সুদৃঢ় সেতুবন্ধ রচনা করা দরকার। তাহলেই কেবল আমরা একটি উজ্জ্বল, সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ আশা করতে পারি। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যেসব মানুষ মানব সভ্যতায় তাদের অবদানের স্বাক্ষর রেখেছেন, সে প্রতীচ্যেই হোক কিংবা প্রাচ্যে, তাদের সকলেই ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে। আমাদের দীনদশা এই জন্যই যে, শিক্ষা শব্দটির সঙ্গে আমাদের, বিশেষ করে আমাদের অধিকাংশ নেতা-নেত্রীর সম্পর্ক নেই বললেই চলে। একবার ব্রিটেনের সম্রাট চতুর্থ হেনরি তার এক আমাত্যকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'আচ্ছা, আমার প্রজারা কি ভাবতে জানে?' জবাবে আমাত্য বলেছিল, 'না প্রভু। করোটির ভেতরে যে মগজ দিয়ে ভাবতে হয়, আমরা সেটিকে বের করে নিয়েছি। এখন ওদের কেবলই ফাঁপা করোটি।' চতুর্থ হেনরি বলেছিলেন, 'যাক, তাহলে আমার দুর্ভাবনা অনেক কমে গেল।' অর্থাৎ ভাবলেই যুক্তি আসবে, যুক্তি এলেই প্রশ্ন এবং সেটি স্বৈরাচারীদের জন্য বড়ই বিপদের কথা। আমরা সবাই জানি যে, জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও আবিষ্কার করেছিলেন সূর্য স্থির, পৃথিবী তার চারপাশে ঘোরে। তিনি বিষয়টি সম্বন্ধে তৎকালীন শাসকদের যখন বললেন, তখন তারা আঁতকে উঠল। কেননা তৎকালীন মৌলবাদী গির্জা বিশ্বাস করত পৃথিবী স্থির, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মাঝখানে তার অবস্থান এবং সূর্য তার চারপাশে ঘুরে ঘুরে তাকে আলো দান করে। গ্যালিলিও দূরবীন যন্ত্রটির সাহায্যে এই তত্ত্ব বিশ্বাস করাবার জন্য স্বচক্ষে গ্রহ-নক্ষত্রের দিকে দৃষ্টিপাত করতে বলেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি। অবশেষে মৌলবাদীরা তাকে ফ্লোরেন্স শহরে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। সেখানে বসে রাতের অন্ধকারে ক্ষীণ দৃষ্টির বৃদ্ধ গ্যালিলিও রচনা করলেন তার অমর বিজ্ঞানগাথা 'ডিসকোর্সি'। তার প্রিয় ছাত্র আন্দ্রিয়া সার্তি ফ্লোরেন্স থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং তার গুরুর কাছে বিদায় নিতে আসে। কথায় কথায় গ্যালিলিও বলেন, তিনি 'ডিসকোর্সি' লেখা শেষ করেছেন। এই সময় আন্দ্রিয়া অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে ওঠে। সে প্রশ্ন করে, কীভাবে এটা সম্ভব হলো? জবাবে গ্যালিলিও বলেন, 'আন্দ্রিয়া, বিজ্ঞান আসলে কী? বিজ্ঞান হলো সন্দেহের মাধ্যমে সত্যের অনুসন্ধান।' জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিওর এই বাক্যটি 'সন্দেহের মাধ্যমে সত্যের অনুসন্ধান' আজ সত্য। সত্যের অনুসন্ধান না করলে, অতীতের সঙ্গে বর্তমানের যোগসূত্র স্থাপিত না হলে, সর্বক্ষেত্রে যুক্তির প্রয়োগ না করা হলে, একটি জাতি খর্বকায় থেকে যায়। সে জাতির দ্বারা কোনো বৃহৎ কর্ম সম্পাদন কোনোকালেই সম্ভব হয় না। আমরা কি তবে আজীবন খর্বকায়ই থেকে যাব? অথচ আমরা তো ভাবতে জানতাম? আমরা তো যুক্তি প্রয়োগে কুণ্ঠা করিনি? আমরা তো নিজেদের ভূমিকা সম্বন্ধে কখনও দ্বিধায় ভুগিনি? আমরা তো দেশটিকে স্বাধীন করেছিলাম? তাহলে?
আলী যাকের : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
এই কথাগুলো আমার হঠাৎ করে মনে হলো আমারই এক অতি প্রিয় মানুষের একটি লেখা পড়ে। যাতে তিনি তার বিচলিত হওয়ার কথা লিখেছেন আমাদের কিছু দর্শকদের পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রতি সমর্থন দেখে। এই সমর্থন ছিল খেলার চেয়েও অধিক। তারা পাকিস্তানের পতাকা গায়ে জড়িয়ে প্রায় উন্মাদের মতোই উল্লম্ফন করেছে। এই খেলাতে পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে হারিয়েছিল মিরপুরে। লেখিকা দুঃখ করে বলেছেন, কত সহজে আমরা অদূর অতীতকে ভুলে গিয়ে এই ধরনের বাঁদরামিতে নিজেদের সমর্পণ করি। আমি অবশ্য দোষের কিছু দেখি না। কেননা আমাদের দেশটির জন্মলগ্ন থেকেই তো চেষ্টা চলেছে নানাবিধ উপায়ে আমাদের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার! যে ইতিহাস ছিল সংগ্রামের, আত্মবিসর্জনের, স্বাধীনতার। আমাদের সন্তানদের স্বার্থে অতীতের সঙ্গে বর্তমানের একটি সুদৃঢ় সেতুবন্ধ রচনা করা দরকার। তাহলেই কেবল আমরা একটি উজ্জ্বল, সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ আশা করতে পারি। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যেসব মানুষ মানব সভ্যতায় তাদের অবদানের স্বাক্ষর রেখেছেন, সে প্রতীচ্যেই হোক কিংবা প্রাচ্যে, তাদের সকলেই ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে। আমাদের দীনদশা এই জন্যই যে, শিক্ষা শব্দটির সঙ্গে আমাদের, বিশেষ করে আমাদের অধিকাংশ নেতা-নেত্রীর সম্পর্ক নেই বললেই চলে। একবার ব্রিটেনের সম্রাট চতুর্থ হেনরি তার এক আমাত্যকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'আচ্ছা, আমার প্রজারা কি ভাবতে জানে?' জবাবে আমাত্য বলেছিল, 'না প্রভু। করোটির ভেতরে যে মগজ দিয়ে ভাবতে হয়, আমরা সেটিকে বের করে নিয়েছি। এখন ওদের কেবলই ফাঁপা করোটি।' চতুর্থ হেনরি বলেছিলেন, 'যাক, তাহলে আমার দুর্ভাবনা অনেক কমে গেল।' অর্থাৎ ভাবলেই যুক্তি আসবে, যুক্তি এলেই প্রশ্ন এবং সেটি স্বৈরাচারীদের জন্য বড়ই বিপদের কথা। আমরা সবাই জানি যে, জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও আবিষ্কার করেছিলেন সূর্য স্থির, পৃথিবী তার চারপাশে ঘোরে। তিনি বিষয়টি সম্বন্ধে তৎকালীন শাসকদের যখন বললেন, তখন তারা আঁতকে উঠল। কেননা তৎকালীন মৌলবাদী গির্জা বিশ্বাস করত পৃথিবী স্থির, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মাঝখানে তার অবস্থান এবং সূর্য তার চারপাশে ঘুরে ঘুরে তাকে আলো দান করে। গ্যালিলিও দূরবীন যন্ত্রটির সাহায্যে এই তত্ত্ব বিশ্বাস করাবার জন্য স্বচক্ষে গ্রহ-নক্ষত্রের দিকে দৃষ্টিপাত করতে বলেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি। অবশেষে মৌলবাদীরা তাকে ফ্লোরেন্স শহরে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। সেখানে বসে রাতের অন্ধকারে ক্ষীণ দৃষ্টির বৃদ্ধ গ্যালিলিও রচনা করলেন তার অমর বিজ্ঞানগাথা 'ডিসকোর্সি'। তার প্রিয় ছাত্র আন্দ্রিয়া সার্তি ফ্লোরেন্স থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং তার গুরুর কাছে বিদায় নিতে আসে। কথায় কথায় গ্যালিলিও বলেন, তিনি 'ডিসকোর্সি' লেখা শেষ করেছেন। এই সময় আন্দ্রিয়া অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে ওঠে। সে প্রশ্ন করে, কীভাবে এটা সম্ভব হলো? জবাবে গ্যালিলিও বলেন, 'আন্দ্রিয়া, বিজ্ঞান আসলে কী? বিজ্ঞান হলো সন্দেহের মাধ্যমে সত্যের অনুসন্ধান।' জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিওর এই বাক্যটি 'সন্দেহের মাধ্যমে সত্যের অনুসন্ধান' আজ সত্য। সত্যের অনুসন্ধান না করলে, অতীতের সঙ্গে বর্তমানের যোগসূত্র স্থাপিত না হলে, সর্বক্ষেত্রে যুক্তির প্রয়োগ না করা হলে, একটি জাতি খর্বকায় থেকে যায়। সে জাতির দ্বারা কোনো বৃহৎ কর্ম সম্পাদন কোনোকালেই সম্ভব হয় না। আমরা কি তবে আজীবন খর্বকায়ই থেকে যাব? অথচ আমরা তো ভাবতে জানতাম? আমরা তো যুক্তি প্রয়োগে কুণ্ঠা করিনি? আমরা তো নিজেদের ভূমিকা সম্বন্ধে কখনও দ্বিধায় ভুগিনি? আমরা তো দেশটিকে স্বাধীন করেছিলাম? তাহলে?
আলী যাকের : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
No comments