বিষাক্ত পোলট্রি খাবার-নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করুন
যে খাঁটি দুধ এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ ডিম শিশুর পুষ্টির জন্য মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করার কথা, মানুষের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা, সেই দুধ ও ডিম এখন ভয়াবহ ক্যান্সারের মতো রোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শুধু মানুষ্যসৃষ্ট অপকর্মের ফলে।
দীর্ঘদিন ধরে ট্যানারি কারখানার উচ্ছিষ্ট বর্জ্য ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে প্রোটিন ফিড। ট্যানারিতে পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহার করা হয় ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক জিংকসহ অনেক বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ। এসব বিষাক্ত পদার্থের সংমিশ্রণে যে মণ্ড তৈরি হয়, তার উচ্ছিষ্ট অংশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে পোলট্রি ফিড অর্থাৎ হাঁস-মুরগির খাবার। বিশেষ করে ফার্মের মুরগির খাবার, ডেইরি বা গরুর খাবার এবং ফিশ ফিড বা মাছের খাবার। আরো ভয়াবহ ব্যাপার হলো, কোনো চোরাগুপ্তাভাবে নয়, বাণিজ্যিকভাবে এসব খাবার দেশজুড়ে সরবরাহ করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যের কারণে এ খাবার ব্যবহার করা হচ্ছে পোলট্রি ফার্ম, ডেইরি ফার্ম এবং মাছের হ্যাচারিতে। ফলে দুধ, মাছ ও ডিমের মধ্য দিয়ে বিষাক্ত ডাই-অক্সিন মানুষের দেহে প্রবেশ করে জীবন বিপন্ন করে তুলছে। পত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, একেকটি পোলট্রি ফার্ম প্রতিদিন তিন থেকে ১০ ট্রাক পর্যন্ত বর্জ্য বিভিন্ন ট্যানারি থেকে অল্প মূল্যে কিনে নিচ্ছে এবং ফিড কারখানার মালিকরা সেগুলো শুকিয়ে বস্তাজাত করে বিভিন্ন ফার্মে তা সরবরাহ করছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
প্রশ্ন হলো, জাতির এত ভয়াবহ অপরাধটি ঠেকানোর দায়িত্ব কার? পরিবেশ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার, ভ্রাম্যমাণ আদালত- নাকি সবার সমন্বয়ে? প্রকৃত অর্থে যার যার দায়িত্বের আওতায় এসব বিভাগের রয়েছে অবশ্য করণীয়। কিন্তু তার পরও কেন দেশের মানুষের এত বড় ক্ষতি অবাধে চলছে, তার জবাবদিহির দায়িত্ব সর্বোপরি সরকারের। অচিরে সরকারের কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি আমাদের। এই মারণ ব্যবসা প্রতিরোধ করা তেমন কঠিন কিছু নয়। সরবরাহের কাজ চলছে মাত্র কয়েকটি সুনির্দিষ্ট স্থান থেকে। এসব স্থানে এই অসাধু ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কয়েকজনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলেই জাতি এই বিষাক্ত খাবারের হাত থেকে মুক্তি পাবে। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানসম্মত পোলট্রি, ডেইরি ও মাছের খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
প্রশ্ন হলো, জাতির এত ভয়াবহ অপরাধটি ঠেকানোর দায়িত্ব কার? পরিবেশ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার, ভ্রাম্যমাণ আদালত- নাকি সবার সমন্বয়ে? প্রকৃত অর্থে যার যার দায়িত্বের আওতায় এসব বিভাগের রয়েছে অবশ্য করণীয়। কিন্তু তার পরও কেন দেশের মানুষের এত বড় ক্ষতি অবাধে চলছে, তার জবাবদিহির দায়িত্ব সর্বোপরি সরকারের। অচিরে সরকারের কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি আমাদের। এই মারণ ব্যবসা প্রতিরোধ করা তেমন কঠিন কিছু নয়। সরবরাহের কাজ চলছে মাত্র কয়েকটি সুনির্দিষ্ট স্থান থেকে। এসব স্থানে এই অসাধু ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কয়েকজনকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলেই জাতি এই বিষাক্ত খাবারের হাত থেকে মুক্তি পাবে। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানসম্মত পোলট্রি, ডেইরি ও মাছের খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
No comments