‘ত্রাণ চাই না, রাস্তা চাই’ by এস এম আক্কাছ উদ্দিন
‘আমরা ত্রাণ চাই না, রাস্তা চাই। বন্যায় আমাদের সহায়-সম্বল সব নিয়েছে। এতে আমরা কষ্টে থাকলেও এ মুহূর্তে আমাদের ত্রাণের চাইতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া চলাচলের রাস্তাটি সংস্কার জরুরি।’ চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এম সালাম ১৮ জুলাই ফটিকছড়ির পূর্ব সুয়াবিল গ্রামের দুর্গত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে গেলে এভাবেই ক্ষোভের সঙ্গে সড়ক সংস্কারের দাবি জানান এলাকার লোকজন।
স্থানীয় লোকজন জানান, গ্রামটিতে ২০ হাজার লোকের বাস। গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে গেছে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ মহেশ্বরী সড়ক। স্বাধীনতার পর সড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ইট বসানো হলেও বাকি অংশ থেকে গেছে হাঁটাচলারও অযোগ্য। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে এলাকাবাসী চাঁদা তুলে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশের সংস্কার করে। কিন্তু ১৫ জুলাই থেকে বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সড়কটির অধিকাংশ স্থান বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
গ্রামের বাসিন্দা চাকরিজীবী মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের ত্রাণ সহায়তার দরকার নেই। এলাকার দুঃখ এই সড়কটির জন্য আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই আমরা চাই সড়কটির পুরো অংশ পাকা করার মাধ্যমে এই দুর্ভোগের অবসান করা হোক।’
নাজিরহাট কলেজের শিক্ষার্থী মো. জাহেদুল করিম বলেন, ‘সড়কের দুরবস্থার কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের সময় ভোগান্তিতে পড়েন। তাই ত্রাণের পরিবর্তে সড়কটি দ্রুত মেরামত করে দিলে আমরা খুশি হব।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আজিজ উদ্দিন বলেন, ‘সড়কটির কারণে এলাকায় উৎপাদিত ফসল অন্য এলাকায় বিক্রির জন্য নেওয়া যায় না। ফলে উৎপাদিত ফসলের অনেকটা মাঠেই নষ্ট হয়।’
বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তালেব প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কটির জন্য এলাকাবাসী অনেক সংগ্রাম করেছেন। নিজেদের অর্থে সড়কের একাংশ সংস্কারও করেছেন। কিন্তু বন্যা তাঁদের স্বপ্নকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। তাই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।’
দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সারওয়ার জাহান, উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জনা খান মজলিশ উপস্থিত ছিলেন।
জনগণের দাবির প্রতিক্রিয়ায় জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এম সালাম বলেন, ‘বন্যার কারণে উপজেলায় প্রচুর সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। সব সড়ক পর্যায়ক্রমে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। মহেশ্বরী সড়কটির উন্নয়ন যাতে দ্রুত করা হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হবে।’
ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সড়কটির পাঁচ কিলোমিটার অংশে এর আগে ইট বসানো হয়েছিল। ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও এক কিলোমিটার সংস্কারের জন্য শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে।
গ্রামের বাসিন্দা চাকরিজীবী মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের ত্রাণ সহায়তার দরকার নেই। এলাকার দুঃখ এই সড়কটির জন্য আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই আমরা চাই সড়কটির পুরো অংশ পাকা করার মাধ্যমে এই দুর্ভোগের অবসান করা হোক।’
নাজিরহাট কলেজের শিক্ষার্থী মো. জাহেদুল করিম বলেন, ‘সড়কের দুরবস্থার কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের সময় ভোগান্তিতে পড়েন। তাই ত্রাণের পরিবর্তে সড়কটি দ্রুত মেরামত করে দিলে আমরা খুশি হব।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আজিজ উদ্দিন বলেন, ‘সড়কটির কারণে এলাকায় উৎপাদিত ফসল অন্য এলাকায় বিক্রির জন্য নেওয়া যায় না। ফলে উৎপাদিত ফসলের অনেকটা মাঠেই নষ্ট হয়।’
বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তালেব প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কটির জন্য এলাকাবাসী অনেক সংগ্রাম করেছেন। নিজেদের অর্থে সড়কের একাংশ সংস্কারও করেছেন। কিন্তু বন্যা তাঁদের স্বপ্নকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। তাই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।’
দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সারওয়ার জাহান, উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জনা খান মজলিশ উপস্থিত ছিলেন।
জনগণের দাবির প্রতিক্রিয়ায় জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এম সালাম বলেন, ‘বন্যার কারণে উপজেলায় প্রচুর সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। সব সড়ক পর্যায়ক্রমে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। মহেশ্বরী সড়কটির উন্নয়ন যাতে দ্রুত করা হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হবে।’
ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সড়কটির পাঁচ কিলোমিটার অংশে এর আগে ইট বসানো হয়েছিল। ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও এক কিলোমিটার সংস্কারের জন্য শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে।
No comments