অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশ-মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আশাবাদ সত্য হোক
'তাঁর মুখে ফুলচন্দন পড়ুক'- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা যে উক্তি করেছেন, তাতে বাংলার সেই প্রাচীন আশীর্বাদ-বাণী উচ্চারণ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ২৩৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, 'চীন নয়, বাংলাদেশই একদিন হবে বিশ্বের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশ।'
বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশটির ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। আর শুধু রপ্তানির ক্ষেত্রেই নয়, তাঁর মতে, 'এ দেশের মানুষ মেধা ও সৃজনশীলতায় খুবই ব্যতিক্রমী। শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিপ্লব সাধন করবে।' এগুলো যে শুধু কথার কথা নয়, তা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, 'আমার এসব বক্তব্য স্বপ্ন নয়। এটিই বাস্তবতা এবং এ সবই হবে এক থেকে দুই দশকের মধ্যে।' আমরা চাই, তাঁর এই আশাবাদ যেন অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়।
বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। স্বাধীনতার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। তারই ফল হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রযাত্রা। আমরা যদি সঠিক ধারায় এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে এই অগ্রযাত্রা আরো বেগবান হবে। দুটি দেশ হাতে হাত ধরে অগ্রসর হবে। সে কথাই বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত অনেক মিল রয়েছে। আমরা আশা করি, বিশ্বের অগ্রযাত্রায় একদিকে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র, আরেক দিকে বাংলাদেশ।' যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও তাতে বিশ্বাস করেন বলেই বাংলাদেশের প্রশংসায় তিনি পঞ্চমুখ। একবার নয়, বারবার তিনি ফিরে আসতে চান তাঁকে মুগ্ধ করা বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে।
অবশ্য একই দিনে প্রকাশিত আরেকটি খবর আমাদের মনে কিছুটা আশঙ্কারও জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশে জনগণ বিভিন্ন সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে বলে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)। সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি সভার শুনানিতে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশ করে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে। ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো কোনো প্রতিনিধি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, সেসব দেশের ক্রেতারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশের অধিবাসী হিসেবে আমরাও চাই, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হোক। সাধারণ মানুষ কোনোভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার না হোক। পাশাপাশি আমরা এটাও চাই, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে গতি সঞ্চারিত হয়েছে, সেটি যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ উন্নয়নের গতি বাধাপ্রাপ্ত বা ব্যাহত হলে চূড়ান্তভাবে তাতে জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ড্যান ডাব্লিউ মজিনাকে তাঁর সুন্দর আশাবাদের জন্য ধন্যবাদ। পাশাপাশি সরকারগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা অন্য যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিকার করার ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের মানুষের ওপরই আস্থা রাখতে চাই। বিগত সরকারগুলোর অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা বরাবরই সোচ্চার ছিল, আছে এবং থাকবে। নিকট অতীতে সরকারগুলোকে যেভাবে 'না' বলা হয়েছে, সেটিই তার প্রধান সাক্ষী। আমাদের রপ্তানি কিংবা উন্নয়নের গতি ব্যাহত হয় এমন কোনো আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা আমাদের কাম্য নয়।
বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। স্বাধীনতার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। তারই ফল হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রযাত্রা। আমরা যদি সঠিক ধারায় এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে এই অগ্রযাত্রা আরো বেগবান হবে। দুটি দেশ হাতে হাত ধরে অগ্রসর হবে। সে কথাই বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত অনেক মিল রয়েছে। আমরা আশা করি, বিশ্বের অগ্রযাত্রায় একদিকে নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র, আরেক দিকে বাংলাদেশ।' যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও তাতে বিশ্বাস করেন বলেই বাংলাদেশের প্রশংসায় তিনি পঞ্চমুখ। একবার নয়, বারবার তিনি ফিরে আসতে চান তাঁকে মুগ্ধ করা বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে।
অবশ্য একই দিনে প্রকাশিত আরেকটি খবর আমাদের মনে কিছুটা আশঙ্কারও জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশে জনগণ বিভিন্ন সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে বলে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)। সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি সভার শুনানিতে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশ করে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে। ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো কোনো প্রতিনিধি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, সেসব দেশের ক্রেতারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশের অধিবাসী হিসেবে আমরাও চাই, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হোক। সাধারণ মানুষ কোনোভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার না হোক। পাশাপাশি আমরা এটাও চাই, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে গতি সঞ্চারিত হয়েছে, সেটি যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ উন্নয়নের গতি বাধাপ্রাপ্ত বা ব্যাহত হলে চূড়ান্তভাবে তাতে জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ড্যান ডাব্লিউ মজিনাকে তাঁর সুন্দর আশাবাদের জন্য ধন্যবাদ। পাশাপাশি সরকারগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা অন্য যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিকার করার ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের মানুষের ওপরই আস্থা রাখতে চাই। বিগত সরকারগুলোর অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা বরাবরই সোচ্চার ছিল, আছে এবং থাকবে। নিকট অতীতে সরকারগুলোকে যেভাবে 'না' বলা হয়েছে, সেটিই তার প্রধান সাক্ষী। আমাদের রপ্তানি কিংবা উন্নয়নের গতি ব্যাহত হয় এমন কোনো আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা আমাদের কাম্য নয়।
No comments