শিশুরা পার্থিব জীবনের শোভা by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ দেশের অধিকাংশ মানুষ গরিব ও অশিক্ষিত। বেঁচে থাকার জন্য তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলেছে। জীবন-সংগ্রামের মিছিলে রয়েছে দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের বিশাল একটি অংশ। এই অংশটি একটু বয়স হলেই পেটের তাগিদে কিংবা বাবা-মার ইচ্ছায় বেছে নেয় সংগ্রামী কর্মজীবন।
ঝুঁকে পড়ে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে, যা শিশুর স্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ইসলাম শিশুশ্রমকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না। ইসলামে দয়া-মায়া ও ভালোবাসা দিয়ে শিশুদের লালন-পালন করার কথা বলা হয়েছে। ইসলামের এই শিক্ষা ও নীতিমালা অত্যন্ত গুরুত্ববহ। সন্তানাদি আল্লাহর নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম। এ জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনপূর্বক তাদের যথাযথভাবে বড় করে তোলা ও শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা প্রত্যেক মা-বাবার অন্যতম দায়িত্ব। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, 'ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি বা শিশুরা পার্থিব জীবনের শোভা এবং স্থায়ী সৎকর্ম তোমার প্রতিপালকের কাছে পুরস্কারপ্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং বাঞ্ছিত হিসেবেও উৎকৃষ্ট।' -সূরা কাহাফ :৪৬
প্রত্যেক শিশুরই রয়েছে দুনিয়াতে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার; শিক্ষার অধিকার। কবি বলেন, 'ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।' এই শিশুরাই আগামী পৃথিবীর কর্ণধার। অথচ ছোটবেলা থেকেই অনেক শিশু তার প্রাপ্য বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকে শিশুশ্রম নামক সর্বনাশা সিডরের কবলে পড়ে। এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে শিশুশ্রম বন্ধ করা কীভাবে সম্ভব? সহজ উত্তর_ সম্ভব নয়। কারণ এই শিশুরা যদি শ্রম বিক্রি বন্ধ করে দেয়, তবে তাদের দু'বেলা দু'মুঠো খাবারের দায়িত্ব কে নেবে? তারপরও শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সমর্থনের প্রশ্ন ওঠে না।
বাংলাদেশে শিশুশ্রম আইনত নিষিদ্ধ। তবে বাস্তবতা হলো, দিন দিন শিশুশ্রম বাড়ছে। কারণ দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তারা বাধ্য হয়েই জীবিকার তাগিদে নিজেদের বিভিন্ন শ্রমে নিযুক্ত করে থাকে। কিন্তু একটু সচেতন হলে ধীরে ধীরে শিশুশ্রমের হার কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে আমাদের সামনে আনতে হবে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) বাণী। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ছোটকে স্নেহ-মমতা করে না এবং বড়কে শ্রদ্ধা করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।' -বুখারি ও তিরমিজি
উপরোক্ত হাদিসের আলোকে স্নেহপূর্ণ হৃদয় নিয়ে শিশুদের নূ্যনতম শিক্ষাসহ নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করলে সমাজ থেকে আস্তে আস্তে শিশুশ্রম বিদায় নিতে বাধ্য। এটা হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) আদেশও বটে। শিশুদের শারীরিক নির্যাতন না করে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে নৈতিক শিক্ষাদান বিষয়ে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমরা সন্তানদের (শিশুদের) স্নেহ কর, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার কর এবং সদাচরণ ও শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।' -তিরমিজি
বাংলাদেশের শিশুশ্রমিকের অধিকাংশের বয়স আট থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। এদের বেশিরভাগ শিশুর পরিশ্রমের কোনো মূল্য নেই। অনেকে শুধু দু'বেলা থাকা-খাওয়ার সুবিধা দিয়ে শিশুর শ্রম রক্তচোষা জোঁকের মতো শুষে নিচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ মাদক পাচারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। শিশুরা কাজ করছে অফিস-আদালতসহ হোটেল-রেস্তোরাঁয়। এরাই ঝালাই কারখানা থেকে শুরু করে ঢালাই কারখানা, রি-রোলিং মিলে লোহা গলানোর কাজ, এমনকি জ্বলন্ত বয়লারের পাশে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করে থাকে। আরও কাজ করে ধাতব কারখানা, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, পল্গাস্টিক কারখানা, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, রিকশা ও গাড়ির গ্যারেজ, মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপ, বাস-ট্রাক, গার্মেন্ট, লেদ মেশিন ও হাঁড়ি-পাতিলের কারখানা এবং ছোট ছোট কুটির শিল্পে। শিশুদের বিশাল একটি অংশ কাজ করে বাজারে কুলি হিসেবে। এর বাইরেও প্রচুর শিশু দিন-রাত কাজ করে মানুষের বাসা-বাড়িতে। যাদের আমরা বলি গৃহকর্মী! কিন্তু কাজটা যে কী ভয়ঙ্কর_ পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে। এদের কাজের কোনো সময়সীমা নেই। গতরখাটা গৃহকর্মীদের কেউ বেতন পায়; কেউ শুধু পেটেভাতে কাজ করে। আর কাজে সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে শুরু হয় অত্যাচার। গরম খুন্তির ছেঁকা, বেলনা দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া ও চুল কেটে নেওয়া থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করা হয় তাদের সঙ্গে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, শিশুশ্রম মানব সভ্যতার জন্য একটি কলঙ্ক ও অভিশাপ।
আমাদের এই অভিশাপ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেরিয়ে আসতে হবে। অমানবিক শিশুশ্রম যত দ্রুত বন্ধ হবে, ততই সামাজিক সমস্যা দূরীকরণ সম্ভব হবে। কেননা, এই শিশুরাই অযত্ন-অবহেলায় পতিত হয়ে সস্তা শ্রমের বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বিগত সরকারগুলো বিভিন্ন সময়ে শিশুশ্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিলেও তা হয়নি। তাই দরকার এমন এক আইন, যে আইন হবে সামগ্রিকভাবে শিশুদের রক্ষাকবচ। আর সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সরকারসহ সমাজ-সচেতন প্রত্যেক নাগরিককে।
বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রম বন্ধের লক্ষ্যে আগামী ১২ জুন মঙ্গলবার পালিত হবে 'বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস।' আমরা আশা করি, শিশুশ্রম কমানোর ক্ষেত্রে বাস্তবভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি শিশুদের গভীর মমত্ববোধ নিয়ে সমাজের কল্যাণে গড়ে তুলতে হবে। আল্লাহতায়ালা নানাভাবে শিশুদের কল্যাণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। কেননা, শিশুরা শুধু মা-বাবার চোখের মণি নয়, বরং আল্লাহতায়ালারও প্রিয় সৃষ্টি_ বেহেশতের ফুল। ইসলাম শিশুদের ব্যাপারে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাষায় কল্যাণ ও সাফল্যের পথনির্দেশ প্রদান করেছে। যার অনুশীলন ও বাস্তবায়ন করে পৃথিবীকে সুশোভিত পুষ্পোদ্যানে পরিণত করা সম্ভব।
muftianaet@gmail.com
ইসলাম শিশুশ্রমকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না। ইসলামে দয়া-মায়া ও ভালোবাসা দিয়ে শিশুদের লালন-পালন করার কথা বলা হয়েছে। ইসলামের এই শিক্ষা ও নীতিমালা অত্যন্ত গুরুত্ববহ। সন্তানাদি আল্লাহর নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম। এ জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনপূর্বক তাদের যথাযথভাবে বড় করে তোলা ও শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা প্রত্যেক মা-বাবার অন্যতম দায়িত্ব। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, 'ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি বা শিশুরা পার্থিব জীবনের শোভা এবং স্থায়ী সৎকর্ম তোমার প্রতিপালকের কাছে পুরস্কারপ্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং বাঞ্ছিত হিসেবেও উৎকৃষ্ট।' -সূরা কাহাফ :৪৬
প্রত্যেক শিশুরই রয়েছে দুনিয়াতে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার; শিক্ষার অধিকার। কবি বলেন, 'ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।' এই শিশুরাই আগামী পৃথিবীর কর্ণধার। অথচ ছোটবেলা থেকেই অনেক শিশু তার প্রাপ্য বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকে শিশুশ্রম নামক সর্বনাশা সিডরের কবলে পড়ে। এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে শিশুশ্রম বন্ধ করা কীভাবে সম্ভব? সহজ উত্তর_ সম্ভব নয়। কারণ এই শিশুরা যদি শ্রম বিক্রি বন্ধ করে দেয়, তবে তাদের দু'বেলা দু'মুঠো খাবারের দায়িত্ব কে নেবে? তারপরও শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সমর্থনের প্রশ্ন ওঠে না।
বাংলাদেশে শিশুশ্রম আইনত নিষিদ্ধ। তবে বাস্তবতা হলো, দিন দিন শিশুশ্রম বাড়ছে। কারণ দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তারা বাধ্য হয়েই জীবিকার তাগিদে নিজেদের বিভিন্ন শ্রমে নিযুক্ত করে থাকে। কিন্তু একটু সচেতন হলে ধীরে ধীরে শিশুশ্রমের হার কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে আমাদের সামনে আনতে হবে হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) বাণী। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ছোটকে স্নেহ-মমতা করে না এবং বড়কে শ্রদ্ধা করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।' -বুখারি ও তিরমিজি
উপরোক্ত হাদিসের আলোকে স্নেহপূর্ণ হৃদয় নিয়ে শিশুদের নূ্যনতম শিক্ষাসহ নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করলে সমাজ থেকে আস্তে আস্তে শিশুশ্রম বিদায় নিতে বাধ্য। এটা হজরত রাসূলুল্লাহর (সা.) আদেশও বটে। শিশুদের শারীরিক নির্যাতন না করে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে নৈতিক শিক্ষাদান বিষয়ে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমরা সন্তানদের (শিশুদের) স্নেহ কর, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার কর এবং সদাচরণ ও শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।' -তিরমিজি
বাংলাদেশের শিশুশ্রমিকের অধিকাংশের বয়স আট থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। এদের বেশিরভাগ শিশুর পরিশ্রমের কোনো মূল্য নেই। অনেকে শুধু দু'বেলা থাকা-খাওয়ার সুবিধা দিয়ে শিশুর শ্রম রক্তচোষা জোঁকের মতো শুষে নিচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ মাদক পাচারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। শিশুরা কাজ করছে অফিস-আদালতসহ হোটেল-রেস্তোরাঁয়। এরাই ঝালাই কারখানা থেকে শুরু করে ঢালাই কারখানা, রি-রোলিং মিলে লোহা গলানোর কাজ, এমনকি জ্বলন্ত বয়লারের পাশে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করে থাকে। আরও কাজ করে ধাতব কারখানা, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, পল্গাস্টিক কারখানা, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, রিকশা ও গাড়ির গ্যারেজ, মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপ, বাস-ট্রাক, গার্মেন্ট, লেদ মেশিন ও হাঁড়ি-পাতিলের কারখানা এবং ছোট ছোট কুটির শিল্পে। শিশুদের বিশাল একটি অংশ কাজ করে বাজারে কুলি হিসেবে। এর বাইরেও প্রচুর শিশু দিন-রাত কাজ করে মানুষের বাসা-বাড়িতে। যাদের আমরা বলি গৃহকর্মী! কিন্তু কাজটা যে কী ভয়ঙ্কর_ পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে। এদের কাজের কোনো সময়সীমা নেই। গতরখাটা গৃহকর্মীদের কেউ বেতন পায়; কেউ শুধু পেটেভাতে কাজ করে। আর কাজে সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে শুরু হয় অত্যাচার। গরম খুন্তির ছেঁকা, বেলনা দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া ও চুল কেটে নেওয়া থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করা হয় তাদের সঙ্গে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, শিশুশ্রম মানব সভ্যতার জন্য একটি কলঙ্ক ও অভিশাপ।
আমাদের এই অভিশাপ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেরিয়ে আসতে হবে। অমানবিক শিশুশ্রম যত দ্রুত বন্ধ হবে, ততই সামাজিক সমস্যা দূরীকরণ সম্ভব হবে। কেননা, এই শিশুরাই অযত্ন-অবহেলায় পতিত হয়ে সস্তা শ্রমের বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। বিগত সরকারগুলো বিভিন্ন সময়ে শিশুশ্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিলেও তা হয়নি। তাই দরকার এমন এক আইন, যে আইন হবে সামগ্রিকভাবে শিশুদের রক্ষাকবচ। আর সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সরকারসহ সমাজ-সচেতন প্রত্যেক নাগরিককে।
বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রম বন্ধের লক্ষ্যে আগামী ১২ জুন মঙ্গলবার পালিত হবে 'বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস।' আমরা আশা করি, শিশুশ্রম কমানোর ক্ষেত্রে বাস্তবভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি শিশুদের গভীর মমত্ববোধ নিয়ে সমাজের কল্যাণে গড়ে তুলতে হবে। আল্লাহতায়ালা নানাভাবে শিশুদের কল্যাণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। কেননা, শিশুরা শুধু মা-বাবার চোখের মণি নয়, বরং আল্লাহতায়ালারও প্রিয় সৃষ্টি_ বেহেশতের ফুল। ইসলাম শিশুদের ব্যাপারে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাষায় কল্যাণ ও সাফল্যের পথনির্দেশ প্রদান করেছে। যার অনুশীলন ও বাস্তবায়ন করে পৃথিবীকে সুশোভিত পুষ্পোদ্যানে পরিণত করা সম্ভব।
muftianaet@gmail.com
No comments