স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি-বিচারপতির মন্তব্য সম্পর্কে রুলিং দেবেন স্পিকার
হাইকোর্টের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, সে বিষয়ে আগামী রোববার সংসদে রুলিং দেবেন স্পিকার। সংসদ সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অধিবেশন শেষে মহাজোটের জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা এ নিয়ে স্পিকার আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অধিবেশন শেষে মহাজোটের জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা এ নিয়ে স্পিকার আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংসদ প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি বিচার বিভাগকে নিয়ে নয়, একজন বিচারপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। সে জন্যই স্পিকার রোববার এ বিষয়ে রুলিং দেবেন।
এদিকে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ও আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ গতকাল জাতীয় সংসদে স্পিকার আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সংসদ অধিবেশন চলাকালে মাগরিবের নামাজের বিরতির সময় তাঁরা স্পিকারের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন।
স্পিকার আবদুল হামিদ সম্পর্কে আদালতে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর মন্তব্য এবং এ বিষয়ে সাংসদদের ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে এ বৈঠক হলো।
স্পিকার আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমন্ত্রণ পেয়ে প্রধান বিচারপতি বাজেট অধিবেশনে এসেছিলেন। এ সময় আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে সস্ত্রীক এসেছেন। সঙ্গে আইনমন্ত্রী ছিলেন।’ শামসুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য এবং সাংসদদের ক্ষোভ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
বিকেলে নামাজের আগে প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন অধিবেশনকক্ষে স্ত্রীসহ নির্ধারিত আসনে বসেন। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বসেন তাঁর আসনে। নামাজের বিরতির সময় তাঁরা স্পিকারের কক্ষে যান। বৈঠক শেষে নামাজের বিরতির জন্য নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট পর স্পিকার অধিবেশনকক্ষে প্রবেশ করেন। এই বিলম্বের জন্য স্পিকার সংসদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, স্পিকার আবদুল হামিদ উদ্ভূত বিষয়ে রুলিং দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু মহাজোটের জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য স্পিকারের ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য গতকাল রাত আটটায় সংসদের অধিবেশন শেষে জ্যেষ্ঠ সাংসদ তোফায়েল আহমেদ, আবদুল মতিন খসরু, রাশেদ খান মেনন, মুজিবুল হক ও মঈন উদ্দীন খান বাদল স্পিকারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠকে করেন।
জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা গত বুধবার সংসদে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর দাবি জানান।
সুপ্রিম কোর্টের জমি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে স্পিকার আবদুল হামিদ গত ২৯ মে একটি বক্তব্য দেন। তিনি সংসদে বলেছিলেন, দেশের মানুষের বিচারের ক্ষেত্রে বছরের পর বছর লেগে যাবে আর নিজেদের বিষয় বলে বিচার বিভাগ ঝটপট সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন, এটি ভালো দেখায় না। আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ হলে জনগণ বিচার বিভাগের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে পারে।
এরপর ৫ জুন হাইকোর্টে এ-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে স্পিকারের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। একই দিন সন্ধ্যায় এ নিয়ে সংসদে উত্তাপ ছড়ায়। ক্ষমতাসীন মহাজোটের জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা তিন দিনের মধ্যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণের দাবি জানান।
এদিকে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ও আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ গতকাল জাতীয় সংসদে স্পিকার আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সংসদ অধিবেশন চলাকালে মাগরিবের নামাজের বিরতির সময় তাঁরা স্পিকারের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন।
স্পিকার আবদুল হামিদ সম্পর্কে আদালতে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর মন্তব্য এবং এ বিষয়ে সাংসদদের ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে এ বৈঠক হলো।
স্পিকার আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমন্ত্রণ পেয়ে প্রধান বিচারপতি বাজেট অধিবেশনে এসেছিলেন। এ সময় আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে সস্ত্রীক এসেছেন। সঙ্গে আইনমন্ত্রী ছিলেন।’ শামসুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য এবং সাংসদদের ক্ষোভ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
বিকেলে নামাজের আগে প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন অধিবেশনকক্ষে স্ত্রীসহ নির্ধারিত আসনে বসেন। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বসেন তাঁর আসনে। নামাজের বিরতির সময় তাঁরা স্পিকারের কক্ষে যান। বৈঠক শেষে নামাজের বিরতির জন্য নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট পর স্পিকার অধিবেশনকক্ষে প্রবেশ করেন। এই বিলম্বের জন্য স্পিকার সংসদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, স্পিকার আবদুল হামিদ উদ্ভূত বিষয়ে রুলিং দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু মহাজোটের জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য স্পিকারের ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য গতকাল রাত আটটায় সংসদের অধিবেশন শেষে জ্যেষ্ঠ সাংসদ তোফায়েল আহমেদ, আবদুল মতিন খসরু, রাশেদ খান মেনন, মুজিবুল হক ও মঈন উদ্দীন খান বাদল স্পিকারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠকে করেন।
জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা গত বুধবার সংসদে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর দাবি জানান।
সুপ্রিম কোর্টের জমি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে স্পিকার আবদুল হামিদ গত ২৯ মে একটি বক্তব্য দেন। তিনি সংসদে বলেছিলেন, দেশের মানুষের বিচারের ক্ষেত্রে বছরের পর বছর লেগে যাবে আর নিজেদের বিষয় বলে বিচার বিভাগ ঝটপট সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন, এটি ভালো দেখায় না। আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ হলে জনগণ বিচার বিভাগের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে পারে।
এরপর ৫ জুন হাইকোর্টে এ-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে স্পিকারের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। একই দিন সন্ধ্যায় এ নিয়ে সংসদে উত্তাপ ছড়ায়। ক্ষমতাসীন মহাজোটের জ্যেষ্ঠ সাংসদেরা তিন দিনের মধ্যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণের দাবি জানান।
No comments