নিয়মনীতি কঠোরভাবে অনুসরণই কাম্য-শেয়ারবাজারে ঝুঁকি বাড়ছে
দেশের শেয়ারবাজার যেভাবে ফুলে-ফেঁপে উঠছে, তাতে করে ঝুঁকির মাত্রাও অনেক বেড়ে গেছে। আর ফুলে-ফেঁপে ওঠার অন্যতম কারণ হলো অতিমুনাফার প্রলোভন। বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বড় বিনিয়োগ ও স্ফীত মুনাফা অন্যদের এমন ধারণাই দিচ্ছে যে শেয়ারবাজারে টাকা খাটালেই তা দ্বিগুণ বা ত্রিগুণ হয়ে ফেরত আসবে।
আর তাই ঝুঁকির মাত্রা যথাযথভাবে বিবেচনা না করে অনেকেই বিনিয়োগ করে ফেলছেন। জড়িয়ে পড়ছেন ফাটকা খেলায়। শেয়ারবাজারের বৈশিষ্ট্যগত কারণেই এখানে ফাটকাবাজি হয়ে থাকে। তবে তারও সীমা টানতে হয়। না হলে তা বাজারকে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। বাংলাদেশেও এখন ঝুঁকির জায়গাটা বেড়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আগ্রাসীভাবে বিনিয়োগ করে এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বস্তুত প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকেই জানা গেছে, দেশের বেশ কয়েকটি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের আইনি সীমা লঙ্ঘন করে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে। ফলে পুঁজিবাজারে তাদের সংশ্লিষ্টতা অনেক বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব প্রতিষ্ঠানকে ডিসেম্বরের মধ্যে বিনিয়োগ কমিয়ে নির্ধারিত সীমার মধ্যে নিয়ে আসার নির্দেশনা দিয়েছে। বর্তমান বাজার-পরিস্থিতিতে এটি একটি সঠিক পদক্ষেপ। তা না করে আরও বাড়তে দেওয়া হলে একপর্যায়ে গিয়ে বাজারের স্ফীতি আর টেকসই হবে না। তখন অনিবার্যভাবেই বাজারের পতন ঘটবে। বলা যায়, যে বুদ্বুদ তৈরি হয়েছে, তা ফেটে যাবে। এটাই শেয়ারবাজারের নিয়ম। দুনিয়াজুড়ে শেয়ারবাজারে এটাই হয়। বাজার যত বাড়ে, ঠিক ততটাই পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে—এই কঠিন সত্যটি বিবেচনায় না নিলে বিনিয়োগ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এহেন ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ ও তা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা বাজারের বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দিয়েছে। আর তা হলো, নিয়মনীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করাটা জরুরি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একদিকে যেমন নিজেরা বিনিয়োগ করে, অন্যদিকে গ্রাহকদের বিনিয়োগের জন্য অর্থায়ন করে। সর্বোপরি তারা আবার তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাজারে রয়েছে। ফলে বাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। তারা মানুষের আমানতের অর্থ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন উৎপাদনশীল খাতে অর্থায়ন করে। কাজেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান যখন নিয়মনীতি লঙ্ঘন করবে, তখন অন্যরাও একই কাজে উৎসাহিত হবে। এটা কোনো সুস্থ ও পরিণত বাজারের জন্য কাম্য নয়। বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোরও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষ করে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সময় সময় এসইসি বাজার-বিষয়ে সঠিক নীতি-পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে, যা পুঁজিবাজারকে অস্থিরই করেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতার দায়ভার সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরই বহন করতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগকারীদেরও দায়িত্ব আছে। তাঁদের সচেতন ও সতর্ক হতে হবে।
বস্তুত প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকেই জানা গেছে, দেশের বেশ কয়েকটি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের আইনি সীমা লঙ্ঘন করে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে। ফলে পুঁজিবাজারে তাদের সংশ্লিষ্টতা অনেক বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব প্রতিষ্ঠানকে ডিসেম্বরের মধ্যে বিনিয়োগ কমিয়ে নির্ধারিত সীমার মধ্যে নিয়ে আসার নির্দেশনা দিয়েছে। বর্তমান বাজার-পরিস্থিতিতে এটি একটি সঠিক পদক্ষেপ। তা না করে আরও বাড়তে দেওয়া হলে একপর্যায়ে গিয়ে বাজারের স্ফীতি আর টেকসই হবে না। তখন অনিবার্যভাবেই বাজারের পতন ঘটবে। বলা যায়, যে বুদ্বুদ তৈরি হয়েছে, তা ফেটে যাবে। এটাই শেয়ারবাজারের নিয়ম। দুনিয়াজুড়ে শেয়ারবাজারে এটাই হয়। বাজার যত বাড়ে, ঠিক ততটাই পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে—এই কঠিন সত্যটি বিবেচনায় না নিলে বিনিয়োগ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এহেন ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ ও তা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা বাজারের বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দিয়েছে। আর তা হলো, নিয়মনীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করাটা জরুরি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একদিকে যেমন নিজেরা বিনিয়োগ করে, অন্যদিকে গ্রাহকদের বিনিয়োগের জন্য অর্থায়ন করে। সর্বোপরি তারা আবার তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাজারে রয়েছে। ফলে বাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। তারা মানুষের আমানতের অর্থ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন উৎপাদনশীল খাতে অর্থায়ন করে। কাজেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান যখন নিয়মনীতি লঙ্ঘন করবে, তখন অন্যরাও একই কাজে উৎসাহিত হবে। এটা কোনো সুস্থ ও পরিণত বাজারের জন্য কাম্য নয়। বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোরও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষ করে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সময় সময় এসইসি বাজার-বিষয়ে সঠিক নীতি-পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে, যা পুঁজিবাজারকে অস্থিরই করেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতার দায়ভার সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরই বহন করতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগকারীদেরও দায়িত্ব আছে। তাঁদের সচেতন ও সতর্ক হতে হবে।
No comments