দখলমুক্ত রাখতে হবে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ-সদরঘাট-গাবতলী ওয়াটার বাস
গাবতলী থেকে সদরঘাট পর্যন্ত যে ওয়াটার বাস চালু হয়েছে, তা রাজধানীর দুঃসহ যানজট নিরসনে সহায়ক হবে কি না, সেটি নির্ভর করছে এর সেবার মানের ওপর। যদি নির্ধারিত সময়ে এবং নির্বিঘ্নে ওয়াটার বাস যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, তাহলে এটি বন্ধ হওয়ার কারণ নেই।
প্রাথমিক পর্যায়ে শনিবার বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নামে দুটি ওয়াটার বাস নামানো হয়েছে। ৪০ আসনের এ দুটি বাসে প্রতিবার ৮০ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বাসগুলো চলবে। সদরঘাট-সোয়ারীঘাট, সোনামুড়া-গাবতলী রুটে এসব ওয়াটার বাসে গাবতলী থেকে সদরঘাট যেতে সময় লাগবে ৫০ মিনিট। এ দূরত্বে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা।
সড়কপথে গাবতলী থেকে সদরঘাট যেতে কখনো কয়েক ঘণ্টা লেগে যায় যানজটের কারণে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প পরিবহনটির প্রতি যাত্রীসাধারণের আগ্রহ থাকারই কথা। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ সেই আগ্রহ ধরে রাখতে পারবে কি না, সেটাই প্রশ্ন। এর আগে চারদলীয় জোট সরকারের আমলেও একবার সদরঘাট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত নৌযান চালু করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, উদ্যোগটি সফল হলে টঙ্গী-কাঁচপুর রুটেও নৌযান চালু করা হবে। কিন্তু কয়েক মাস না যেতেই সেই সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। এবারও যাতে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
যানজট থেকে মুক্তি পেতে ওয়াটার বাস একটি ব্যবস্থা, কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে হলে রাজধানীর পরিবহন-ব্যবস্থায় ঘটাতে হবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সম্প্রতি উড়াল সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এর বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। যত দিন উড়াল সেতু বা ভূতল রেল চালু না হচ্ছে, তত দিন বিকল্প ব্যবস্থার বিকল্প নেই। তবে সে জন্য যে কাজটি করতে হবে তা হলো, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীকে দখলমুক্ত রাখা। নদীর পাশের বেড়িবাঁধটিও সংস্কার করতে হবে, যাতে ঘাট বা টার্মিনাল থেকে নেমে যাত্রীরা অনায়াসে শহরে যেতে পারে। এ ছাড়া নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ পরিচ্ছন্ন ও জঞ্জালমুক্ত রাখতে পারলে এর নৌযানগুলো কেবল যাত্রী নয়, পর্যটকদেরও আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।
সড়কপথে গাবতলী থেকে সদরঘাট যেতে কখনো কয়েক ঘণ্টা লেগে যায় যানজটের কারণে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প পরিবহনটির প্রতি যাত্রীসাধারণের আগ্রহ থাকারই কথা। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ সেই আগ্রহ ধরে রাখতে পারবে কি না, সেটাই প্রশ্ন। এর আগে চারদলীয় জোট সরকারের আমলেও একবার সদরঘাট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত নৌযান চালু করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, উদ্যোগটি সফল হলে টঙ্গী-কাঁচপুর রুটেও নৌযান চালু করা হবে। কিন্তু কয়েক মাস না যেতেই সেই সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। এবারও যাতে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
যানজট থেকে মুক্তি পেতে ওয়াটার বাস একটি ব্যবস্থা, কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে হলে রাজধানীর পরিবহন-ব্যবস্থায় ঘটাতে হবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সম্প্রতি উড়াল সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এর বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। যত দিন উড়াল সেতু বা ভূতল রেল চালু না হচ্ছে, তত দিন বিকল্প ব্যবস্থার বিকল্প নেই। তবে সে জন্য যে কাজটি করতে হবে তা হলো, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীকে দখলমুক্ত রাখা। নদীর পাশের বেড়িবাঁধটিও সংস্কার করতে হবে, যাতে ঘাট বা টার্মিনাল থেকে নেমে যাত্রীরা অনায়াসে শহরে যেতে পারে। এ ছাড়া নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ পরিচ্ছন্ন ও জঞ্জালমুক্ত রাখতে পারলে এর নৌযানগুলো কেবল যাত্রী নয়, পর্যটকদেরও আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।
No comments