যা নিয়ে আছি-কোরআন শরিফের বাংলা তরজমা

আসফ্উদ্দৌলা, সাবেক সচিব। গানের মানুষ হলেও, খেলাধুলা ও লেখালেখিতেও সক্রিয়। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা পাঁচ। সংগীতের অ্যালবাম ১২টি। পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করার পাশাপাশি তিনি টক শোতেও অংশগ্রহণ করেন নিয়মিতঅনেক রাত পর্যন্ত লেখালেখি


এই মুহূর্তে আমি কোরআন শরিফের বাংলা তরজমার কাজ করছি। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কাজ শেষ করেছি। পড়ছি নোয়াম চমস্কির একটা বই। আমি একটানা কোনো বই পড়ি না। একসঙ্গে অনেকগুলো বই পড়ি। যত ভালো বই হোক, টানা না পড়ে পরিবর্তন করে পড়তেই ভালো লাগে। আমার প্রিয় কবি আহমাদ ফারাজ। এছাড়া আল গাজ্জালি, রুমি ও মির্জা গালিবের বই বেশি পড়ি। প্রিয় বই শেক্সপিয়ারের ওথেলো। অনেক রাত পর্যন্ত লেখালেখি করি। কোরআন শরিফের অনুবাদের কাজটা করি মধ্যরাতের পর।

গানের মানুষ
আমি তো মূলত গানের মানুষ। গানের সঙ্গে প্রায় সব সময় থাকি। কাজের সময় গান আমার ক্লান্তি দূর করে। সাধারণত পুরোনো দিনের ক্লাসিক্যাল গান বেশি শুনি। ওস্তাদ আলী আকবর খান, গোলাম আলী খান, ওস্তাদ আমীর আলী খান, সুলতান খান, জাকির খান আমার প্রিয় শিল্পী। গোলাম আলী খানের চারুকেশী রাগের এবং সালামত আলী খানের খেয়াল বেশি শুনি।

ভিয়েনা আর চিম্বুক পাহাড়
আমি ঘরকুনো মানুষ। কোনো কাজ ছাড়া ঘুরতে চাই না। চাকরিসূত্রে দেশে-বিদেশের অনেক জায়গায় গিয়েছি। রাশিয়া ছাড়া আমি গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব জায়গায় গিয়েছি। প্রিয় জায়গা অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। দেশে চিম্বুক পাহাড় ও কুয়াকাটা আমার বেশি ভালো লেগেছে। অন্যান্য জায়গাও ভালো, তবে দুর্নিবারভাবে কখনো টানেনি।

আড্ডায় ‘না’
আড্ডা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও দিতে পারি না। আড্ডা দিলে কাজ করব কখন? বন্ধুদের সঙ্গে পারতপক্ষে আড্ডা দিই না, এতে সময় অপচয় হয়, সময় পেলে ভাইদের সঙ্গে আড্ডা দিই। আড্ডার সময়টা লেখাপড়া বা খেলাধুলা করে কাটাই।

অবসর নেই
অবসর নিতে চাই না, তাই অবসরও পাই না। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরও আমি অনেক কাজ করেছি। সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। এখন আর কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নই। পুরোটা সময় এখন সংগীতের পেছনে দিতে চাই। এখন মিতালী মুখার্জির একটা অ্যালবামের কাজ করছি। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে এটি বেরোবে।

চলচ্চিত্র দেখি না অনেক দিন
অনেক দিন চলচ্চিত্র দেখি না। সর্বশেষ দেখেছি ১৯৭০ সালের মুকুল প্রেক্ষাগৃহে। পরিবেশের কারণেই মূলত যেতে পারি না। টিভিতে যেসব সিনেমা হয়, ছোট পর্দার কারণে দেখতে ভালো লাগে না।

মা-বাবার সঙ্গে মিলন
ইহজাগতিক কোনো স্বপ্ন বা প্রত্যাশা আমার নেই। একটাই স্বপ্ন, মৃত্যুর পর আমার আত্মার মিলন যেন মা-বাবার সঙ্গে হয়।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে: আহমেদ হোসেন

No comments

Powered by Blogger.