আদিবাসীদের শঙ্কা আমলে নিতে হবে-পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি
বেশ কিছুদিন আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠিত হলেও কাজ শুরু করতে পারেনি নানা জটিলতার কারণে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের বক্তব্য ছিল, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির আগে জরিপ হলে দখল হয়ে যাওয়া জমির ওপর আদিবাসীরা চিরতরে অধিকার হারাবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ভারত-প্রত্যাগত ও অভ্যন্তরীণ শরণার্থীদের পুনর্বাসনের কথা ছিল।
কিন্তু অধিকাংশ আদিবাসী হারানো সম্পত্তি ফিরে পায়নি। তাদের জমিজমা এখনো বাঙালিদের দখলে রয়েছে।
অনেক দেনদরবারের পর সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে পুরোনো আইনে বন্দোবস্ত, বিরোধ নিষ্পত্তি, পুনর্বাসিত শরণার্থী, দখল-বেদখল ও আবেদনের পদ্ধতির ক্ষেত্রে যেসব অসংগতি রয়েছে, তা দূর করা হয়েছে। এটি ইতিবাচক বলেই আমাদের ধারণা। তবে সরকারের এই পদক্ষেপ পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিবিরোধের অবসান ঘটাতে পারবে কি না, সেটি নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সদিচ্ছার ওপর। এ ক্ষেত্রে ভূমি কমিশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মধ্যে আস্থার মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। উভয় পক্ষ সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এলে সমস্যার সমাধান কঠিন হবে না।
এর পাশাপাশি সরকার বিরোধহীন ভূমি জরিপের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতেও কোনো সমস্যা দেখি না। এর প্রতি আদিবাসীদের যেমন সমর্থন জানানো উচিত, তেমনি প্রশাসনেরও কর্তব্য হবে তাদের শঙ্কা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। মনে রাখা প্রয়োজন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার মূল কারণ ভূমির ওপর আদিবাসীদের অধিকার হারানোর আশঙ্কা। এরই মধ্যে তাদের অনেক জমি দখল হয়ে গেছে। সেই সব সম্পত্তি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তাদের শঙ্কা কাটবে না। নিজ দেশে তারা পরবাসী হয়ে থাকবে, সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। ধর্ম-গোত্রনির্বিশেষে দেশটি সবার। পাহাড়ে আবার যাতে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সে জন্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির পাশাপাশি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নও জরুরি।
অনেক দেনদরবারের পর সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে পুরোনো আইনে বন্দোবস্ত, বিরোধ নিষ্পত্তি, পুনর্বাসিত শরণার্থী, দখল-বেদখল ও আবেদনের পদ্ধতির ক্ষেত্রে যেসব অসংগতি রয়েছে, তা দূর করা হয়েছে। এটি ইতিবাচক বলেই আমাদের ধারণা। তবে সরকারের এই পদক্ষেপ পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিবিরোধের অবসান ঘটাতে পারবে কি না, সেটি নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সদিচ্ছার ওপর। এ ক্ষেত্রে ভূমি কমিশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মধ্যে আস্থার মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। উভয় পক্ষ সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে এলে সমস্যার সমাধান কঠিন হবে না।
এর পাশাপাশি সরকার বিরোধহীন ভূমি জরিপের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতেও কোনো সমস্যা দেখি না। এর প্রতি আদিবাসীদের যেমন সমর্থন জানানো উচিত, তেমনি প্রশাসনেরও কর্তব্য হবে তাদের শঙ্কা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। মনে রাখা প্রয়োজন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার মূল কারণ ভূমির ওপর আদিবাসীদের অধিকার হারানোর আশঙ্কা। এরই মধ্যে তাদের অনেক জমি দখল হয়ে গেছে। সেই সব সম্পত্তি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তাদের শঙ্কা কাটবে না। নিজ দেশে তারা পরবাসী হয়ে থাকবে, সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। ধর্ম-গোত্রনির্বিশেষে দেশটি সবার। পাহাড়ে আবার যাতে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সে জন্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তির পাশাপাশি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নও জরুরি।
No comments