অনির্বাচিত প্রশাসক দিয়ে দীর্ঘদিন চালানো উচিত নয় জেলা পরিষদের নির্বাচন কবে হবে?
শক্তিশালী, স্বাধীন ও জনমুখী স্থানীয় সরকারব্যবস্থার জন্য সব পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু জেলা পরিষদ পর্যায়ে কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে দেশের অবশিষ্ট ৬১টি জেলা পরিষদে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করেছে। এই প্রশাসকদের সঙ্গে জনসাধারণের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা হয়েছে—প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সরকারদলীয় লোকজনকে। কেউ কেউ বলছেন, জেলা পরিষদে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া সংবিধানসম্মত নয়।
এমন অবস্থায় খবর বেরোল, জেলা পরিষদের প্রশাসকদের মাসিক ৪০ হাজার টাকা সম্মানী, পাঁচ হাজার টাকা আপ্যায়ন ভাতা ও উন্নয়নকাজে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করার ক্ষমতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ছয় মাসের মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাচন করা হবে। তাহলে এখন অনির্বাচিত প্রশাসকদের এই আর্থিক ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি এই ইঙ্গিত বহন করে যে প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে না? এটি একটি গুরুতর প্রশ্ন। কারণ, জেলা পরিষদের প্রশাসকদের যেসব কাজের জন্য অর্থ ব্যয় করার ক্ষমতা দেওয়ার কথা জেলা পরিষদ আইনে বলা আছে, সেগুলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
তা ছাড়া বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, অর্থ ব্যয়ের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। অনির্বাচিত প্রশাসকদের আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার নতুন প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে প্রশাসকেরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই অর্থ ব্যয় করতে পারবেন। অর্থাৎ, এটাকে বলা যেতে পারে জেলা প্রশাসনের মধ্য দিয়ে সরকারদলীয় কিছু অনির্বাচিত ব্যক্তিকে মাথাপিছু পাঁচ লাখ টাকা করে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা। এই পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এর পেছনে কোনো ভালো যুক্তি নেই।
যুক্তিপূর্ণ পদক্ষেপ হবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে জেলা পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া। এটাই জনগণের টাকার সদ্ব্যবহারে জেলা পরিষদের এখতিয়ারভুক্ত ক্রিয়াকর্মের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আইনসম্মত ও কাঙ্ক্ষিত উপায়। স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রথম আলোর রোববারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে তাঁরা কোনো নির্দেশনা পাননি। এর অর্থ কি এই, নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনাই করা হচ্ছে না? সরকার যদি ভেবে থাকে, অনির্বাচিত প্রশাসকদের দিয়েই দীর্ঘ সময় জেলা পরিষদ চালাবে, তবে তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এর কোনো রাজনৈতিক সুফলও সরকারি দলের ঘরে উঠবে না। কারণ, এটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
এমন অবস্থায় খবর বেরোল, জেলা পরিষদের প্রশাসকদের মাসিক ৪০ হাজার টাকা সম্মানী, পাঁচ হাজার টাকা আপ্যায়ন ভাতা ও উন্নয়নকাজে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করার ক্ষমতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ছয় মাসের মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাচন করা হবে। তাহলে এখন অনির্বাচিত প্রশাসকদের এই আর্থিক ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি এই ইঙ্গিত বহন করে যে প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে না? এটি একটি গুরুতর প্রশ্ন। কারণ, জেলা পরিষদের প্রশাসকদের যেসব কাজের জন্য অর্থ ব্যয় করার ক্ষমতা দেওয়ার কথা জেলা পরিষদ আইনে বলা আছে, সেগুলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
তা ছাড়া বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, অর্থ ব্যয়ের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। অনির্বাচিত প্রশাসকদের আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার নতুন প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে প্রশাসকেরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই অর্থ ব্যয় করতে পারবেন। অর্থাৎ, এটাকে বলা যেতে পারে জেলা প্রশাসনের মধ্য দিয়ে সরকারদলীয় কিছু অনির্বাচিত ব্যক্তিকে মাথাপিছু পাঁচ লাখ টাকা করে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা। এই পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এর পেছনে কোনো ভালো যুক্তি নেই।
যুক্তিপূর্ণ পদক্ষেপ হবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে জেলা পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া। এটাই জনগণের টাকার সদ্ব্যবহারে জেলা পরিষদের এখতিয়ারভুক্ত ক্রিয়াকর্মের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আইনসম্মত ও কাঙ্ক্ষিত উপায়। স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রথম আলোর রোববারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে তাঁরা কোনো নির্দেশনা পাননি। এর অর্থ কি এই, নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনাই করা হচ্ছে না? সরকার যদি ভেবে থাকে, অনির্বাচিত প্রশাসকদের দিয়েই দীর্ঘ সময় জেলা পরিষদ চালাবে, তবে তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এর কোনো রাজনৈতিক সুফলও সরকারি দলের ঘরে উঠবে না। কারণ, এটা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
No comments