ড্যান মজিনার উদ্বেগ
সরকারকে এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা দেশের পোশাক শিল্পে দুর্গতি আসতে পারে মর্মে সতর্ক করে দিয়েছেন। বুধবার পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত এক সভায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, পোশাক আমদানিকারক দেশগুলোতে,
বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক পোশাক ক্রেতা তাঁর কাছে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে আমেরিকায় গড়ে ওঠা নেতিবাচক ধারণা ইউরোপের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে। ইউরোপে ছড়িয়ে পড়া 'দ্য ক্লিন ক্লোথ ক্যাম্পেইন' ব্যাপকভাবে বাংলাদেশে তৈরি পোশাককে টার্গেট করেই হচ্ছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, বাংলাদেশে শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যাকাণ্ড খুব একটা আলোড়ন সৃষ্টি না করলেও যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক অধিকার সমর্থকরা এ ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করছেন, যা বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার প্রশ্নে নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, আমিনুল ইসলাম এএফএলে-সিআইওর অনুমোদিত বাংলাদেশের সলিডারিটি সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছে তাঁর হত্যার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্য চিঠি দিয়েছেন এবং হিলারি ক্লিনটন ঢাকা সফরের সময় এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বহু কারণেই মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কথাগুলো তাৎপর্যপূর্ণ এবং আমলে নেওয়া আবশ্যক। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানিকারক দেশ। কোনো কারণে এ দেশটির পোশাক আমদানিকারকরা বাংলাদেশের পোশাক শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে আমাদের এ শিল্প চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। সামান্য বেতন-ভাতা বাড়ালেই পশ্চিমা দেশগুলোর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব, অথচ তা করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে শ্রমিকের বেঁচে থাকার মতো মজুরি প্রদান না করার মানসিকতা মালিকদের যেমন পরিত্যাগ করতে হবে, তেমনি সরকারকে আরো শ্রমিকবান্ধব নীতি অবলম্বন করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে এই খাতের শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা আমরা যেমন জানি, পশ্চিমা ক্রেতা এবং শ্রমিক স্বার্থ রক্ষাকারী সংগঠনগুলোও জানে। সুতরাং তাঁদের উপযুক্ত পাওনা না দিলে দেশের সবাইকেই ঠকতে হবে। অন্যদিকে আমিনুল হত্যার রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এটি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলছে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে। সরকারের মনে রাখতে হবে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে সতর্কতার কথা বলেছেন, সে ব্যাপারে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে দেশের অর্থনীতি। অতএব হাত থেকে সুতা ছুটে যাওয়ার আগেই সে সুতা ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
বহু কারণেই মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কথাগুলো তাৎপর্যপূর্ণ এবং আমলে নেওয়া আবশ্যক। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানিকারক দেশ। কোনো কারণে এ দেশটির পোশাক আমদানিকারকরা বাংলাদেশের পোশাক শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে আমাদের এ শিল্প চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। সামান্য বেতন-ভাতা বাড়ালেই পশ্চিমা দেশগুলোর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব, অথচ তা করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে শ্রমিকের বেঁচে থাকার মতো মজুরি প্রদান না করার মানসিকতা মালিকদের যেমন পরিত্যাগ করতে হবে, তেমনি সরকারকে আরো শ্রমিকবান্ধব নীতি অবলম্বন করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে এই খাতের শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা আমরা যেমন জানি, পশ্চিমা ক্রেতা এবং শ্রমিক স্বার্থ রক্ষাকারী সংগঠনগুলোও জানে। সুতরাং তাঁদের উপযুক্ত পাওনা না দিলে দেশের সবাইকেই ঠকতে হবে। অন্যদিকে আমিনুল হত্যার রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এটি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলছে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে। সরকারের মনে রাখতে হবে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে সতর্কতার কথা বলেছেন, সে ব্যাপারে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে দেশের অর্থনীতি। অতএব হাত থেকে সুতা ছুটে যাওয়ার আগেই সে সুতা ধরে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments