দায় সরকারি শিথিলতার-জনশক্তি রপ্তানির প্রতারক চক্র
গরিব দেশে টাকা করার উপায়গুলো বরং সহজ। প্রবাসে কাজ দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ তেমনি এক উপায়। একদল লোক প্রবাসে কাজ করে টাকা বানানোর জন্য সামান্য সম্বল বিক্রি করে আদম ব্যাপারির হাতে ভাগ্য সঁপে দেয়, তাদের এই টাকায় আরেক দল প্রতারক দিনে দিনে ধনী হয়ে ওঠে।
এসব ঘটনায় যথারীতি সরকারের জনশক্তি রপ্তানি তদারকি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারেরা ‘প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে হম্বিতম্বি করেন, জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর জোট বায়রাও যথারীতি জানিয়ে দেয়, ‘প্রতারণার সঙ্গে জড়িত কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির দায় বায়রা নেবে না’। লাভের ভাগ সবাই নেবেন, কিন্তু প্রতারকদের দায় কেউ নেবেন না, তা হয় না।
বিদেশে কর্মসংস্থানের নামে প্রতারণা নতুন নয়। ছোট-বড় বহু প্রতারণা নিয়মিত ঘটেই চলেছে। সরকারি মন্ত্রণালয়সহ একাধিক সংস্থা এ ক্ষেত্রে সক্রিয় রয়েছে। কারা কীভাবে প্রতারণা করে, তা তাদের জানার কথা। গত রোববারের প্রথম আলোয় এ রকম সাম্প্রতিক কিছু প্রতারণার সঙ্গে জড়িত একাধিক সংস্থার নামও প্রকাশিত হয়েছে। এদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করা কি কঠিন কিছু? বলাবাহুল্য, যাঁরা রক্ষক, তাঁদের অনেকেই ভক্ষক হয়ে যাওয়ার জন্যই একধরনের অসাধু এজেন্টের পক্ষে প্রতারণার জাল বিছিয়ে অর্থ আত্মসাৎ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
গত এক বছরে কুয়েত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নিগ্রহের অজস্র সংবাদ দেশবাসীর মনকে ভারাক্রান্ত করেছে। এখন দেখা যাচ্ছে, নিউজিল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশগুলোয় কাজ দেওয়ার নামে মালয়েশিয়া-লাইবেরিয়া প্রভৃতি দেশে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা। এ মুহূর্তে সুইডেনে প্রতারিত অবস্থায় আছেন ৩০০ বাংলাদেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে আটক অথবা ফেরত আসার অবস্থায় পড়েছেন আরও শত শত বাংলাদেশি। গত বছর কর্মরত অবস্থায় প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশির মৃত্যুও ঘটেছে। কুয়েতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ৩১০ শ্রমিকের করুণ কাহিনি এবং তাদের লাঞ্ছিত-বহিষ্কৃত-রক্তাক্ত প্রত্যাবর্তনও আমাদের দেখতে হয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা, সিঙ্গাপুরে তাদের সঙ্গে প্রতারণা, সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় আন্দামান, থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশে তাদের মানবেতরভাবে আটকে থাকার চিত্র জনগণের চিত্তকে দোলা দিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দূতাবাসগুলোর ভূমিকা সন্তোষজনক ছিল না। অনেক ক্ষেত্রে প্রতারক রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে তাদের কারও কারও যোগসাজশও উন্মোচিত হয়েছে।
প্রতারণা ও বঞ্চনার এই ঢল আর চলতে পারে না। মিঠা মিঠা সহানুভূতি ও দায় এড়ানো নয়, জনগণ প্রতারক আদম ব্যাপারিদের বিচারের কাঠগড়ায় দেখতে চায়।
বিদেশে কর্মসংস্থানের নামে প্রতারণা নতুন নয়। ছোট-বড় বহু প্রতারণা নিয়মিত ঘটেই চলেছে। সরকারি মন্ত্রণালয়সহ একাধিক সংস্থা এ ক্ষেত্রে সক্রিয় রয়েছে। কারা কীভাবে প্রতারণা করে, তা তাদের জানার কথা। গত রোববারের প্রথম আলোয় এ রকম সাম্প্রতিক কিছু প্রতারণার সঙ্গে জড়িত একাধিক সংস্থার নামও প্রকাশিত হয়েছে। এদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করা কি কঠিন কিছু? বলাবাহুল্য, যাঁরা রক্ষক, তাঁদের অনেকেই ভক্ষক হয়ে যাওয়ার জন্যই একধরনের অসাধু এজেন্টের পক্ষে প্রতারণার জাল বিছিয়ে অর্থ আত্মসাৎ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
গত এক বছরে কুয়েত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নিগ্রহের অজস্র সংবাদ দেশবাসীর মনকে ভারাক্রান্ত করেছে। এখন দেখা যাচ্ছে, নিউজিল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশগুলোয় কাজ দেওয়ার নামে মালয়েশিয়া-লাইবেরিয়া প্রভৃতি দেশে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা। এ মুহূর্তে সুইডেনে প্রতারিত অবস্থায় আছেন ৩০০ বাংলাদেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে আটক অথবা ফেরত আসার অবস্থায় পড়েছেন আরও শত শত বাংলাদেশি। গত বছর কর্মরত অবস্থায় প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশির মৃত্যুও ঘটেছে। কুয়েতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ৩১০ শ্রমিকের করুণ কাহিনি এবং তাদের লাঞ্ছিত-বহিষ্কৃত-রক্তাক্ত প্রত্যাবর্তনও আমাদের দেখতে হয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা, সিঙ্গাপুরে তাদের সঙ্গে প্রতারণা, সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় আন্দামান, থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশে তাদের মানবেতরভাবে আটকে থাকার চিত্র জনগণের চিত্তকে দোলা দিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দূতাবাসগুলোর ভূমিকা সন্তোষজনক ছিল না। অনেক ক্ষেত্রে প্রতারক রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে তাদের কারও কারও যোগসাজশও উন্মোচিত হয়েছে।
প্রতারণা ও বঞ্চনার এই ঢল আর চলতে পারে না। মিঠা মিঠা সহানুভূতি ও দায় এড়ানো নয়, জনগণ প্রতারক আদম ব্যাপারিদের বিচারের কাঠগড়ায় দেখতে চায়।
No comments