আন্তর্জাতিক ও মোবাইল কলে নতুন কর
আন্তর্জাতিক টেলিফোন কলের ওপর ও মোবাইল গ্রাহকদের কাছ থেকে নতুন করে কর আদায়ের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে দেশে টেলিকম খাতে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'এটি মোবাইল ফোন শিল্পের জন্য আরেকটি শাস্তি।'
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন জানিয়েছে, এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়ার আগে তাদের মতামত নেওয়া হয়নি।
অর্থমন্ত্রী তাঁর প্রস্তাবিত বাজেটে বলেছেন, 'আন্তর্জাতিক টেলিফোন কলের ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাব্লিউ) সার্ভিসের প্রাপ্ত সমুদয় অর্থের ওপর ১ শতাংশ হারে এবং অন্যদের ক্ষেত্রে আইজিডাব্লিউ কর্তৃক প্রদত্ত অর্থের ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর কর্তন করতে হবে।
এ ছাড়া পোস্টপেইড মোবাইল গ্রাহকের ক্ষেত্রে মোট বিলের ওপর এবং প্রিপেইড গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রিপেইড কার্ড বিক্রি বা রিচার্জের সময় ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটা হবে।'
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ এ সম্পর্কে বলেন, 'এটি টেলিকম সেক্টরের বিষয় হলেও বিটিআরসির সঙ্গে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বা মতামত নেওয়া হয়নি। এ কারণে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। তবে সরকার সবদিক বিবেচনায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমার ধারণা।'
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সেক্রেটারি জেনারেল আবু সাঈদ খান এ বিষয়ে জানান, এটি মোবাইল ফোন শিল্পের জন্য আরেকটি শাস্তি এবং বিশ্বে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। বাংলাদেশে মোবাইল ট্যারিফ সবচেয়ে কম। প্রতিটি নতুন সংযোগের জন্য মোবাইল ফোন অপারেটররা ৬০৫ টাকা করে ভর্তুকি দিয়ে গ্রাহক বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আরো কর আরোপ করা হলে এ খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আন্তর্জাতিক কলের ক্ষেত্রে নতুন করে কর আরোপের প্রস্তাব সম্পর্কে সাঈদ খান জানান, এতে ভিওআইপির অবৈধ কারবার আরো বাড়বে এবং নতুন আইজিডাব্লিউ লাইসেন্স যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
আইসিটি ও টেলিযোগাযোগের অন্যান্য দিক : প্রস্তাবিত বাজেটে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে কর ব্যতীত সরকার সাত হাজার ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব পাবে বলে হিসাব করা হয়েছে। গত বছর জুন মাসে পাস করা ২০১১-১২ অর্থবছরে বিটিআরসি থেকে সরকারের প্রাপ্তি ছয় হাজার ৬০০ কোটি টাকা ধরা হয়। কিন্তু ২০১১-১২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ছয় হাজার ৩০০ কোটি টাকা করা হয়।
গত ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের কাছ থেকে লভ্যাংশ ও মুনাফা হিসেবে সরকার তিন কোটি টাকা পাবে বলে হিসাব করা হলেও এখান থেকে সরকার কোনো টাকাই পায়নি। একইভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ল্যান্ডফোন কম্পানি বিটিসিএল থেকে লভ্যাংশ হিসেবে সরকার ছয় কোটি ৮০ লাখ ও সাবমেরিন কেব্ল্ কম্পানি থেকে লভ্যাংশ হিসেবে ২৫ কোটি টাকা পাবে বলে হিসাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় ১০ গুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের জন্য এ খাতের উন্নয়ন ধরা হয়েছে ২৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। গত ২০১১-১২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ বরাদ্দ ছিল মাত্র ২৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
বাজেটে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। গত বছর ঘোষিত বাজেটে এ খাতে মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ২২২ কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে এ বরাদ্দ পরে ৮০৯ কোটি টাকায় নিয়ে আসা হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয়ও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে চলতি বছরের বাজেটে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ১২৩ কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে তা ৯১ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। আর নতুন অর্থবছরের জন্য ১৭২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নের জন্য ৭০০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হলে এবারের বাজেটেও এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
অর্থমন্ত্রী তাঁর প্রস্তাবিত বাজেটে বলেছেন, 'আন্তর্জাতিক টেলিফোন কলের ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাব্লিউ) সার্ভিসের প্রাপ্ত সমুদয় অর্থের ওপর ১ শতাংশ হারে এবং অন্যদের ক্ষেত্রে আইজিডাব্লিউ কর্তৃক প্রদত্ত অর্থের ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর কর্তন করতে হবে।
এ ছাড়া পোস্টপেইড মোবাইল গ্রাহকের ক্ষেত্রে মোট বিলের ওপর এবং প্রিপেইড গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রিপেইড কার্ড বিক্রি বা রিচার্জের সময় ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটা হবে।'
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ এ সম্পর্কে বলেন, 'এটি টেলিকম সেক্টরের বিষয় হলেও বিটিআরসির সঙ্গে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বা মতামত নেওয়া হয়নি। এ কারণে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। তবে সরকার সবদিক বিবেচনায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমার ধারণা।'
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সেক্রেটারি জেনারেল আবু সাঈদ খান এ বিষয়ে জানান, এটি মোবাইল ফোন শিল্পের জন্য আরেকটি শাস্তি এবং বিশ্বে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। বাংলাদেশে মোবাইল ট্যারিফ সবচেয়ে কম। প্রতিটি নতুন সংযোগের জন্য মোবাইল ফোন অপারেটররা ৬০৫ টাকা করে ভর্তুকি দিয়ে গ্রাহক বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আরো কর আরোপ করা হলে এ খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আন্তর্জাতিক কলের ক্ষেত্রে নতুন করে কর আরোপের প্রস্তাব সম্পর্কে সাঈদ খান জানান, এতে ভিওআইপির অবৈধ কারবার আরো বাড়বে এবং নতুন আইজিডাব্লিউ লাইসেন্স যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
আইসিটি ও টেলিযোগাযোগের অন্যান্য দিক : প্রস্তাবিত বাজেটে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে কর ব্যতীত সরকার সাত হাজার ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব পাবে বলে হিসাব করা হয়েছে। গত বছর জুন মাসে পাস করা ২০১১-১২ অর্থবছরে বিটিআরসি থেকে সরকারের প্রাপ্তি ছয় হাজার ৬০০ কোটি টাকা ধরা হয়। কিন্তু ২০১১-১২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ছয় হাজার ৩০০ কোটি টাকা করা হয়।
গত ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের কাছ থেকে লভ্যাংশ ও মুনাফা হিসেবে সরকার তিন কোটি টাকা পাবে বলে হিসাব করা হলেও এখান থেকে সরকার কোনো টাকাই পায়নি। একইভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ল্যান্ডফোন কম্পানি বিটিসিএল থেকে লভ্যাংশ হিসেবে সরকার ছয় কোটি ৮০ লাখ ও সাবমেরিন কেব্ল্ কম্পানি থেকে লভ্যাংশ হিসেবে ২৫ কোটি টাকা পাবে বলে হিসাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় ১০ গুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের জন্য এ খাতের উন্নয়ন ধরা হয়েছে ২৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। গত ২০১১-১২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ বরাদ্দ ছিল মাত্র ২৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
বাজেটে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। গত বছর ঘোষিত বাজেটে এ খাতে মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ২২২ কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে এ বরাদ্দ পরে ৮০৯ কোটি টাকায় নিয়ে আসা হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয়ও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে চলতি বছরের বাজেটে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ১২৩ কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে তা ৯১ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। আর নতুন অর্থবছরের জন্য ১৭২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নের জন্য ৭০০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হলে এবারের বাজেটেও এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
No comments