এত অসুবিধায় নাগরিক জীবন চলবে কী করে?-জলাবদ্ধতার রাজধানী
ঢাকার নাগরিক ভোগান্তির তালিকায় জলাবদ্ধতা নতুন ঘটনা নয়। বছরের পর বছর দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টি হলেই ঢাকার অনেক এলাকার পথ-ঘাট-মাঠ ডুবে যায়, সড়কে গাড়ির মিছিল স্থির দাঁড়িয়ে থাকে, ব্যস্ত ঢাকা আরও ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিছুতেই যখন কিছু হয় না, তখন এক অচলাবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে ভুক্তভোগী লাখ লাখ মানুষ ভাগ্য কিংবা
সরকারকে দোষারোপ করতে থাকে এবং সরকার ও নগর কর্তৃপক্ষ যথারীতি বোবা, বধির ও অন্ধ হয়ে দায়িত্ব এড়ায়। এভাবে বর্ষা আসে আর যায়, জলাবদ্ধতার কারণে জনভোগান্তি সীমা ছাড়াতে থাকে।
গত বুধবার দুপুরের বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার প্রায় সব প্রধান সড়ক ডুবে গিয়েছিল। এমনকি নিউমার্কেটের ভেতরের চত্বরও ডুবে যায়। অবস্থা দেখে মনে হয়, জলাবদ্ধতা কাটানোর চেষ্টা যেহেতু নেই, সেহেতু এ শহরে বৃষ্টিকেই নিষিদ্ধ করতে হয়। কিন্তু বন্যা প্রাকৃতিক হলেও নগরের জলাবদ্ধতা প্রাকৃতিক নয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর যে প্রায়ই জলাবদ্ধতায় ভুগতে থাকে, তার কারণ নগরগুলোর পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা। ৪০০ বছর ধরে যে শহর রাজধানী, সে শহরে কার্যকর পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকা এক বিরাট রাষ্ট্রীয় পরিহাস!
ঢাকার অবস্থান বন্যা-সমতলে। অর্থাৎ বন্যাপ্রবাহ এলাকা হওয়ায় এর ওপর দিয়ে পানি বয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। ঢাকার বিভিন্ন খাল, ঝিল, জলাশয় ও নিচু এলাকা দিয়ে শুধু বন্যার পানিই বয়ে যেত না, বৃষ্টির পানিও ধারণ ও নিষ্কাশিত হতো। অথচ অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ ও ভরাটের মাধ্যমে স্বাভাবিক পানিনিষ্কাশনের উপায় রুদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি অব্যবস্থাপনা ও সংস্কারের অভাবে পানিনিষ্কাশনের নালাগুলোও হয়ে পড়েছে অকার্যকর। ঢাকাকে বন্যামুক্ত রাখতে এর পশ্চিমে ঢাকা রক্ষা বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই বাঁধের ভেতরের আটকে থাকা পানি বের হওয়ার যথেষ্ট পথ না থাকায় জলাবদ্ধতা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
ঢাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচাতে তাই বিশদ নগর পরিকল্পনা তথা ড্যাপ বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি এলাকার মাইক্রো জোনিং করে সেখানকার পানিনিষ্কাশন-প্রণালি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। বন্যা-সমতলকে বন্যা-সমতল হিসেবেই রাখতে হবে, সেখানে আবাসন বা মার্কেট করা যাবে না; করা হয়ে থাকলে তা ভেঙে ফেলতে হবে। এ দায়িত্ব রাজউক, ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার যেমন, তেমনি ঢাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও। একের পর এক বিভিন্ন দিক থেকে সংকটাপন্ন ঢাকাকে বাঁচাতে মামুলি খুটখাট নয়, দরকার বিপুল উদ্যোগ শুরু করা।
গত বুধবার দুপুরের বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার প্রায় সব প্রধান সড়ক ডুবে গিয়েছিল। এমনকি নিউমার্কেটের ভেতরের চত্বরও ডুবে যায়। অবস্থা দেখে মনে হয়, জলাবদ্ধতা কাটানোর চেষ্টা যেহেতু নেই, সেহেতু এ শহরে বৃষ্টিকেই নিষিদ্ধ করতে হয়। কিন্তু বন্যা প্রাকৃতিক হলেও নগরের জলাবদ্ধতা প্রাকৃতিক নয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর যে প্রায়ই জলাবদ্ধতায় ভুগতে থাকে, তার কারণ নগরগুলোর পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা। ৪০০ বছর ধরে যে শহর রাজধানী, সে শহরে কার্যকর পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকা এক বিরাট রাষ্ট্রীয় পরিহাস!
ঢাকার অবস্থান বন্যা-সমতলে। অর্থাৎ বন্যাপ্রবাহ এলাকা হওয়ায় এর ওপর দিয়ে পানি বয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। ঢাকার বিভিন্ন খাল, ঝিল, জলাশয় ও নিচু এলাকা দিয়ে শুধু বন্যার পানিই বয়ে যেত না, বৃষ্টির পানিও ধারণ ও নিষ্কাশিত হতো। অথচ অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ ও ভরাটের মাধ্যমে স্বাভাবিক পানিনিষ্কাশনের উপায় রুদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি অব্যবস্থাপনা ও সংস্কারের অভাবে পানিনিষ্কাশনের নালাগুলোও হয়ে পড়েছে অকার্যকর। ঢাকাকে বন্যামুক্ত রাখতে এর পশ্চিমে ঢাকা রক্ষা বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই বাঁধের ভেতরের আটকে থাকা পানি বের হওয়ার যথেষ্ট পথ না থাকায় জলাবদ্ধতা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
ঢাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচাতে তাই বিশদ নগর পরিকল্পনা তথা ড্যাপ বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি এলাকার মাইক্রো জোনিং করে সেখানকার পানিনিষ্কাশন-প্রণালি পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। বন্যা-সমতলকে বন্যা-সমতল হিসেবেই রাখতে হবে, সেখানে আবাসন বা মার্কেট করা যাবে না; করা হয়ে থাকলে তা ভেঙে ফেলতে হবে। এ দায়িত্ব রাজউক, ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার যেমন, তেমনি ঢাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও। একের পর এক বিভিন্ন দিক থেকে সংকটাপন্ন ঢাকাকে বাঁচাতে মামুলি খুটখাট নয়, দরকার বিপুল উদ্যোগ শুরু করা।
No comments