বাজেট জনগণের জন্য কোনো সুফল আনবে না: বিএনপি
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১২-১৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটকে গণবিরোধী বলে দাবি করেছে বিএনপি। এই বাজেট জনগণের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না, তাদের জন্য কোনো সুখবরও নেই বলে দাবি করেছে দলটি।গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার এ কথা বলেন।
দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তা ছাড়া বাজেট বাস্তবায়নের মতো প্রশাসনিক দক্ষতা, যোগ্যতা ও সামর্থ্য সরকারের নেই।
আগামী অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনার জন্য বিএনপি একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে। এম কে আনোয়ারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ। তাঁরা বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় গুলশানের কার্যালয়ে বসে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা শোনেন। এরপর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান।
এম কে আনোয়ার কৃষিতে ভর্তুকি কমানোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। এ অবস্থায় কার স্বার্থে অর্থমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা বোধগম্য হয়। আট হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘোষণা বাস্তবতাবিবর্জিত। তিনি বলেন, বিশাল অঙ্কের ঘাটতি বাজেট মোকাবিলা সম্ভব নয়। বিদেশি সহায়তা হ্রাস করে এত ঘাটতি মোকাবিলা অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত। বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা চাপানো হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রিত হবে না।
এম কে আনোয়ার আরও বলেন, এই বাজেট নির্বাচনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা ভাবা হয়নি। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ নির্বাচনী স্বার্থে রাখা হয়েছে। এ ধরনের থোক বরাদ্দ লুটপাট হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এটা দলীয় বিবেচনার বাজেট। তিনি বলেন, বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এটা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে। তা ছাড়া প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, এই বাজেট অন্তঃসারশূন্য। গতানুগতিক। নতুন কোনো ধ্যান-ধারণা এতে নেই।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ অনেক কমে গেছে। তাই সরকার প্রবৃদ্ধির যে মাত্রা নির্ধারণ করেছে, তা বাস্তবায়িত হবে না।
আগামী অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনার জন্য বিএনপি একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে। এম কে আনোয়ারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ। তাঁরা বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় গুলশানের কার্যালয়ে বসে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা শোনেন। এরপর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান।
এম কে আনোয়ার কৃষিতে ভর্তুকি কমানোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। এ অবস্থায় কার স্বার্থে অর্থমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা বোধগম্য হয়। আট হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘোষণা বাস্তবতাবিবর্জিত। তিনি বলেন, বিশাল অঙ্কের ঘাটতি বাজেট মোকাবিলা সম্ভব নয়। বিদেশি সহায়তা হ্রাস করে এত ঘাটতি মোকাবিলা অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত। বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা চাপানো হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রিত হবে না।
এম কে আনোয়ার আরও বলেন, এই বাজেট নির্বাচনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা ভাবা হয়নি। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ নির্বাচনী স্বার্থে রাখা হয়েছে। এ ধরনের থোক বরাদ্দ লুটপাট হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এটা দলীয় বিবেচনার বাজেট। তিনি বলেন, বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এটা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে। তা ছাড়া প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর তেমন কোনো উদ্যোগ নেই।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, এই বাজেট অন্তঃসারশূন্য। গতানুগতিক। নতুন কোনো ধ্যান-ধারণা এতে নেই।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ অনেক কমে গেছে। তাই সরকার প্রবৃদ্ধির যে মাত্রা নির্ধারণ করেছে, তা বাস্তবায়িত হবে না।
No comments