পাঠকের মন্তব্য: অনলাইন থেকে-পদ্মা সেতুই একদিন দেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
প্রথম আলোর অনলাইনে (prothom-alo.com) প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলা, প্রযুক্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে পাঠকের মতামত প্রকাশিত হয়। তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
বেপরোয়া পুলিশ, প্রশ্ন জবাবদিহি নিয়ে
পুলিশ বাহিনীর সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে গত শনিবার এই বিশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলোয়। এ সম্পর্কে মো. হাফেজুর রহমান লিখেছেন: পুলিশ বাহিনীতে ন্যূনতম এইচএসসি পাস ব্যক্তিদের নিয়োগ করা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা হলো, গোড়া থেকে দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। তাহলে বাংলাদেশটা সোনার দেশে পরিণত হবে।
আবুল কাশেম: নতুন কোনো আইন করে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। পুলিশ আইন, রেগুলেশন—এসবে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে, শৃঙ্খলায় আনতে অনেক বিধান আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নাই। অতএব, আইনের প্রয়োগ দরকার। পুলিশ আইন যদি ব্রিটিশ আমলের বলে বাদ দিতে হয়, তবে দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি নয় কেন? যেই আইন করুক, প্রয়োগ দরকার। প্রস্তাবিত আইনে পুলিশকে রাষ্ট্র ও নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ-বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। এমনিতেই যে ষাঁড়কে ঠেকানো যায় না, দড়ি ছেড়ে দিলে তাকে কে পায়।
ফাহমিদা: আমাদের পুলিশ সদস্যরা দেশের বাইরে তাঁদের দক্ষতা এবং পেশাদারীর কারণে অনেক প্রশংসিত, কিন্তু দেশের ভেতরেই সমালোচিত। পুলিশ আইনের সংস্কার করে কিছুই হবে না, সংস্কার করতে হবে দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঠক: সবার উদ্দেশে বলছি, পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে ১৮ ঘণ্টা ডিউটি করে থাকে। মাসে ৩০ দিন নাইট ডিউটি করে। তিন থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগ পায়। তা ছাড়া প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ওপরে দিয়ে থাকে। এসব সমস্যা না বলে আপনারা শুধু পুলিশের বিপক্ষে বলাটা আমার কাছে দুঃখজনক লাগছে।
দুই দলের বাইরে নতুন ধারার রাজনীতি সৃষ্টির সময় এসেছে
নাগরিক সমাবেশ থেকে এ ধরনের কথা উঠে এসেছে। এ সম্পর্কে হেলাল লিখেছেন: সবই তো বুঝলাম, কিন্তু আমরা জনগণ তো নতুন নেতৃত্বকে ভোট দেবে না! যাঁরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় নেতৃত্ব ও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন—জাতি কিন্তু তাঁদেরকেই ঘুরে-ফিরে ভোট দেবে! বরং দুই নেত্রীকে বোঝান ও সংলাপের ব্যবস্থা করুন, দেখবেন সমাধান আসবেই। আর তার চেয়ে বড় কথা হলো, জনগণের ওপর কেউ নেই। জনগণের রায়ের ওপরই নির্ভর করে পরবর্তী সরকার। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু আবেগ-প্রবণ। তাই তারা সহজে মিষ্টি কথায় অতীত ভুলে যায় এবং এটাই আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্য। তারা বারবার ঘুরে-ফিরে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলকেই ভোট দেয়! আমরা সবই বুঝি। কিন্তু ওই যে আবেগ-প্রবণতাই বেশি করে আমাদের ভেতরে কাজ করে! আমাদের দেশে বামপন্থী দলগুলোও কি কিছু ভালো করতে পারছে? সরকারি দলে ভিড়ে কোনো মতে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রেখেছে! এরা নির্বাচনেও হেরে যায় জনগণের সমর্থন না থাকার কারণে! তবুও আমি দেশের পূর্ণ গণতন্ত্রের জন্য একজন বিবেকবান নাগরিক হিসেবে সমর্থন দিয়ে যাব এবং এইটি আমার নাগরিক দায়িত্বও বটে।
মো. মাহবুবুর রব: দয়া করে জাতিকে বাঁচানোর জন্য আপনারা কিছু করুন, জনগণ সঠিক মূল্যায়ন করবে।
১৬ কোটি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন কেন?
বিশ্বব্যাংকের উদ্দেশে এ কথা বলেছেন যোগাযোগমন্ত্রী। এ ব্যাপারে মো. হাসান লিখেছেন: বিশ্বব্যাংককে দোষ দিচ্ছেন কেন? আপনারা রাজনীতিবিদেরা দুর্নীতি না করলে বিশ্বব্যাংক অর্থসহায়তা বন্ধ করত না। বিশ্বব্যাংকের অর্থ কি আপনারা খাওয়ার জন্য? প্রধানমন্ত্রী তো খুব বড় গলায় বলেছিলেন, প্রমাণ দিতে না পারলে বিশ্বব্যাংকের সাহায্য নেবেন না। আগে আপনারা নিজে ঠিক হন, তারপর অন্যের কথা বলুন। আপনাদের মতো রাজনীতিবিদদের জন্য দেশের আজ এ অবস্থা।
জাকির হোসাইন: আপনি এ দাবিটা বিশ্বব্যাংকের কাছে না করে আপনার প্রধানমন্ত্রীর কাছে করুন! দুর্নীতি করেছে আপনার সরকার আর ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন জনগণকে? এটা কেমন হলো? জনগণ তো দোষ সেই তিন বছর আগে আপনাদের নৌকায় ওঠার সময় করেই ফেলেছে! তবে আর করবে না!
নাজিম আহমেদ: দেখুন উল্টাপাল্টা বোঝাতে চেষ্টা করবেন না। বিশ্বব্যাংক বলেছে চুরি হয়েছে, আপনারা চালাকি করে চোরের বিচার না করে চোরকে রক্ষা করছেন। তাঁকে কেন বিচারের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করলেন না। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে আপনারা কোটি কোটি টাকা কামানোর ব্যবস্থা করছেন, আর দেশকে দিচ্ছেন বাঁশ। এই পদ্মা সেতুই একদিন দেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে। আমি বলব, এসব বড় প্রকল্পে হাত দিয়ে দেশকে আর গরিব বানাবেন না। আপনাদের সময় শেষ। পরবর্তী সরকার এসে ভেবে দেখবে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ: আমার শঙ্কা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই বিবৃতি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে হাসানুজ্জামান লিখেছেন: এ লেখাটা পড়তে পড়তে আমি ভীষণ অসুস্থতা বোধ করা শুরু করেছি। এ জন্য মাঝপথে পড়া থামাতে বাধ্য হয়েছি। পরে পুরোটা পড়ব। লিখতেও কষ্ট হচ্ছে। শুধু বলব, নিজ সন্তানের মতো তিলে তিলে গড়ে তোলা একটি বিশ্বনন্দিত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হোক, তা কোনো সুস্থ মানুষই চাইবে না। আর কোনো দেশপ্রেমিক সরকার কখনো এমন প্রতিষ্ঠানের দিকে হাত বাড়াবে না।
বিপ্লব রায়: বুঝতে পারছি না কেন আপনি উদ্বিগ্ন হচ্ছেন? যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার ব্যাপারে অনুসন্ধান চালাতে সরকার তদন্ত কমিটি করতেই পারে। যদি গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো ঝামেলা না থাকে এবং নিজ অবস্থানে দৃঢ় থাকে, তবে চ্যালেঞ্জ নিতে সমস্যা কি! আপনার নেতিবাচক অনুমান সত্য না-ও হতে পারে। শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে আপনার মতো ব্যক্তির কিছু বলা ঠিক না। সে রকম কিছু করলে মনে করা হবে আপনি তদন্ত কমিটির সদস্যদের বিশ্বাস করতে পারছেন না।
এক লিটার দুধের দাম কত?
প্রথম আলোয় গত বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাঠক লিখেছেন: একটি ট্রাস্ট গঠন করা উচিত শিশুর খাবার অথবা শিশুর খাবার উৎপাদনজনিত খাবার নিয়ে। কারণ, এ দেশের শিশুদের খাবারের যে অবস্থা হয়েছে। গরুর দুধ এখন আর দুধ নেই। হয়েছে, দুধ+কাপড় কাচা সোডা+পানি+লবণ+চিনি মিশ্রিত দুধ। এ দুধ শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশ কিংবা স্বাস্থ্যের বিকাশে কোনো কাজেই আসবে না।
সুমন কান্তি সাহা: এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা শুধু দুধের বিষয়ে জানতে পারলাম। আমি তো মনে করি, এভাবে আমরা সব খাদ্যদ্রব্য নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছি! অর্থাৎ সব খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের মতো সাধারণ ভোক্তাদের নিয়ে একটা ছেলেখেলা করছে, যা পৃথিবীর আর কোনো সভ্য দেশে আছে বলে মনে হয় না। আমাদের দেশের ‘বিএসটিআই’-এর যা অবস্থা, তাতে মনে হয় না এই দুধ আপনি খেলে বা আপনার বাচ্চাদের খাওয়ালে সুস্বাস্থ্য হবে—তার নিশ্চয়তা আছে। এই দুধে যে ভেজাল নেই, তা কি নিশ্চিত? তা ছাড়া আমরা জানি, আমাদের দেশের প্রায় সব ধরনের মোড়কজাত খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ভেজাল কম-বেশি আছেই! যার সবগুলোই আবার কি না বিএসটিআইর সিল বা লোগো লাগানো! তাহলে আপনি কীভাবে বুঝবেন যে ভালো খাচ্ছেন?
(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
পুলিশ বাহিনীর সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে গত শনিবার এই বিশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলোয়। এ সম্পর্কে মো. হাফেজুর রহমান লিখেছেন: পুলিশ বাহিনীতে ন্যূনতম এইচএসসি পাস ব্যক্তিদের নিয়োগ করা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা হলো, গোড়া থেকে দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। তাহলে বাংলাদেশটা সোনার দেশে পরিণত হবে।
আবুল কাশেম: নতুন কোনো আইন করে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। পুলিশ আইন, রেগুলেশন—এসবে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে, শৃঙ্খলায় আনতে অনেক বিধান আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নাই। অতএব, আইনের প্রয়োগ দরকার। পুলিশ আইন যদি ব্রিটিশ আমলের বলে বাদ দিতে হয়, তবে দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি নয় কেন? যেই আইন করুক, প্রয়োগ দরকার। প্রস্তাবিত আইনে পুলিশকে রাষ্ট্র ও নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ-বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। এমনিতেই যে ষাঁড়কে ঠেকানো যায় না, দড়ি ছেড়ে দিলে তাকে কে পায়।
ফাহমিদা: আমাদের পুলিশ সদস্যরা দেশের বাইরে তাঁদের দক্ষতা এবং পেশাদারীর কারণে অনেক প্রশংসিত, কিন্তু দেশের ভেতরেই সমালোচিত। পুলিশ আইনের সংস্কার করে কিছুই হবে না, সংস্কার করতে হবে দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঠক: সবার উদ্দেশে বলছি, পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে ১৮ ঘণ্টা ডিউটি করে থাকে। মাসে ৩০ দিন নাইট ডিউটি করে। তিন থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে নিয়োগ পায়। তা ছাড়া প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ওপরে দিয়ে থাকে। এসব সমস্যা না বলে আপনারা শুধু পুলিশের বিপক্ষে বলাটা আমার কাছে দুঃখজনক লাগছে।
দুই দলের বাইরে নতুন ধারার রাজনীতি সৃষ্টির সময় এসেছে
নাগরিক সমাবেশ থেকে এ ধরনের কথা উঠে এসেছে। এ সম্পর্কে হেলাল লিখেছেন: সবই তো বুঝলাম, কিন্তু আমরা জনগণ তো নতুন নেতৃত্বকে ভোট দেবে না! যাঁরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় নেতৃত্ব ও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন—জাতি কিন্তু তাঁদেরকেই ঘুরে-ফিরে ভোট দেবে! বরং দুই নেত্রীকে বোঝান ও সংলাপের ব্যবস্থা করুন, দেখবেন সমাধান আসবেই। আর তার চেয়ে বড় কথা হলো, জনগণের ওপর কেউ নেই। জনগণের রায়ের ওপরই নির্ভর করে পরবর্তী সরকার। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু আবেগ-প্রবণ। তাই তারা সহজে মিষ্টি কথায় অতীত ভুলে যায় এবং এটাই আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্য। তারা বারবার ঘুরে-ফিরে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলকেই ভোট দেয়! আমরা সবই বুঝি। কিন্তু ওই যে আবেগ-প্রবণতাই বেশি করে আমাদের ভেতরে কাজ করে! আমাদের দেশে বামপন্থী দলগুলোও কি কিছু ভালো করতে পারছে? সরকারি দলে ভিড়ে কোনো মতে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রেখেছে! এরা নির্বাচনেও হেরে যায় জনগণের সমর্থন না থাকার কারণে! তবুও আমি দেশের পূর্ণ গণতন্ত্রের জন্য একজন বিবেকবান নাগরিক হিসেবে সমর্থন দিয়ে যাব এবং এইটি আমার নাগরিক দায়িত্বও বটে।
মো. মাহবুবুর রব: দয়া করে জাতিকে বাঁচানোর জন্য আপনারা কিছু করুন, জনগণ সঠিক মূল্যায়ন করবে।
১৬ কোটি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন কেন?
বিশ্বব্যাংকের উদ্দেশে এ কথা বলেছেন যোগাযোগমন্ত্রী। এ ব্যাপারে মো. হাসান লিখেছেন: বিশ্বব্যাংককে দোষ দিচ্ছেন কেন? আপনারা রাজনীতিবিদেরা দুর্নীতি না করলে বিশ্বব্যাংক অর্থসহায়তা বন্ধ করত না। বিশ্বব্যাংকের অর্থ কি আপনারা খাওয়ার জন্য? প্রধানমন্ত্রী তো খুব বড় গলায় বলেছিলেন, প্রমাণ দিতে না পারলে বিশ্বব্যাংকের সাহায্য নেবেন না। আগে আপনারা নিজে ঠিক হন, তারপর অন্যের কথা বলুন। আপনাদের মতো রাজনীতিবিদদের জন্য দেশের আজ এ অবস্থা।
জাকির হোসাইন: আপনি এ দাবিটা বিশ্বব্যাংকের কাছে না করে আপনার প্রধানমন্ত্রীর কাছে করুন! দুর্নীতি করেছে আপনার সরকার আর ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন জনগণকে? এটা কেমন হলো? জনগণ তো দোষ সেই তিন বছর আগে আপনাদের নৌকায় ওঠার সময় করেই ফেলেছে! তবে আর করবে না!
নাজিম আহমেদ: দেখুন উল্টাপাল্টা বোঝাতে চেষ্টা করবেন না। বিশ্বব্যাংক বলেছে চুরি হয়েছে, আপনারা চালাকি করে চোরের বিচার না করে চোরকে রক্ষা করছেন। তাঁকে কেন বিচারের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করলেন না। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে আপনারা কোটি কোটি টাকা কামানোর ব্যবস্থা করছেন, আর দেশকে দিচ্ছেন বাঁশ। এই পদ্মা সেতুই একদিন দেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে। আমি বলব, এসব বড় প্রকল্পে হাত দিয়ে দেশকে আর গরিব বানাবেন না। আপনাদের সময় শেষ। পরবর্তী সরকার এসে ভেবে দেখবে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ: আমার শঙ্কা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই বিবৃতি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে হাসানুজ্জামান লিখেছেন: এ লেখাটা পড়তে পড়তে আমি ভীষণ অসুস্থতা বোধ করা শুরু করেছি। এ জন্য মাঝপথে পড়া থামাতে বাধ্য হয়েছি। পরে পুরোটা পড়ব। লিখতেও কষ্ট হচ্ছে। শুধু বলব, নিজ সন্তানের মতো তিলে তিলে গড়ে তোলা একটি বিশ্বনন্দিত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হোক, তা কোনো সুস্থ মানুষই চাইবে না। আর কোনো দেশপ্রেমিক সরকার কখনো এমন প্রতিষ্ঠানের দিকে হাত বাড়াবে না।
বিপ্লব রায়: বুঝতে পারছি না কেন আপনি উদ্বিগ্ন হচ্ছেন? যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার ব্যাপারে অনুসন্ধান চালাতে সরকার তদন্ত কমিটি করতেই পারে। যদি গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো ঝামেলা না থাকে এবং নিজ অবস্থানে দৃঢ় থাকে, তবে চ্যালেঞ্জ নিতে সমস্যা কি! আপনার নেতিবাচক অনুমান সত্য না-ও হতে পারে। শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে আপনার মতো ব্যক্তির কিছু বলা ঠিক না। সে রকম কিছু করলে মনে করা হবে আপনি তদন্ত কমিটির সদস্যদের বিশ্বাস করতে পারছেন না।
এক লিটার দুধের দাম কত?
প্রথম আলোয় গত বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাঠক লিখেছেন: একটি ট্রাস্ট গঠন করা উচিত শিশুর খাবার অথবা শিশুর খাবার উৎপাদনজনিত খাবার নিয়ে। কারণ, এ দেশের শিশুদের খাবারের যে অবস্থা হয়েছে। গরুর দুধ এখন আর দুধ নেই। হয়েছে, দুধ+কাপড় কাচা সোডা+পানি+লবণ+চিনি মিশ্রিত দুধ। এ দুধ শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশ কিংবা স্বাস্থ্যের বিকাশে কোনো কাজেই আসবে না।
সুমন কান্তি সাহা: এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা শুধু দুধের বিষয়ে জানতে পারলাম। আমি তো মনে করি, এভাবে আমরা সব খাদ্যদ্রব্য নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছি! অর্থাৎ সব খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের মতো সাধারণ ভোক্তাদের নিয়ে একটা ছেলেখেলা করছে, যা পৃথিবীর আর কোনো সভ্য দেশে আছে বলে মনে হয় না। আমাদের দেশের ‘বিএসটিআই’-এর যা অবস্থা, তাতে মনে হয় না এই দুধ আপনি খেলে বা আপনার বাচ্চাদের খাওয়ালে সুস্বাস্থ্য হবে—তার নিশ্চয়তা আছে। এই দুধে যে ভেজাল নেই, তা কি নিশ্চিত? তা ছাড়া আমরা জানি, আমাদের দেশের প্রায় সব ধরনের মোড়কজাত খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ভেজাল কম-বেশি আছেই! যার সবগুলোই আবার কি না বিএসটিআইর সিল বা লোগো লাগানো! তাহলে আপনি কীভাবে বুঝবেন যে ভালো খাচ্ছেন?
(পাঠকের মতামত বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
No comments