বিরোধী দলের উচিত সংসদে গিয়ে দাবি পেশ করা-বাজেট অধিবেশন
সংলাপ নিয়ে যখন সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে চাপান উতোর চলছে, তখনই রাষ্ট্রপতি ২৭ মে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন আহ্বান করেছেন। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৭ জুন ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। বাজেট সামনে রেখে দুই দলেরই বেশিসংখ্যক সদস্য আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন, যা অন্য অধিবেশনে সম্ভব নয়।
সাংসদ হিসেবে এটি তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিরোধী দলের সাংসদেরা সেই সুযোগ কেন হাতছাড়া করবেন?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকা না-থাকা নিয়ে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সরকারি দলের ভাষ্য হচ্ছে, সংসদের বাইরে আলোচনা করা যাবে না। আর বিরোধী দল বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানলেই সরকারের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। দুই পক্ষকেই এই অনড় অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। বিরোধী দলের কথা অনুযায়ী সরকার যদি তত্ত্বাবধায়কের দাবি মেনেই নেয়, তাহলে আলোচনার কী প্রয়োজন?
আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংসদের বাইরে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো আলোচনা হতে পারবে না, তা-ও যুক্তিসংগত নয়। ২০০৬ সালে বিরোধী দলে থাকতে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক কিন্তু সংসদের বাইরেই সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে বসেছিলেন। এখন বসতে বাধা কোথায়? সেই আলোচনা তাঁদের ভাষায় ‘ক্ষমতাসীনদের অনড় অবস্থানের কারণে’ সফল হয়নি। এবারের ক্ষমতাসীনেরা একটু উদারতা দেখালে হয়তো সংসদের বাইরেও সংকটের সমাধান হতে পারে। বিএনপির চেয়ারপারসন জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক শব্দে সরকারের আপত্তি থাকলে নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেও নির্বাচন হতে পারে। আর সরকারি দলের নেতারা বলছেন, কোনোভাবেই অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ক্ষমতায় আনা যাবে না।
অতএব আলোচনার টেবিলে দুই পক্ষই তাদের যুক্তি তুলে ধরতে পারে। আলোচনার বিকল্প হলো সংঘাত। আমরা অতীতের রাজনৈতিক তিক্ততার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই, উভয় পক্ষ অনড় অবস্থানে থাকায় সে সময়ে সংলাপ সফল হয়নি, রাজপথে ফয়সালা হয়েছে। এতে চূড়ান্ত বিচারে কেউ লাভবান হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশ ও জনগণ।
এবারও সেই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেশবাসী চায় না বলেই সরকার ও বিরোধী দলকে আলোচনায় বসতে হবে। এবং সংসদের আগামী বাজেট অধিবেশনে তার সূচনা হতে পারে। আর সংলাপের ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদেরই যে এগিয়ে আসতে হবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংসদ অধিবেশনের আগে বিরোধী দলের নেতাদের নামে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ায় আলোচনার পরিবেশ অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত করবে সন্দেহ নেই।
আমরা হরতালে বাসে আগুন বা বোমা নিক্ষেপ করে জনজীবনে আতঙ্ক ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করি। তাই বলে গয়রহ বিরোধী দলের নেতাদের ওপর সেই ঘটনার দায় চাপানো সমীচীন নয়। এতে আসল সন্ত্রাসীদের পার পেয়ে যাওয়া এবং রহস্য অনুদ্ঘাটিত থাকার আশঙ্কাই বেশি। দমন-পীড়ন বা জ্বালাও-পোড়াও নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকা না-থাকা নিয়ে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সরকারি দলের ভাষ্য হচ্ছে, সংসদের বাইরে আলোচনা করা যাবে না। আর বিরোধী দল বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানলেই সরকারের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। দুই পক্ষকেই এই অনড় অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। বিরোধী দলের কথা অনুযায়ী সরকার যদি তত্ত্বাবধায়কের দাবি মেনেই নেয়, তাহলে আলোচনার কী প্রয়োজন?
আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংসদের বাইরে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো আলোচনা হতে পারবে না, তা-ও যুক্তিসংগত নয়। ২০০৬ সালে বিরোধী দলে থাকতে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক কিন্তু সংসদের বাইরেই সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে বসেছিলেন। এখন বসতে বাধা কোথায়? সেই আলোচনা তাঁদের ভাষায় ‘ক্ষমতাসীনদের অনড় অবস্থানের কারণে’ সফল হয়নি। এবারের ক্ষমতাসীনেরা একটু উদারতা দেখালে হয়তো সংসদের বাইরেও সংকটের সমাধান হতে পারে। বিএনপির চেয়ারপারসন জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক শব্দে সরকারের আপত্তি থাকলে নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেও নির্বাচন হতে পারে। আর সরকারি দলের নেতারা বলছেন, কোনোভাবেই অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ক্ষমতায় আনা যাবে না।
অতএব আলোচনার টেবিলে দুই পক্ষই তাদের যুক্তি তুলে ধরতে পারে। আলোচনার বিকল্প হলো সংঘাত। আমরা অতীতের রাজনৈতিক তিক্ততার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই, উভয় পক্ষ অনড় অবস্থানে থাকায় সে সময়ে সংলাপ সফল হয়নি, রাজপথে ফয়সালা হয়েছে। এতে চূড়ান্ত বিচারে কেউ লাভবান হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশ ও জনগণ।
এবারও সেই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেশবাসী চায় না বলেই সরকার ও বিরোধী দলকে আলোচনায় বসতে হবে। এবং সংসদের আগামী বাজেট অধিবেশনে তার সূচনা হতে পারে। আর সংলাপের ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদেরই যে এগিয়ে আসতে হবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংসদ অধিবেশনের আগে বিরোধী দলের নেতাদের নামে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ায় আলোচনার পরিবেশ অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত করবে সন্দেহ নেই।
আমরা হরতালে বাসে আগুন বা বোমা নিক্ষেপ করে জনজীবনে আতঙ্ক ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করি। তাই বলে গয়রহ বিরোধী দলের নেতাদের ওপর সেই ঘটনার দায় চাপানো সমীচীন নয়। এতে আসল সন্ত্রাসীদের পার পেয়ে যাওয়া এবং রহস্য অনুদ্ঘাটিত থাকার আশঙ্কাই বেশি। দমন-পীড়ন বা জ্বালাও-পোড়াও নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।
No comments