জব্বারের বলী খেলা-নতুন চ্যাম্পিয়ন অলি
ডান হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে ধরে নেচে নেচে রিংয়ের চারপাশে ঘুরছেন সুঠামদেহী এক যুবক। কয়েক হাজার দর্শক করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। কিছুক্ষণ আগেই প্রতিপক্ষকে মল্লযুদ্ধে ধরাশায়ী করেছেন তিনি। চট্টগ্রামের লালদীঘির ময়দানে গতকাল বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার দৃশ্যচিত্র এটি।
এ বছর ১০৩তম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অলি হোসেন (২৬)। প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি।
বিকেল চারটা থেকে শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এ খেলা। এবারের আসরে মোট ৭৪ জন বলী অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধ থেকে ১১ বছরের শিশু বলীও ছিল।
খেলায় অংশ নিতে বিভিন্ন বয়সের মল্লযোদ্ধারা আসেন বাকলিয়া, ফিরিঙ্গিবাজার, পতেঙ্গা, রাউজান, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, পটিয়া, বাঁশখালী, কুমিল্লা, ভোলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। দুপুর থেকেই লালদীঘির ময়দানে আসতে শুরু করেন বলীখেলার প্রতিযোগীরা। বেলা আড়াইটার মধ্যেই দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ময়দান। এরপর ময়দানের আশপাশের সবগুলো ভবনের ছাদে অবস্থান নেন কৌতূহলী দর্শক।
ঢাকঢোল বাজিয়ে বলীখেলার মঞ্চের চারপাশে ঘুরছিল বাদক দল। ঢোলের তালে তালে নেচে মল্লযোদ্ধারা মঞ্চে আসেন। শুরু হয় বলীখেলা। এবারের খেলা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল মালেক।
প্রথম রাউন্ডের একটি খেলায় বিজয়ী হন সীতাকুণ্ডের মাইনুদ্দিন। সর্বকনিষ্ঠ বলী ইমরান (১১) এসেছিল কুমিল্লা থেকে। প্রথম রাউন্ডের আরেকটি খেলায় সে আরিয়ানকে (১২) পরাস্ত করে। বিকেল চারটা ৪০ মিনিটে শুরু হয় চ্যালেঞ্জ রাউন্ডের খেলা। ২৬ সেকেন্ডে মিরসরাইয়ের লিয়াকত বলীকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন রাউজানের ইকবাল বলী। এরপর মাত্র ১৫ সেকেন্ডের খেলায় কুমিল্লার জসিমকে পরাজিত করেন অলি বলী। বিকেল চারটা ৫৮ মিনিটে শুরু হয় বহু কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল রাউন্ড। নানা রকম কসরত দেখিয়ে একে অন্যকে ধরাশায়ী করার চেষ্টা করতে থাকেন অলি ও ইকবাল। দ্রুত লয়ে বাজতে থাকে ঢোল। একপর্যায়ে ইকবালকে চেপে ধরেন অলি। ধরাশায়ী হন ইকবাল। পুরো ময়দান উল্লাসধ্বনিতে নতুন চ্যাম্পিয়নকে স্বাগত জানায়।
অলি হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার বাহের চর গ্রামের মো. হারেছ মেম্বারের ছেলে। জয়ী হওয়ার পর তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতবার ইচ্ছা থাকলেও জব্বারের বলীখেলায় আসতে পারিনি। এবার প্রথম খেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছি। খুব আনন্দ লাগছে। ইনশা আল্লাহ যত দিন শরীরে শক্তি থাকবে, তত দিন বলী খেলব।’
এর আগে বিকেল চারটায় বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম ও চ্যানেল আইয়ের বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে তাঁরা পুরস্কার তুলে দেন। এবারের জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার স্পন্সর ছিল বাংলালিংক।
বিকেল চারটা থেকে শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এ খেলা। এবারের আসরে মোট ৭৪ জন বলী অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধ থেকে ১১ বছরের শিশু বলীও ছিল।
খেলায় অংশ নিতে বিভিন্ন বয়সের মল্লযোদ্ধারা আসেন বাকলিয়া, ফিরিঙ্গিবাজার, পতেঙ্গা, রাউজান, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, পটিয়া, বাঁশখালী, কুমিল্লা, ভোলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। দুপুর থেকেই লালদীঘির ময়দানে আসতে শুরু করেন বলীখেলার প্রতিযোগীরা। বেলা আড়াইটার মধ্যেই দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ময়দান। এরপর ময়দানের আশপাশের সবগুলো ভবনের ছাদে অবস্থান নেন কৌতূহলী দর্শক।
ঢাকঢোল বাজিয়ে বলীখেলার মঞ্চের চারপাশে ঘুরছিল বাদক দল। ঢোলের তালে তালে নেচে মল্লযোদ্ধারা মঞ্চে আসেন। শুরু হয় বলীখেলা। এবারের খেলা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল মালেক।
প্রথম রাউন্ডের একটি খেলায় বিজয়ী হন সীতাকুণ্ডের মাইনুদ্দিন। সর্বকনিষ্ঠ বলী ইমরান (১১) এসেছিল কুমিল্লা থেকে। প্রথম রাউন্ডের আরেকটি খেলায় সে আরিয়ানকে (১২) পরাস্ত করে। বিকেল চারটা ৪০ মিনিটে শুরু হয় চ্যালেঞ্জ রাউন্ডের খেলা। ২৬ সেকেন্ডে মিরসরাইয়ের লিয়াকত বলীকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন রাউজানের ইকবাল বলী। এরপর মাত্র ১৫ সেকেন্ডের খেলায় কুমিল্লার জসিমকে পরাজিত করেন অলি বলী। বিকেল চারটা ৫৮ মিনিটে শুরু হয় বহু কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল রাউন্ড। নানা রকম কসরত দেখিয়ে একে অন্যকে ধরাশায়ী করার চেষ্টা করতে থাকেন অলি ও ইকবাল। দ্রুত লয়ে বাজতে থাকে ঢোল। একপর্যায়ে ইকবালকে চেপে ধরেন অলি। ধরাশায়ী হন ইকবাল। পুরো ময়দান উল্লাসধ্বনিতে নতুন চ্যাম্পিয়নকে স্বাগত জানায়।
অলি হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার বাহের চর গ্রামের মো. হারেছ মেম্বারের ছেলে। জয়ী হওয়ার পর তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতবার ইচ্ছা থাকলেও জব্বারের বলীখেলায় আসতে পারিনি। এবার প্রথম খেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছি। খুব আনন্দ লাগছে। ইনশা আল্লাহ যত দিন শরীরে শক্তি থাকবে, তত দিন বলী খেলব।’
এর আগে বিকেল চারটায় বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম ও চ্যানেল আইয়ের বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে তাঁরা পুরস্কার তুলে দেন। এবারের জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার স্পন্সর ছিল বাংলালিংক।
No comments